
তৃতীয় সন্তানও মেয়ে হওয়ায় জন্মের ৫ দিন পর হত্যা করলেন মা


সাতক্ষীরা প্রতিনিধি
সাতক্ষীরার কলারোয়ায় পাঁচ দিনের মেয়ে শিশুকে পানিতে ফেলে দিয়ে হত্যার অভিযোগে মা শারমিন খাতুনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত সোমবার মধ্যরাতে তাকে আটক করা হয়। এ ছাড়া মৃত শিশুটির লাশ ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ২ মেয়ের পর আবারও মেয়ে হওয়ায় তাকে খালের পানিতে ফেলে দিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানিয়েছে পুলিশ। শারমিন খাতুন (৩২) রঘুনাথপুর গ্রামের ইব্রাহিম খলিলের স্ত্রী। কলারোয়া থানার ওসি শেখ সাইফুল ইসলাম জানান, গত সোমবার রাত ৯টার দিকে শিশুটির বাবা ইব্রাহিম খলিল থানায় এসে একটি নিখোঁজ ডায়েরি করতে চান। নিখোঁজ ডায়েরি এন্ট্রি করার কারণ হিসেবে ইব্রাহিম বলেন- তাদের মেয়েকে নিয়ে মা শারমিন বিকালে ঘুমিয়ে ছিলো। এরপর থেকে তাকে আর পাওয়া যাচ্ছে না। ওসি আরও জানান, ইব্রাহিম খলিলের কথা অসংলগ্ন মনে হওয়ায় পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়।পরে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে শারমিন স্বীকার করে, ৫ বছর ও দেড় বছর বয়সী দুই কন্যা শিশু থাকা সত্ত্বেও তৃতীয় কন্যা শিশু জন্ম হওয়ায় তাকে বাড়ির পাশের একটি খালে ছুড়ে ফেলা হয়েছে। এরপর শারমিনের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী খালের কচুরিপনার মধ্য থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়। পরে হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় শিশুর দাদি খাদিজা খাতুন বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা করেছেন। শিশুর মা শারমিনকে গ্রেপ্তার করে গতকাল মঙ্গলবার সাতক্ষীরা পাঠানো হয়েছে বলে জানান ওসি।
নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata
কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