ঢাকা , শুক্রবার, ১০ অক্টোবর ২০২৫ , ২৫ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
আমরা দাসত্বের মধ্যে থাকতে চাই না -প্রধান উপদেষ্টা রাষ্ট্রদূতরা যে কারও বাসায় যেতে পারেন-পররাষ্ট্র উপদেষ্টা সব ধরনের ক্রিকেট বর্জনের ঘোষণা ক্লাব সংগঠনের ফের মাঠে নামছে এনসিপি আরও কঠিন হচ্ছে আ’লীগের ফেরার পথ বিএনপি চায় সংসদে জামায়াত গণভোটে আমতলীত ও তালতলীতে ইলিশ ধরায় ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা, জেলেদের জন্য বিকল্প ব্যবস্থা অব্যাহত থাকবে হাসপাতাল মর্গে বেওয়ারিশ লাশের স্তূপ যানজটে আটকা সড়ক উপদেষ্টা, ১২ কর্মকর্তাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অফিস করার নির্দেশ রসায়নে নোবেল পেলেন ৩ বিজ্ঞানী গণভোটে নোট অব ডিসেন্ট গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনার আহ্বান আলী রীয়াজের দৈনিক জনতার প্রকাশক ছৈয়দ এম আন্ওয়ার হোসেনের তৃতীয় মৃত্যুবাষির্কী আজ আজ হংকংয়ের বিপক্ষে মাঠে নামবে বাংলাদেশ ফিফার কমিটিতে বাফুফের সভাপতি তাবিথ আউয়াল আমি আশাবাদী, আমরা ভালো করতে পারব : শমিত সিরিয়ার বিপক্ষে দারুণ জয় পেলো মেয়েরা ভারতের আম্পায়ারই কাল হলো বাংলাদেশের? ইংল্যান্ডের বিপক্ষে লড়াই করেও জিততে পারলোনা বাঘিনীরা বাংলাদেশ সফরের জন্য টেস্ট দল ঘোষণা দিলো আয়ারল্যান্ড প্রথমবারের মতো মাদ্রাসা ক্রিকেট চালু করতে যাচ্ছে বিসিবি

একাধিক বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ার প্রস্তাব দেবে কমিশন : আলী রীয়াজ

  • আপলোড সময় : ০৬-১০-২০২৫ ০৭:৩৮:৪৫ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ০৬-১০-২০২৫ ০৭:৩৮:৪৫ অপরাহ্ন
একাধিক বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ার প্রস্তাব দেবে কমিশন : আলী রীয়াজ
রাজনৈতিক দলগুলো জুলাই সনদ বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া নিয়ে এক জায়গায় না এলে কমিশন একাধিক বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ার প্রস্তাব দেবে বলে জানিয়েছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ। গতকাল রোববার দুপুরে ফরেন সার্ভিস একাডেমির মিলনায়তনে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠকের স্বাগত বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আলী রীয়াজ বলেন, বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ায় নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর পক্ষ থেকে ছয়টি প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। আমরা বলেছিলাম, এই ছয়টি প্রক্রিয়ার বিষয়ে আলাপ আলোচনার মধ্য দিয়ে যদি এটাকে একটি জায়গায় আনা যায়। উপস্থিত ৩০টি রাজনৈতিক দল যদি একটি প্রস্তাব দেয়, তাহলে আমরা অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে সানন্দে সেই প্রস্তাব উপস্থাপন করতে পারব। আমরা বলব, সেই একটি প্রস্তাব আছে, এটা বাস্তবায়নের পথ এভাবে আপনারা (অন্তর্বর্তীকালীন সরকার) বিবেচনা করতে পারেন।
কমিশনের সহ-সভাপতি বলেন, ১৭ সেপ্টেম্বরের আলোচনায় যে সমস্ত বিষয় উঠে এসেছিল, সেগুলোকে আমরা বিশেষজ্ঞদের কাছে অবহিত করেছি। তারই ভিত্তিতে তারা কিছু পরামর্শ দিয়েছেন। তাদের আগের অবস্থানকে ব্যাখ্যাও করেছেন। আপনাদের মধ্যে একমত হওয়ার জায়গা তৈরি হয় তাহলে এটা বাস্তবায়ন করা সহজতর হবে। দ্রুততার সঙ্গে করা সম্ভব হবে। এই সমস্ত বিবেচনার কথায় আজকে কমিশন সকালে প্রধান উপদেষ্টা এবং কমিশনের প্রধানের সঙ্গে বৈঠক করেছে। তিনি সবসময় এ বিষয়ে খোঁজখবর রাখছেন।
