ঢাকা , মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫ , ৩১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
নাম তার মৈশানি মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় ট্রাফিক ব্যবস্থা ভেঙে পড়ছে ব্যাটারিচালিত রিকশায় জরুরি অবস্থা ঘোষণায় মন্ত্রিসভার অনুমোদন লাগবে তারাকান্দায় ব্যক্তি মালিকানায় জমির উপর দিয়ে সরকারি রাস্তার প্রকল্প মামলা প্রত্যাহার না হলে বিএনপির সংবাদ বর্জনের হুঁশিয়ারি সংবাদিকদের সরকার সর্বক্ষেত্রেই ধারাবাহিক ব্যর্থতার প্রমাণ দিচ্ছে যশোর ক্ষণিকা পিকনিক কর্নারে বছরে কোটি টাকা লুটপাট ডেঙ্গুতে ২৪ ঘণ্টায় একজনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৪২০ দ্রুত নির্বাচন দিয়ে নির্বাচিত সরকারকে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে- আমীর খসরু অস্ত্র মামলায় শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইনের বিরুদ্ধে চার্জশিট যশোরে দুই কোটি টাকার স্বর্ণের বারসহ আটক ৩ বাউল সংগীতে হৃদয় ছোঁয়া কণ্ঠস্বর রফিক সরকারের সার মজুতে বাফার গোডাউন নির্মাণ প্রকল্প এখনো শেষ হয়নি ভাঙনের কবলে উপকূলবাসী লাল চাঁদ হত্যার বিচারে বিশ্বাসযোগ্য তদন্ত ও দৃষ্টান্তমূলক সাজার দাবি- মির্জা ফখরুল শ্যামলীতে অস্ত্র ঠেকিয়ে ছিনতাই খুলে নিয়ে গেলো জামা-জুতাও অদৃশ্য শত্রু ধীরে ধীরে দৃশ্যমান হচ্ছে- তারেক রহমান দেশজুড়ে প্রতিবাদ-বিক্ষোভ ডাকসুর প্যানেল নিয়ে ছাত্র সংগঠনগুলোর লুকোচুরি ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনী প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হবে- স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

রেমালে খুলনা অঞ্চলে মাছের ঘেরে ৭২২ কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতি

  • আপলোড সময় : ০৫-০৬-২০২৪ ১১:২৫:৫৬ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ০৫-০৬-২০২৪ ১১:২৫:৫৬ পূর্বাহ্ন
রেমালে খুলনা অঞ্চলে মাছের ঘেরে ৭২২ কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতি রেমালে খুলনা অঞ্চলে মাছের ঘেরে ৭২২ কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতি

ঘূর্ণিঝড় রেমালে খুলনা, বাগেরহাট ও সাতক্ষীরায় ৫৩ হাজার ১৭১টি ঘের, পুকুর ও কাঁকড়া খামার প্লাবিত হয়েছেএর মধ্যে ৪০ হাজার ৫১৫টি মৎস্য ঘের, ৮ হাজার ১০০ পুকুর ও ৪ হাজার ৫৫৬টি কাঁকড়া খামার রয়েছেএতে ৩২৩ কোটি ৬৫ লাখ টাকার চিংড়িসহ ৭২২ কোটি ১৭ লাখ টাকার মাছ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেফলে চলতি বছর চিংড়িসহ মাছ উৎপাদন অর্ধেকে নেমে আসার শঙ্কা দেখা দিয়েছেযার বড় প্রভাব পড়তে পারে রফতানিতেওমূলত দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের তিন জেলায় চিংড়ি চাষ হয়মৎস্য বিভাগের হিসাবে, ঘূর্ণিঝড় রেমালের আঘাতে খুলনায় ৯ হাজার ১১৫টি, বাগেরহাটে ২৭ হাজার ৫০০টি এবং সাতক্ষীরায় ৩ হাজার ৯০০ ঘের একেবারেই তলিয়ে গেছেপ্রাথমিক ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩৩২ কোটি টাকা
খুলনা বিভাগীয় মৎস্য কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, খুলনা বাগেরহাট ও সাতক্ষীরায় রেমালের আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৮১টি ইউনিয়নের ৫৩ হাজার ১৭১টি পুকুর, ঘের ও কাঁকড়া খামারযার আয়তন ৩৫ হাজার ৫৫৫ হেক্টরএতে মোট ক্ষতি হয়েছে ৭২২ কোটি ১৭ লাখ টাকাতিনি বলেন, এর মধ্যে ১৫ হাজার ৫৭৮ মেট্রিক টান মাছে ক্ষতি ২৪৭ কোটি ৫০ লাখ টাকা, ৭ হাজার ৬৩০ মেট্রিক টন চিংড়ি মাছে ক্ষতি ৩২৩ কোটি ৬৫ লাখ টাকা, ১ হাজার ১৭১ লাখ পোনায় ক্ষতি ৮৫ কোটি ৫৭ লাখ টাকা, ১৭২ মে টান কাঁকড়ায় ক্ষতি ২০ কোটি ৩৯ লাখ টাকা, ৫৮০ লাখ পিএলে ক্ষতি ১৪ কোটি ২৬ লাখ টাকা, ২০টি নৌকায় ক্ষতি ২০ লাখ টাকা ও অবকাঠামোগত ক্ষতি ৩০ কোটি ৬১ লাখ টাকা
২০২২-২৩ অর্থবছরে খুলনা, বাগেরহাট ও সাতক্ষীরায় ১ লাখ ২৫ হাজার টান চিংড়ি উৎপাদন হয়েছিলরফতানিযোগ্য চিংড়ি রফতানি করে ২ হাজার ৪১২ কোটি টাকা আসে দেশেঅনেক জেলের মাছ ধরার চিত্র দেখা গেছে খুলনার পাইকগাছা উপজেলার সোলাদানা এলাকায়যা দেখে মনে হচ্ছিল এটি মাছ ধরার কোনও উৎসবকিন্তু আসলে তা নয়ঘূর্ণিঝড় রেমালের আঘাতে বাঁধ ভেঙে এলাকা ভেসে যাওয়া কয়েক শ ঘের থেকে বেরিয়ে যায় চিংড়ি ও অন্যান্য মাছএ মাছ সংগ্রহের চেষ্টায় লিপ্ত কয়েক শ মাছচাষির মাছ ধরা ও ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার চেষ্টাপাইকগাছা উপজেলার সোলাদানা এলাকার ঘের ব্যবসায়ী আমিনুর সরদার জানান, তার ঘেরে ১২ থেকে ১৫ লাখ টাকার চিংড়ি মাছ ছিল, যা ঝড়-বৃষ্টিতে ভেসে গেছেপাইকগাছার সব ঘের ও পুকুর পানিতে একাকার হয়ে গেছেতিনি এখন সর্বস্বান্ত হয়ে পড়েছেনসোলাদানা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) মেম্বার শেখ আবুল কালাম আজাদ বলেন, সোলাদানার এই বিলের সব ঘের পানিতে ভেসে গেছেফলে চাষিরা মারাত্মক ক্ষতির মুখে পড়েছেনএ ক্ষতি অপূরণীয়এই যে দেখছেন ব্যাপক লোকজন জাল দিয়ে মাছ ধরছেঘের ভেসে যাওয়ায় এখানে স্থানীয় লোকজন মাছ ধরতে ব্যস্ত হয়ে উঠেছেন
খুলনা বিভাগীয় পোনা ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও পাইকগাছা উপজেলার পরস্কারপ্রাপ্ত ঘের ব্যবসায়ী গোলাম কিবরিয়া রিপন বলেন, ঘূর্ণিঝড় রেমালের আঘাতে চিংড়িচাষিরা বেশি ক্ষতিগ্রস্তএ অঞ্চলের ৮০ শতাংশ ঘেরই ভেসে গেছেপানি নেমে যাওয়ার পর কোনও ঘেরেই মাছ পাওয়া যায়নি
বাংলাদেশ ফ্রোজেন ফুডস এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের পরিচালক এম এ হাসান পান্না বলেন, এমনিতে দেশে মাছের উচ্চ মূল্য, তার ওপর রিমালের কারণে রফতানিযোগ্য চিংড়ির সংকটে বাধাগ্রস্ত হবে এ খাত থেকে বৈদেশিক মুদ্রা আয়খুলনা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা জয়দেব পাল বলেন, ক্ষতি পুষিয়ে নিতে ও চিংড়ি উৎপাদন অব্যাহত রাখতে চাষিদের তালিকা করে প্রণোদনা দেয়ার সুপারিশ করা হয়েছে
 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