ঢাকা , রবিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৫ , ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
এই সরকার দিয়ে কোনো অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়-ডা. তাহের লাখো মানুষের জীবিকা হুমকির মুখে পড়বে যারা ধর্মের নামে রাজনীতির ব্যবসা করে, তাদের হাতে নারীরা নির্যাতিত-সালাহউদ্দিন আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না-প্রধান উপদেষ্টা নারীদের বাদ দিয়ে দেশের উন্নয়নের চিন্তা করলে ভুল হবে : সেনাপ্রধান নির্বাচনকালীন ডিসি নিয়োগ পুলিশ দেখে ফেলে যাওয়া প্রাইভেটকারে মিললো এক লাখ পিস ইয়াবা তিন মাসে আয়ে প্রবৃদ্ধি তবুও তিতাসের লোকসান ২৪৯ কোটি টাকা প্রেমিকাকে ভিডিও কলে রেখেই তরুণের আত্মহত্যা দুই দশকে ডায়াবেটিস আক্রান্তের সংখ্যা আটগুণ বৃদ্ধি মুন্সিগঞ্জের ভাষানচর বালুমহল ইজারা ঘিরে অভিযোগ, হয়রানি বন্ধে তদন্তের দাবি কৃষি গুচ্ছ ভর্তির আবেদন শুরু ২৫ নভেম্বর, পরীক্ষা ৩ জানুয়ারি ভয়াবহ দুর্ভোগ হানিফ ফ্লাইওভারে! যৌনাচারের অভিযোগে ঢাবি শিক্ষক গ্রেফতার ইসলামী ব্যাংক নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত জানাল কেন্দ্রীয় ব্যাংক নির্বাচনের আগে গণভোট চায় ৮ দল আমি পাশে না দাঁড়ালে গ্রামীণ ব্যাংকের অনেক স্থাপনা থাকতো না-কাদের সিদ্দিকী স্কুলে ভর্তিতে কোটা নিয়ে আপত্তি অভিভাবকদের দেশে দ্রুত কমছে খাদ্যের মজুত ট্রাভেল এজেন্সি অধ্যাদেশ-২০২৫ বাতিলের দাবি

