ঢাকা , রবিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৫ , ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
এই সরকার দিয়ে কোনো অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়-ডা. তাহের লাখো মানুষের জীবিকা হুমকির মুখে পড়বে যারা ধর্মের নামে রাজনীতির ব্যবসা করে, তাদের হাতে নারীরা নির্যাতিত-সালাহউদ্দিন আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না-প্রধান উপদেষ্টা নারীদের বাদ দিয়ে দেশের উন্নয়নের চিন্তা করলে ভুল হবে : সেনাপ্রধান নির্বাচনকালীন ডিসি নিয়োগ পুলিশ দেখে ফেলে যাওয়া প্রাইভেটকারে মিললো এক লাখ পিস ইয়াবা তিন মাসে আয়ে প্রবৃদ্ধি তবুও তিতাসের লোকসান ২৪৯ কোটি টাকা প্রেমিকাকে ভিডিও কলে রেখেই তরুণের আত্মহত্যা দুই দশকে ডায়াবেটিস আক্রান্তের সংখ্যা আটগুণ বৃদ্ধি মুন্সিগঞ্জের ভাষানচর বালুমহল ইজারা ঘিরে অভিযোগ, হয়রানি বন্ধে তদন্তের দাবি কৃষি গুচ্ছ ভর্তির আবেদন শুরু ২৫ নভেম্বর, পরীক্ষা ৩ জানুয়ারি ভয়াবহ দুর্ভোগ হানিফ ফ্লাইওভারে! যৌনাচারের অভিযোগে ঢাবি শিক্ষক গ্রেফতার ইসলামী ব্যাংক নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত জানাল কেন্দ্রীয় ব্যাংক নির্বাচনের আগে গণভোট চায় ৮ দল আমি পাশে না দাঁড়ালে গ্রামীণ ব্যাংকের অনেক স্থাপনা থাকতো না-কাদের সিদ্দিকী স্কুলে ভর্তিতে কোটা নিয়ে আপত্তি অভিভাবকদের দেশে দ্রুত কমছে খাদ্যের মজুত ট্রাভেল এজেন্সি অধ্যাদেশ-২০২৫ বাতিলের দাবি
শিক্ষকদের নতুন আলটিমেটাম

দাবি না মানলে আমরণ অনশন

  • আপলোড সময় : ১৫-১০-২০২৫ ০৮:০৮:৫০ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ১৫-১০-২০২৫ ০৮:০৮:৫০ অপরাহ্ন
দাবি না মানলে আমরণ অনশন
মার্চ টু সচিবালয়ে বাধা, মুখোমুখি শিক্ষক-পুলিশ
স্টাফ রিপোর্টার
২০ শতাংশ হারে বাড়িভাড়াসহ তিন দফা দাবি আদায়ে টানা তিনদিন আন্দোলনে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা। তারপরও দাবি পূরণে কোনো আশ্বাস মেলেনি। বাধ্য হয়ে এবার শিক্ষকরা নতুন করে আলটিমেটাম দিয়েছেন। এ সময়ের মধ্যে দাবি পূরণ না করা হলে আমরণ অনশনে বসার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী শিক্ষকরা শহীদ মিনার থেকে মার্চ টু সচিবালয় কর্মসূচি শুরু করেন। তবে হাইকোর্টের কাছাকাছি যেতেই সড়কে ব্যারিকেড দিয়ে শিক্ষকদের আটকে দেয় পুলিশ। সেখানেই সড়কে অবস্থান নেন শিক্ষকরা। এ অবস্থান কর্মসূচি থেকে অনশনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন শিক্ষক নেতারা।
বাড়িভাড়া বৃদ্ধিসহ তিন দফা দাবি আদায়ে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের মার্চ টু সচিবালয় কর্মসূচি শুরুর পরপরই তা পুলিশের বাধার মুখে পড়েছে। ব্যারিকেড দিয়ে রাস্তায় আটকে দেওয়া হয়েছে তাদের। মঙ্গলবার বিকেল সোয়া ৪টার দিকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে সচিবালয় অভিমুখে রওয়ানা দেন শিক্ষকরা। তবে হাইকোর্টের কাছাকাছি যেতেই তাদের আটকে দেয় পুলিশ। পরে সেখানে অবস্থান নিয়ে সেøাগান দিচ্ছেন শিক্ষকরা। এতে পুলিশ ও শিক্ষকদের মুখোমুখি অবস্থানে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। শিক্ষকদের আর সামনে এগোনোর চেষ্টা করতে নিষেধ করছে পুলিশ। তাদের সেখানে বসে যাওয়ার জন্য পুলিশ কর্মকর্তাদের অনুরোধ করতে শোনা যায়।
শিক্ষকরা বলছেন, তাদের যৌক্তিক দাবি মেনে নিতে অর্থ ও শিক্ষা মন্ত্রণালয় টালবাহানা শুরু করেছে। তারা সচিবালয়ে যাবেন এবং যতক্ষণ না প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে, ততক্ষণ সেখানে অবস্থান করবেন। প্রয়োজনে সচিবালয় ঘেরাও করে হলেও তারা দাবি-দাওয়া আদায় করেই ঘরে ফিরবেন।
