ঢাকা , রবিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৫ , ২৬ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
স্কুল ফিডিং প্রোগ্রামে ডিম যুক্ত করতে হবেÑপ্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন না হলে ভয়ংকর পরিস্থিতি তৈরি হতে পারেÑ দুদু নিহত সাংবাদিকের পরিবারের পাশে বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান সচেতনতার অভাবে বাড়ছে ডেঙ্গু মৃত্যুঝুঁকি ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আরও ৩০৮ বৈষম্যমুক্ত নবম পে স্কেল বাস্তবায়নের দাবি সরকারি কর্মচারীদের ৪৯তম বিসিএসের ফল ৭-১০ দিনের মধ্যে, ভাইভা ২৬ অক্টোবর থেকে বাহাত্তরের চেতনার বিরুদ্ধে গেলেই রাজাকার ট্যাগ দেওয়া হতো : মামুনুল পিআর পদ্ধতিতেই নির্বাচন দিতে হবে -চরমোনাই পীর সঠিক স্থান নির্ধারণ না হওয়া আশ্রয় কেন্দ্রগুলোর নির্মাণ কাজ বন্ধ হবে-ত্রাণ উপদেষ্টা নির্বাচন বানচালে গুজব, সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে উস্কানিমূলক প্রচারণা রিজার্ভ ৩২ বিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি লিবিয়া থেকে দেশে ফিরেছেন আরও ৩০৯ বাংলাদেশি জুলাই সনদকে ইতিবাচকভাবে দেখছে বিএনপি-রিজভী ব্যাটারিচালিত রিকশা চার্জে প্রতিদিন খরচ হচ্ছে বিপুল পরিমাণ বিদ্যুৎ ছুটির দিনে বৃষ্টি-যানজটে দুর্ভোগ বাজারে শীতকালীন সবজি, দাম চড়া সব ধর্ম অবমাননায় সমান আইন ও শাস্তির দাবি হিন্দু যুব মহাজোটের আতঙ্কে গুঁইমারার পাহাড়িরা চাকা ফুটো করায় ট্রাফিক পুলিশের মাথা ফাটালেন রিকশাচালক

নির্বাচন বানচালে গুজব, সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে উস্কানিমূলক প্রচারণা

  • আপলোড সময় : ১১-১০-২০২৫ ০৬:৪৭:৪৬ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ১১-১০-২০২৫ ০৬:৪৭:৪৬ অপরাহ্ন
নির্বাচন বানচালে গুজব, সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে উস্কানিমূলক প্রচারণা
আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে ঘিরে প্রবাস থেকে সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে গুজব ও উস্কানিমূলক প্রচারণা চালাচ্ছেন বিতর্কিত এক ব্লগার। তার নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজ থেকে সম্প্রতি প্রকাশিত এক পোস্টে তিনি সেনাবাহিনীর সদস্যদের উদ্দেশে সরাসরি আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, সেনাবাহিনীর জুনিয়র অফিসার ও সৈনিকেরা, আপনার ঈমান ও দেশের নিশান সমুন্নত রাখতে ভারত সমর্থিত দুর্বৃত্ত জেনারেলদের বিপজ্জনক আচরণ রুখে দিন। দেশবাসী আপনাদের সঙ্গে আছে। ইনকিলাব জিন্দাবাদ।
সংশ্লিষ্ট সূত্রের মতে, পিনাকীর এই মন্তব্য উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং তা সেনাবাহিনীর মধ্যে বিভাজন সৃষ্টির পাশাপাশি নির্বাচন বানচালের অংশ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
একই সময়ে জামায়াতে ইসলামী-এর এক কর্মী ফেসবুকে লেখেন, প্রিয় দেশবাসী, হাসিনার জামাই ওয়াকারকে প্রতিরোধ করা লাগতে পারে, সজাগ থাকুন।
অন্যদিকে, বৃহস্পতিবার রাতে সামাজিক মাধ্যমে ঢাকার ক্যান্টনমেন্ট এলাকা ঘিরে গুজব ছড়িয়ে পড়ে। আওয়ামী লীগের একাধিক নেতাকর্মীদের ফেসবুক পোস্টে দাবি করা হয়, জাহাঙ্গীর গেট এলাকায় যান চলাচল সীমিত করা হয়েছে। তবে সেনা সদর দফতরের একটি সূত্র জানায়, এ ধরনের খবর সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও গুজবনির্ভর।
আওয়ামীপন্থী ব্লগারও বিভ্রান্তিকর বার্তা পোস্ট করতে দেখা যায়। তারা সামাজিক মাধ্যমে প্রশ্ন তোলেন ‘কি হচ্ছে ক্যান্টনমেন্টে? কাহিনি কি! খেলা কি শুরু হয়ে গেলো?’
