ঢাকা , রবিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৫ , ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
এই সরকার দিয়ে কোনো অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়-ডা. তাহের লাখো মানুষের জীবিকা হুমকির মুখে পড়বে যারা ধর্মের নামে রাজনীতির ব্যবসা করে, তাদের হাতে নারীরা নির্যাতিত-সালাহউদ্দিন আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না-প্রধান উপদেষ্টা নারীদের বাদ দিয়ে দেশের উন্নয়নের চিন্তা করলে ভুল হবে : সেনাপ্রধান নির্বাচনকালীন ডিসি নিয়োগ পুলিশ দেখে ফেলে যাওয়া প্রাইভেটকারে মিললো এক লাখ পিস ইয়াবা তিন মাসে আয়ে প্রবৃদ্ধি তবুও তিতাসের লোকসান ২৪৯ কোটি টাকা প্রেমিকাকে ভিডিও কলে রেখেই তরুণের আত্মহত্যা দুই দশকে ডায়াবেটিস আক্রান্তের সংখ্যা আটগুণ বৃদ্ধি মুন্সিগঞ্জের ভাষানচর বালুমহল ইজারা ঘিরে অভিযোগ, হয়রানি বন্ধে তদন্তের দাবি কৃষি গুচ্ছ ভর্তির আবেদন শুরু ২৫ নভেম্বর, পরীক্ষা ৩ জানুয়ারি ভয়াবহ দুর্ভোগ হানিফ ফ্লাইওভারে! যৌনাচারের অভিযোগে ঢাবি শিক্ষক গ্রেফতার ইসলামী ব্যাংক নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত জানাল কেন্দ্রীয় ব্যাংক নির্বাচনের আগে গণভোট চায় ৮ দল আমি পাশে না দাঁড়ালে গ্রামীণ ব্যাংকের অনেক স্থাপনা থাকতো না-কাদের সিদ্দিকী স্কুলে ভর্তিতে কোটা নিয়ে আপত্তি অভিভাবকদের দেশে দ্রুত কমছে খাদ্যের মজুত ট্রাভেল এজেন্সি অধ্যাদেশ-২০২৫ বাতিলের দাবি

বিপদাপন্ন গাছ কাটলে লাখ টাকা জরিমানা

  • আপলোড সময় : ০৬-১০-২০২৫ ০১:৩৬:১৪ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ০৬-১০-২০২৫ ০১:৩৬:১৪ অপরাহ্ন
বিপদাপন্ন গাছ কাটলে লাখ টাকা জরিমানা
* বন ও গাছ সংরক্ষণে হচ্ছে নতুন অধ্যাদেশ
* তিন শ্রেণিতে ভাগ করে গাছ কাটায় আসছে বিধি-নিষেধ
* শিল্প গড়তে শর্তসাপেক্ষে করা যাবে বনভূমির জমি বিনিময়
* বনের জমি ব্যক্তির নামে রেকর্ড হলে বাতিল হয়ে যাবে


সারাদেশে কোন গাছ কাটা যাবে আর কোন গাছ কাটা যাবে না সে বিষয় বিবেচনায় নিয়ে তিনটি শ্রেণি করা হচ্ছে। এর মধ্যে বিপদাপন্ন, দুর্লভ ও পরিবেশের জন্য অপরিহার্য গাছ কাটলে সর্বোচ্চ এক লাখ টাকা জরিমানা গুনতে হবে। দ্বিতীয় শ্রেণিতে থাকা গাছগুলো অনুমতি নিয়ে কাটা যাবে। আর তৃতীয় শ্রেণির অধীনে থাকা গাছগুলো কাটতে অনুমতির প্রয়োজন হবে না। এমন বিধান রেখে ‘বন ও বৃক্ষ সংরক্ষণ অধ্যাদেশ, ২০২৫’ এর খসড়া করেছে বন অধিদফতর। এরই মধ্যে খসড়াটির বিষয়ে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন পক্ষের মতামত নিচ্ছে বন অধিদফতর। এরপর এটি পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। শেষে এটি অনুমোদনের জন্য উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে যাবে বলে জানিয়েছেন বন অধিদফতরের কর্মকর্তারা।