প্রধান উপদেষ্টা অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে কাজ এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার তাগিদ দিয়েছেন জানিয়ে আলী রীয়াজ বলেন, বাস্তবায়ন প্রক্রিয়াসহ বিশেষত সনদকে সবার কাছে গ্রহণযোগ্য করে সকলের স্বাক্ষরিত একটি রাজনৈতিক দলিলে পরিণত করা যায় কি না, সে বিষয়ে আমাদের তাগিদ দিয়েছেন। তিনি বলেন, আজকে আপনাদের কাছে আমরা এসেছি একটিমাত্র কারণে, সেটি হচ্ছে আপনাদের পক্ষ থেকে যদি আরও সুনির্দিষ্ট সুস্পষ্ট এবং স্বল্প প্রস্তাব থাকে সনদ বাস্তবায়নের, তাহলে আমাদের পক্ষে সেটাকে সমন্বিত করে আমরা অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ার বিভিন্ন উপায় উপস্থাপন করব। আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে, অবশ্যই ১৫ অক্টোবরের আগে এই প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে। তিনি আরও বলেন, নির্বাচনের প্রক্রিয়ার সঙ্গে আমরা দেখতে পাচ্ছি, রাজনৈতিক দলগুলোর সাংগঠনিক ব্যস্ততা আছে। নির্বাচনী প্রস্তুতি আছে। আপনারা বিভিন্ন এলাকায় যাচ্ছেন, সেগুলোতে যেন বাধাবিঘ্ন না হয়, সেটা আমরা করতে চাই। তাছাড়া ১৫ অক্টোবরই মেয়াদ শেষ হবে। তারও আগে আমরা এটা শেষ করতে চাই।
আলী রীয়াজ বলেছেন, আজকে আমরা প্রত্যাশা করছি, আপনারা সুনির্দিষ্টভাবে উপস্থাপন করবেন। আপনারা যদি দলগত বিবেচনার বাইরে গিয়ে সম্মিলিতভাবে কোনো প্রস্তাব দিতে পারেন, সেটা নিয়ে আমরা আলাপ-আলোচনা করব। তারই প্রেক্ষাপটে আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে, যদি আজকে ৩০টি রাজনৈতিক দল এক জায়গায় আসেন, তাহলে আমরা আর বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বসবই না। কিন্তু যদি প্রয়োজন হয়, বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আবার বসার দরকার হয় তাহলে সেটা আমরা বসব। তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ তাদের প্রাণ দিয়ে, তাদের রক্ত দিয়ে আমাদের একটা দায়িত্ব দিয়েছে। আপনারা তার অংশীদার। ১৬ বছর আপনাদের কর্মীরা জেল-জুলুম, অত্যাচার, নিপীড়ন সহ্য করেছেন। আপনাদের কর্মীরা প্রাণ দিয়েছেন। নাগরিকরা প্রাণ দিয়েছেন, তাদের একটা স্বপ্ন আছে, একটা জবাবদিহিমূলক রাষ্ট্র, যেখানে আমাদের সব নাগরিকের অধিকার সুরক্ষিত হবে। সেরকম একটি রাষ্ট্রের জায়গায় যাওয়ার জন্য যে সংস্কার সেই দায়িত্ব আপনাদের ওপর অর্পিত হয়েছে। এটা দায়িত্ব নয়, এটা আমাদের দায়। সেই দায় আমাদের পালন করতে হবে। কেবলমাত্র সনদ স্বাক্ষর করাই সে দায়ের শেষ নয়। আমাদের সবাই মিলে এই প্রচেষ্টা এই রাষ্ট্রের সংস্কার, কাঠামোগত সংস্কারের জায়গাটা তৈরি করতে হবে। জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি বলেন, প্রাণের বিনিময়ে আমরা এখানে এসেছি। আমরা যেন বিস্তৃত না হই। দলের চেয়ে সবচেয়ে বড় হচ্ছে নাগরিকদের অধিকারের প্রশ্ন। নাগরিকদের অবদান, আপনাদের দলের কর্মীদের অবদান, যারা প্রাণ দিয়েছেন, তারা আমাদের দায়িত্ব দিয়ে গেছেন, যারা বেঁচে আছেন, আহত অবস্থায়, তারা আমাদের কাছে প্রত্যাশা করছেন। আসুন আমরা সবাই মিলে সেই প্রত্যাশার জায়গাটায় যাতে যেতে পারি।
 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স