গমের উৎপাদন কমে যাওয়ায় খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিতে শঙ্কা বাড়ছে
- আপলোড সময় : ১৫-১০-২০২৫ ১১:৩৪:৪৬ পূর্বাহ্ন
- আপডেট সময় : ১৫-১০-২০২৫ ১১:৩৪:৪৬ পূর্বাহ্ন
দেশে গমের উৎপাদন আশঙ্কাজনক হারে কমে গেছে। অথচ দেশের মানুষের খাদ্যাভ্যাসে দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ অনুসঙ্গ গম। কিন্তু দেশে ফসলটির উৎপাদন সক্ষমতা কমে আসছে। দেশের ইতিহাসে গত ৪ বছরের মধ্যে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে এসেছে গমের আবাদ। এজন্য সরকারের সঠিক নীতিমালা না থাকাকে বিশ্লেষকরা দায়ী করে বলেন, এমন পরিস্থিতি অব্যাহত থাকলে ভবিষ্যতে দেশের খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিত করা বড় চ্যালেঞ্জ হওয়ার শঙ্কা রয়েছে। কৃষি সমপ্রসারণ অধিদপ্তর সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, দেশে গমের উৎপাদন ধারাবাহিকভাবে ২০২১-২২ অর্থবছর থেকে ক্রমাগত হয়ে আসছে। ওই অর্থবছরে দেশে ১০ লাখ ৮৫ হাজার ৮০০ টন গমের উৎপাদন হয়েছে। পরের অর্থবছরগুলোর মধ্যে ২০২২-২৩ অর্থবছরে ১ লাখ বেড়ে ১১ লাখ ৭০ হাজার এবং ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ১১ লাখ ৭২ হাজার টন গমের উৎপাদন হয়। কিন্তু ২০২৪-২৫ অর্থ বছরে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৬০ হাজার টন গমের উৎপাদন কম হয়েছে। ২৪-২৫ অর্থবছরে ১১ লাখ ১০ হাজার ৬০০ টন গমের উৎপাদন হয়েছে।
সূত্র জানায়, এদেশে গমের উৎপাদন খরচ জলবায়ুর পরিবর্তনে বেড়ে গেছে। পাশাপাশি গমের কুশিতে রোগবালাইয়ের আক্রমণ রোধের অতিরিক্ত খরচ, আবাদি জমি হ্রাস, আধুনিক পদ্ধতির মাধ্যমে চাষের ধারণা না থাকা, সরকারিভাবে পর্যাপ্ত সহায়তার অভাব এবং উৎপাদন খরচ না পাওয়ায় কৃষক গম চাষ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে। তাতে দিন দিন হ্রাস হচ্ছে উৎপাদন সক্ষমতা। দেশের আবহাওয়াগত অবস্থান থেকে গম চাষের উপযোগী উত্তরের জনপদ। ওই অঞ্চলগুলোতে শীতের প্রকোপ বেশি থাকায় গমের উৎপাদন ভালো হয়। কিন্তু গত দুই বছর থেকে ওই এলাকাতেও তেমন গমের চাষ হচ্ছে না। সরকারি কিংবা বেসরকারি গম ক্রয় কেন্দ্র না থাকায় কৃষকরা গম বিক্রি করতে পারেন না।
সূত্র আরো জানায়, দেশে বর্তমানে বছরে ৭০ থেকে ৭৫ লাখ টন গমের চাহিদা দাঁড়িয়েছে। তার মধ্যে স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত গম দিয়ে মেটানো হয় ১১ লাখ টনের চাহিদা। বাকি ৬০-৬৪ লাখ টনের চাহিদা রাশিয়া, ব্রাজিলের মতো দেশ থেকে আমদানির মাধ্যমে পুরণ করা হয়। তাতে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা ব্যয় হয়।
এদিকে এ বিষয়ে বাংলাদেশ গম ও ভুট্টা গবেষণা ইনস্টিটিউটের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মোঃ জাহেরুল ইসলাম জানান, গবেষণা প্রতিষ্ঠান হিসেবে সাধারণত যে সমস্ত পদক্ষেপ নেয়া হয়, সেগুলো অবশ্যই নেয়া হচ্ছে। দেশের আবহাওয়া অনুকূল নতুন নতুন উচ্চ ফলনশীল জাত উৎপদানের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। উৎপাদিত নতুন জাত ভালো ফলন দেয়। যা পৃথিবীর আর কোন দেশে দেয় না। কিন্তু দেশের কৃষি পলিসি উন্নত দেশের মতো শক্তিশালি না হওয়ায় কৃষক মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে।
নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata
কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ
স্টাফ রিপোর্টার