ঢাকা , রবিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৫ , ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
এই সরকার দিয়ে কোনো অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়-ডা. তাহের লাখো মানুষের জীবিকা হুমকির মুখে পড়বে যারা ধর্মের নামে রাজনীতির ব্যবসা করে, তাদের হাতে নারীরা নির্যাতিত-সালাহউদ্দিন আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না-প্রধান উপদেষ্টা নারীদের বাদ দিয়ে দেশের উন্নয়নের চিন্তা করলে ভুল হবে : সেনাপ্রধান নির্বাচনকালীন ডিসি নিয়োগ পুলিশ দেখে ফেলে যাওয়া প্রাইভেটকারে মিললো এক লাখ পিস ইয়াবা তিন মাসে আয়ে প্রবৃদ্ধি তবুও তিতাসের লোকসান ২৪৯ কোটি টাকা প্রেমিকাকে ভিডিও কলে রেখেই তরুণের আত্মহত্যা দুই দশকে ডায়াবেটিস আক্রান্তের সংখ্যা আটগুণ বৃদ্ধি মুন্সিগঞ্জের ভাষানচর বালুমহল ইজারা ঘিরে অভিযোগ, হয়রানি বন্ধে তদন্তের দাবি কৃষি গুচ্ছ ভর্তির আবেদন শুরু ২৫ নভেম্বর, পরীক্ষা ৩ জানুয়ারি ভয়াবহ দুর্ভোগ হানিফ ফ্লাইওভারে! যৌনাচারের অভিযোগে ঢাবি শিক্ষক গ্রেফতার ইসলামী ব্যাংক নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত জানাল কেন্দ্রীয় ব্যাংক নির্বাচনের আগে গণভোট চায় ৮ দল আমি পাশে না দাঁড়ালে গ্রামীণ ব্যাংকের অনেক স্থাপনা থাকতো না-কাদের সিদ্দিকী স্কুলে ভর্তিতে কোটা নিয়ে আপত্তি অভিভাবকদের দেশে দ্রুত কমছে খাদ্যের মজুত ট্রাভেল এজেন্সি অধ্যাদেশ-২০২৫ বাতিলের দাবি

আড়াই লাখ টন জঞ্জালের চাপে ধুঁকছে গাজা

  • আপলোড সময় : ২৮-১০-২০২৫ ০৮:৫৬:৩৫ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ২৮-১০-২০২৫ ০৮:৫৬:৩৫ অপরাহ্ন
আড়াই লাখ টন জঞ্জালের চাপে ধুঁকছে গাজা
ইসরায়েলি বাহিনীর গত দুই বছরের অভিযানে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার ৯০ শতাংশ ভবন হয় পুরোপুরি, না হয় আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ধ্বংসপ্রাপ্ত-ক্ষতিগ্রস্ত এসব ভবনের ধ্বংসাবশেষ বা জঞ্জাল এখন বড় মাথাব্যাথার কারণ হয়ে উঠেছে গাজাবাসীদের মধ্যে। গাজার বৃহত্তম শহর গাজা সিটির পৌরসভা মুখপাত্র আসিম আল নাবিহ কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আনাদোলু এজেন্সিকে বলেন, আমাদের প্রাথমিক হিসেব অনুযায়ী, গাজা উপত্যকায় বর্তমানে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে কমপক্ষে আড়াই লাখ টন জঞ্জাল। এর পরিমাণ আরও বেশিও হতে পারে।
তিনি বলেন, এসব জঞ্জাল এবং এগুলো থেকে উঠে আসা ধুলো-বালি স্বাস্থ্যের জন্য রীতিমতো হুমকি। এগুলো পরিষ্কার করা এখন আমাদের সামনে একটি বড় চ্যালেঞ্জ। যদি শিগগিরই এগুলো দূর করা না যায়, তাহলে স্বাস্থ্য বিপর্যয় দেখা দেবে গাজায়। নাবিহ জানান, গাজা সিটির পৌরসভা কিংবা আঞ্চলিক প্রশাসনের পক্ষে এই বিপুল পরিমাণ জঞ্জাল অপসারণ করা এখন অসম্ভব, কারণ গাজার আঞ্চলিক প্রশাসনের কাছে জঞ্জাল সরানোর উপযোগি যেসব যন্ত্রপাতি, ক্রেন ছিল— সেগুরোর বেশিরভাগই ইসরায়েলি বাহিনী ধ্বংস করে দিয়ে গেছে। অল্প যে কিছু যন্ত্রপাতি এখনও সচল আছে, সেগুলো দিয়ে হয়তো জঞ্জাল পরিষ্কারের কাজ শুরু করা যেতো, কিন্তু সেখানেও বাধা আছে। গাজার কিছু এলাকায় এখনও রয়ে গেছে ইসরায়েলি সেনারা। ‘ইয়েলো লাইন’ নামে পরিচিত সেসব এলাকায় গাজার ফিলিস্তিনিদের প্রবেশ নিষেধ। গাজার প্রধান এবং একমাত্র ল্যান্ডফিল বা ডাম্পিং জোন জুহর আল দিক ইসরায়েলি বাহিনীর ইয়েলো লাইনভুক্ত অঞ্চলে পড়ে গেছে। গাজার পানি ও পয়োঃনিষ্কাশন ব্যবস্থাও সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গেছে। আসিম আল নাবিহ জানিয়েছেন, ইসরায়েলি বাহিনীর বোমায় গাজাজুড়ে ছড়িয়ে থকা পানি ও পয়োঃনিষ্কাশন সংক্রান্ত ৭ লাখ মিটারের পাইপলাইন নেটওয়ার্ক ধ্বংস হয়েছে। আনাদোলু এজেন্সিকে বলেন নাবিহ বলেন, আমাদের এখন জরুরি ভিত্তিকে ভারী যন্ত্রপাতি, জ্বালানি, পাইপলাইন প্রয়োজন। জুহর আল দিকের ল্যান্ডফিলও ইয়েরো লাইনের বাইরে রাখা দরকার। যদি শিগগির পদক্ষেপ না নেওয়া হয়, তাহলে অদূর ভবিষ্যতে বিভিন্ন রোগের মহামারি শুরু হবে গাজায়।
 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স