অবস্থান কর্মসূচিতে বক্তব্যকালে এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণপ্রত্যাশী জোটের সদস্যসচিব অধ্যক্ষ দেলোয়ার হোসেন আজিজী বলেন, আজ আমরা এখানে (হাইকোর্টের সামনে) অবস্থান করবো, আগামীকাল বেলা ১১টার মধ্যে যদি আমাদের দাবি না মানেন, আমরা শাহবাগে অবস্থান নেবো। তারপরও যদি দাবি না মানা হয়, আমরা যমুনায় যাবো। এরপরও দাবি পূরণ না হলে আমরা আমরণ অনশনে বসবো। তিনি বলেন, আমাদের আর পিছু হটার সুযোগ নেই। কারণ, আন্দোলন এখন চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। সরকারকে আমাদের দাবি মানতেই হবে এবং এটি আর এখন বাস্তবায়ন না করার সুযোগ নেই। যতক্ষণ দাবি না মানবেন, ততক্ষণ আমরা সচিবালয় ঘেরাও করে রাখবো।
অধ্যক্ষ আজিজী অভিযোগ করে বলেন, আমাদের সঙ্গে দফায় দফায় সচিবালয়ে মিটিং হচ্ছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত ফাইনাল কোনো ফলাফল জানা হয়নি। আমরা কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে শহীদ মিনার থেকে সচিবালয় অভিমুখে ‘মার্চ টু সচিবালয়’ কর্মসূচি শুরু করব। তিনি বলেন, ২০ শতাংশ বাড়ি ভাড়া, ১ হাজার ৫০০ টাকা মেডিকেল ভাতা ও কর্মচারীদের জন্য ৭৫ শতাংশ উৎসব ভাতার প্রজ্ঞাপন জারি না করা পর্যন্ত কোনো শিক্ষক শ্রেণি কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করবেন না। মূল বেতনের ২০ শতাংশ হারে বাড়ি ভাড়া বৃদ্ধির দাবিতে ও পুলিশের বলপ্রয়োগের প্রতিবাদে সোমবার সকাল থেকে সারাদেশের সব বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠদান বন্ধ রয়েছে। ফলে দেশের বিভিন্ন স্থানে স্কুল-কলেজে ক্লাস কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে। এর আগে বিকেল সোয়া চারটায় লংমার্চ শুরু হলে হাইকোর্টের দক্ষিণ গেটের দুই পাশে ব্যারিকেড দিয়ে শিক্ষকদের আটকে দেয় পুলিশ। এ সময় তারা পুলিশকে লক্ষ্য করে ‘ভুয়া ভুয়া’ সেøাগান দিচ্ছিলেন। অধিকাংশ শিক্ষকের মাথায় ‘২০ শতাংশ বাড়িভাড়া’ লিখিত ফিতা বাঁধা ছিল। শত শত শিক্ষক এ সময় সেøাগান দিতে থাকেন। তবে পুলিশ এখনো কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। এর আগে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রমনা জোনের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মাসুদ আলম শহীদ মিনারে গিয়ে শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি জানান, শিক্ষকদের দাবি বাস্তবায়নে এবং প্রজ্ঞাপন জারির আশ্বাসে সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হচ্ছে।
এরপর দুপুর ১২টার দিকে এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ আন্দোলনের নেতা অধ্যক্ষ আজিজীকে ফোন করে ‘মার্চ টু সচিবালয়’ না করার অনুরোধ জানান। এছাড়া গত সোমবার জামায়াতে ইসলাম, হেফাজতে ইসলামসহ ইসলামী তিন দল ও ইনকিলাব মঞ্চের নেতারা এসে শিক্ষকদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে তাদের দাবি মেনে নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। গত ১২ অক্টোবর দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচি চলার সময় পুলিশ শিক্ষকদের সরাতে গেলে ধস্তাধস্তি ও সাউন্ড গ্রেনেড (শব্দ বোমা) নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। এতে এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরে সংগঠনের নেতাদের আহ্বানে শিক্ষকরা শহীদ মিনারে অবস্থান নেন এবং সেখান থেকেই লাগাতার আন্দোলনের ঘোষণা দেন। অন্যদিকে, সারা দেশের বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা বর্তমানে কর্মবিরতি পালন করছেন। তারা প্রতিদিন বিদ্যালয়ে উপস্থিত থাকলেও শ্রেণিকক্ষে প্রবেশ করছেন না, পাঠদানেও অংশ নিচ্ছেন না। বিদ্যালয়ের আঙিনা, শিক্ষক লাউঞ্জ বা অফিসকক্ষে বসেই তারা অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন।
 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স