খসড়া অধ্যাদেশে বনভূমির জরিপ ও রেকর্ড কীভাবে হবে-তা স্পষ্ট করা হয়েছে। এছাড়া শিল্পকারখানা গড়ার সুবিধার্থে শর্তসাপেক্ষে করা যাবে বনভূমির জমি (এক একরের কম) বিনিময়। বনের জমির বিনিময়ে শিল্প প্রতিষ্ঠানের দেওয়া বন সংলগ্ন দ্বিগুণ নিষ্কণ্টক জমি সংরক্ষিত বনভূমি হিসেবে ঘোষণা করবে সরকার।
বনভূমি হিসেবে রেকর্ডভুক্ত বা বন হিসেবে গেজেটভুক্ত ভূমি অন্য কোনো ব্যক্তি বা সংস্থার নামে রেকর্ডভুক্ত হলে, খতিয়ান সৃজন হলে বা নামজারি করা হলে তা বাতিল বলে বিবেচিত হবে। এ অধ্যাদেশ কার্যকর হওয়ার পর বন অধিদফতর অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বনভূমির জরিপ করবে এবং বনভূমির সীমানা চিহ্নিত করতে ও রেকর্ড হালনাগাদ করতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করবে। অধ্যাদেশে আরও বলা হয়, যেসব দাগে বন বিভাগের আংশিক জমি রয়েছে, সেসব দাগ এবং বনভূমির দাগ সংলগ্ন খাসজমি বন্দোবস্তের আগে সংশ্লিষ্ট বন বিভাগকে জানিয়ে যৌথ জরিপের মাধ্যমে বনভূমি ও খাস ভূমির সীমানা চিহ্নিত করতে হবে। বনের অখণ্ডতা রক্ষায় সরকার বনের অভ্যন্তরে বিদ্যমান খাসভূমি বন বিভাগের অনুকূলে হস্তান্তর করতে পারবে এবং ব্যক্তিমালিকানাধীন ভূমি বন বিভাগের অনুকূলে অধিগ্রহণ করে বন ঘোষণা করতে পারবে।
বনভূমি বন অধিদফতরের নিয়ন্ত্রণে থাকবে জানিয়ে খসড়া অধ্যাদেশে বলা হয়, কোনো প্রাকৃতিক বন বনবিরুদ্ধ বা বনবহির্ভূত কাজে ব্যবহার করা যাবে না। অন্যান্য বনভূমির ক্ষেত্রে শুধু অপরিহার্য জাতীয় প্রয়োজনে এবং অন্য কোনো বিকল্প না থাকলে নিরপেক্ষ পরিবেশগত ও সামাজিক প্রভাব নিরূপণ, ক্ষতিপূরণমূলক বনায়ন ও মন্ত্রিপরিষদের সিদ্ধান্ত সাপেক্ষে সরকার প্রধান বনভূমির বনবিরুদ্ধ/বনবহির্ভূত ব্যবহার অনুমোদন করতে পারবে। তবে এটা বনের বাস্তুতন্ত্রের অপূরণীয় ক্ষতি করলে বা কোনো বিপদাপন্ন উদ্ভিদ বা প্রাণীর ঝুঁকি বৃদ্ধি করলে অনুমোদন দেওয়া যাবে না।
কোনো বিধিবদ্ধ সংস্থা বা শিল্পপ্রতিষ্ঠানের মালিকানাধীন জমির অভ্যন্তরে বিচ্ছিন্নভাবে এক একরের কম কোনো বনভূমি থাকলে অপরিহার্যতা ও জনস্বার্থ বিবেচনায় বিধিমালা দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে সরকার প্রধানের অনুমোদনে বিনিময়ের অনুমতি দেওয়া যাবে। এক্ষেত্রে সরকারি গেজেট প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে ওই বনভূমির পরিবর্তে সংশ্লিষ্ট বন সংলগ্ন দ্বিগুণ নিষ্কণ্টক জমি ওই সংস্থা বা শিল্পপ্রতিষ্ঠান বন বিভাগকে হস্তান্তর করতে হবে। হস্তান্তরিত জমি সরকার সংরক্ষিত বনভূমি হিসেবে ঘোষণা করবে বলে প্রস্তাবিত অধ্যাদেশে জানানো হয়েছে।