ইউরোপে চীনের আধিপত্য বৃদ্ধিতে চাপে দেশের তৈরি পোশাক রফতানি

  • আপলোড সময় : ১৪-১০-২০২৫ ০৫:৪৬:৪১ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ১৪-১০-২০২৫ ০৫:৪৬:৪১ অপরাহ্ন
ইউরোপে চীনের আধিপত্য বৃদ্ধিতে চাপে দেশের তৈরি পোশাক রফতানি
ইউরোপের বাজারে চীনের তৈরি পোশাক রফতানি বাড়ছে। অন্যদিকে বাংলাদেশের রফতানি কমছে ধারাবাহিকভাবে। এতে প্রধান রফতানি খাত তৈরি পোশাকে সতর্কবার্তা পাচ্ছেন উদ্যোক্তারা। চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জুলাই-সেপ্টেম্বর তিন মাসে তৈরি পোশাক রফতানি হয়েছে ৪৭৪ কোটি ৬১ লাখ ডলার। যা আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে ৩.৬৪ বিলিয়ন ডলার বেশি। আগের জুলাই-সেপ্টেম্বরে ইউরোপীয় ইউনিয়নে তৈরি পোশাক রফতানি হয়েছিল ৪৫৭ কোটি ৯৫ লাখ ৭০ হাজার ডলার। ইউরোপীয় ইউনিয়ন বাংলাদেশের তৈরি রফতানির প্রধান গন্তব্য। মোট তৈরি পোশাকের প্রায় অর্ধেক ইউরোপের দেশগুলোতে রফতানি হয়। জুলাই-সেপ্টেম্বর তিন মাসেও দেশের মোট তৈরি পোশাক রফতানির প্রায় ৪৭ শতাংশ রফতানি হয়েছে এই বড় মার্কেটে। গত বছরের একই সময়ে রফতানি হয়েছিল দেশের মোট তৈরি পোশাক রফতানির প্রায় ৪৮ দশমিক ১৩ শতাংশ। তৈরি পোশাক শিল্প খাতের উদ্যোক্তারা বলছেন, তিন মাসে ইউরোপীয় ইউনিয়নে তৈরি পোশাক হ্রাস পাওয়া একটি খারাপ বার্তা দিচ্ছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রফতানির জন্য তুলনামূলক নিরাপদ বাজার। বাজারটিতে এখন পর্যন্ত জিএসপি সুবিধা পায় বাংলাদেশ। এছাড়া বাংলাদেশ এই বাজারে সর্বোচ্চ তৈরি পোশাক রফতানিকারক দেশ। এই অবস্থায় বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের প্রতিযোগী কোনো দেশ পুরোপুরি আধিপত্য তৈরি করে ফেললে দেশের তৈরি পোশাক খাত সংকটে পড়তে পারে এমন আশঙ্কা করছে তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রফতানিকারকরা। তৈরি পোশাক রফতানিতে ইউরোপের বাজারে প্রবৃদ্ধি কিছুটা কমে আসার পেছনে দেশটিতে অর্থনৈতিক মন্দা কাজ করছে। যে কারণে বাংলাদেশের রফতানি কমেছে বলে মন্তব্য করেছেন নিট পোশাক প্রস্তুত ও রফতানিকারক সমিতির (বিকেএমইএ) সাবেক সভাপতি মো. ফজলুল হক। তিনি বলেন, ইউরোপের মার্কেটটা চাঙ্গা না। মার্কেট চলছে, কিন্তু খুব শক্তিশালী না। তবে বর্তমানে তৈরি পোশাক রফতানিতে প্রবৃদ্ধি কমেছে। এমন হতে পারে, বাড়তি শুল্কের কারণে চীন বা ভারত যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে অসুবিধার মুখোমুখি হচ্ছে, তখন তারা ইউরোপের বাজারে বেশি মনোযোগ দেবে। তখন ইউরোপের বাজারে বাংলাদেশকে চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি ফেলে দিচ্ছে। আবার উল্টো চিত্রও তৈরি হবে যুক্তরাষ্ট্রে। সেখানে বাংলাদেশের বাড়তি সুবিধা তৈরি হবে, রফতানি বাড়বে। কিন্তু এই আঁচড় বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের জন্য বড় ক্ষতে পরিণত হতে পারে। দেশের সবচেয়ে বড় বাজারে চীনের একক আধিপত্য তৈরি হতে পারে। এখানে কিছু বিষয় স্পষ্ট হচ্ছে, প্রথমত : সময়। এমন এক সময় ইউরোপে চীনের রফতানি অব্যাহতভাবে বাড়ছে, যখন দেশটি যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে উচ্চ শুল্কের মুখোমুখি হয়েছে। টিকে থাকতে দেশটিকে বড় বিকল্পের দিকে যেতে হচ্ছে। দ্বিতীয়ত, যুক্তরাষ্ট্রে যখন সংকটের মুখোমুখি হয়েছে, তখন থেকেই ইউরোপে রফতানির প্রবৃদ্ধি বেড়েছে। আর ইউরোপে চীনের পর দ্বিতীয় রফতানিকারক দেশ হিসেবে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রফতানি ক্রমান্বয়ে কমছে। তবে তৈরি পোশাক খাতের অধিকাংশ উদ্যোক্তা ইউরোপে তৈরি পোশাক রফতানির এই প্রবৃদ্ধি কমে যাওয়াকে সাময়িক হিসাবে মানতে চান। ফজলুল হক বলেন, ব্যবসার ওঠানামা থাকে, এখনও তাই হচ্ছে। আবার ঠিক হয়ে যাবে। চলতি পুরো বছর ধরেই ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাজারে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রফতানির গতি মন্থর হয়ে এসেছে। একই সময়ে চীনের রফতানিতে গতি এসেছে। চলতি বছরের জানুয়ারি-জুলাই সাত মাসে বাংলাদেশের রফতানি প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৬.৪৫ শতাংশ, আর চীনের রফতানিতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২৩ শতাংশ। একক মাস হিসেবে জুলাই মাসে এই দূরত্ব আরও বেড়ে গেছে-বাংলাদেশের রফতানির প্রবৃদ্ধি যেখানে ৭.০৫ শতাংশে নেমেছে, সেখানে চীনের প্রবৃদ্ধি বেড়ে ২৪.৮৫ শতাংশ হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে চীনের পণ্য রফতানিতে উচ্চ শুল্ক চাপানোর ফলে চীন বিকল্প বাজারের সন্ধানে নেমেছে এটা স্পষ্ট। এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশ শুরুতে ৩৭ শতাংশ শুল্ক ঘোষণা করলেও পরে তা কমিয়ে ৩০ এবং পরে ২০ শতাংশে পুনঃনির্ধারণ করেছে। এতে কিছুটা সুবিধা তৈরি হলেও এখনো তা রফতানিতে প্রতিফলিত হয়নি। তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রফতানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সাবেক পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন বাংলাদেশের জন্য যেমন বড় বাজার, তেমনি চীন ইউরোপীয় ইউনিয়নের তৈরি পোশাক রফতানিকারক প্রধান দেশ। দেশটি যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বেশি শুল্কের মুখোমুখি হওয়ার কারণে ইউরোপের দিকে ঝুঁকছে। যার প্রভাব পড়ছে তৈরি পোশাক রফতানিতে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রফতানির প্রবৃদ্ধিতে আঁচড় লেগেছে।

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স