এই ধরনের অসংযত মন্তব্য ও পোস্টের মাধ্যমে জনমনে বিভ্রান্তি ও অস্থিরতা সৃষ্টি করার চেষ্টা চলছে। তারা মনে করেন, প্রবাসভিত্তিক গোষ্ঠীগুলো সমন্বিতভাবে নির্বাচনের আগে দেশে অরাজকতা ছড়াতে চাইছে।
প্রবাস থেকে সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে উস্কানিমূলক প্রচারণা চালানো রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ডের শামিল। এটি সরাসরি জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি।
বিতর্কিত ব্লগার পিনাকী সম্প্রতি তার ফেসবুক পেজে ‘পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি ফেরানোর ব্লুপ্রিন্ট’ শিরোনামে একটি পোস্ট দিয়ে আবারও বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
পিনাকী তার পোস্টে পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে সেনাবাহিনী প্রত্যাহার এবং সেখানে নতুন করে কোনো সামরিক ক্যাম্প না বসানোর আহ্বান জানিয়েছেন। এ বক্তব্যের মাধ্যমে তিনি সরাসরি রাষ্ট্রবিরোধী উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে উসকানিমূলক ভূমিকা রাখছেন।
বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, পিনাকী ভট্টাচার্য দীর্ঘদিন ধরে পশ্চিমা দেশভিত্তিক কিছু মানবাধিকার সংস্থা ঐঁসধহ জরমযঃং ডধঃপয (ঐজড), অসহবংঃু ওহঃবৎহধঃরড়হধষ, এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন সংশ্লিষ্ট মানবাধিকার ফোরামগুলোর সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন। তিনি এসব সংস্থার মাধ্যমে বাংলাদেশের সেনাবাহিনী বিরুদ্ধে একতরফা ও ভ্রান্ত প্রতিবেদন তৈরিতে প্রভাব বিস্তার করছেন।
তার সাম্প্রতিক বক্তব্যে তিনি দাবি করেছেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পাহাড়ি অঞ্চলে দীর্ঘদিন ধরে মানবাধিকার লঙ্ঘন, জোরপূর্বক উচ্ছেদ, ধর্ষণ ও হত্যার মতো কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে। তার এই ধরনের মন্তব্য সম্পূর্ণ অভিপ্রেত মিথ্যাচার ও বিদেশি তহবিলপ্রাপ্ত এনজিওগুলোর ইন্ধনে পরিচালিত একটি পরিকল্পিত প্রচারণা। এর মাধ্যমে তিনি বাংলাদেশের সেনাবাহিনী ও রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা বাহিনীর ভাবমূর্তি নষ্টের অপচেষ্টা চালাচ্ছেন।
প্রবাসে অবস্থান নিয়েও পিনাকী ভট্টাচার্য বাংলাদেশের ভূখণ্ড অখণ্ডতা ও জাতীয় নিরাপত্তার বিরুদ্ধে সক্রিয়ভাবে প্রচারণা চালাচ্ছেন, যা এখন উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
দেশের সাইবার ক্রাইম ইউনিট উচিত সংশ্লিষ্ট পোস্টগুলো শনাক্ত করে তদন্ত শুরু করা এবং যেসব ভেরিফাইড পেজ বা ব্যক্তি এ ধরনের বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার করছে, তাদের বিরুদ্ধে সাইবার আইনের আওতায় কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া। প্রয়োজনে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলোর উস্কানিমূলক পোস্ট মুছে ফেলার উদ্যোগ নেওয়া জরুরি।
নির্বাচন ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে এই ধরনের তথ্যযুদ্ধ বা ‘ডিজিটাল প্রোপাগান্ডা’ আরও তীব্র হতে পারে, যা দেশের স্থিতিশীলতা ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার জন্য উদ্বেগজনক।
 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