খসড়ায় বলা হয়েছে, বৃক্ষ কর্মকর্তার অনুমোদন ছাড়া গেজেটভুক্ত বন, অশ্রেণিভুক্ত রাষ্ট্রীয় বন, সামাজিক বন, সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও গণপরিসরের বৃক্ষ কর্তন ও অপসারণ করা যাবে না। অধ্যাদেশে তিনটি তফসিল থাকবে। তফসিল-১ এ দুর্লভ প্রজাতির বিপদাপন্ন গাছের তালিকা থাকবে। তফসিল-২ এ তালিকা শতবর্ষী ও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ গাছের তালিকা থাকবে। তফসিল-৩ এ সাধারণ গাছের তালিকা থাকবে। অধ্যাদেশের তফসিল-১ এ বর্ণিত বা বন অধিদফতরের রক্ষিত বিপদাপন্ন ঘোষিত কোনো গাছ কাটা যাবে না। ব্যক্তি মালিকানাধীন ভূমিতে থাকা এ আইনের তফসিল-২ এ উল্লিখিত গাছ নির্ধারিত পদ্ধতি অনুসরণ করে অনুমতি নেওয়া ছাড়া কাটা যাবে না।
কোনো ব্যক্তি তফসিল-২ এ উল্লিখিত গাছ কাটতে চাইলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার কাছে বৃক্ষের প্রজাতি, সংখ্যা, আনুমানিক উচ্চতা, বুক সমান উচ্চতায় বেড়, কাটার কারণ ইত্যাদি উল্লেখ করে ফরম পূরণ করে আবেদন করবেন। বৃক্ষ কর্মকর্তা বা ফরেস্টারের নিচে নন এমন কোনো কর্মকর্তা আবেদন যাচাই-বাছাই ও গাছ পরিদর্শনের পর কারণ উল্লেখ করে আবেদন পাওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে লিখিত সিদ্ধান্ত দেবেন। গাছ কাটার আবেদন মঞ্জুর করা হলে বৃক্ষ কর্মকর্তা নিশ্চিত করবেন যে কাটা গাছের বিপরীতে আবেদনকারী একই এলাকায় নির্দিষ্ট প্রজাতি ও সংখ্যার বৃক্ষরোপণ করেছেন। বৃক্ষ কর্মকর্তার সিদ্ধান্তে সংক্ষুব্ধ কোনো ব্যক্তি বন অধিদফতরের নির্ধারিত নির্দেশিকা অনুযায়ী বন সংরক্ষকের কাছে আপিল করতে পারবেন, যা ১৫ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তিযোগ্য হবে। তফসিল-৩ এ উল্লিখিত বাণিজ্যিক প্রজাতির বৃক্ষ বা গ্রামীণ এলাকায় ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত গাছ কাটার ক্ষেত্রে বৃক্ষ কর্মকর্তার অনুমোদনের প্রয়োজন হবে না বলে খসড়া অধ্যাদেশে জানানো হয়েছে।
অধ্যাদেশে বলা হয়েছে, তফসিল-১ এ উল্লিখিত গাছ কাটলে সর্বোচ্চ এক লাখ টাকা জরিমানা দিতে হবে এবং অতিরিক্ত হিসেবে ক্ষতিপূরণ বনায়নের নির্দেশও দিতে পারবে কর্তৃপক্ষ। তফসিল-২ এ থাকা গাছ অনুমোদন ছাড়া কাটলে সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা দিতে হবে এবং অতিরিক্ত হিসেবে ক্ষতিপূরণ বনায়নের নির্দেশও দিতে পারবে কর্তৃপক্ষ।
অধ্যাদেশের অধীন সংঘটিত অপরাধের বিচারে ফৌজদারি কার্যবিধি প্রযোজ্য হবে জানিয়ে এতে আরও বলা হয়, এ অধ্যাদেশের অধীনে অপরাধের ক্ষেত্রে ক্ষমতাপ্রাপ্ত ফরেস্টার বা বিট অফিসার বা সমমানের পদের নিচে নন, এমন কোনো ফরেস্ট অফিসার মামলা দায়ের, অপরাধ তদন্ত এবং তদন্তে সাক্ষ্যগ্রহণ ও লিপিবদ্ধ করতে পারবেন। অপরাধ তদন্তের উদ্দেশ্যে যে কোনো সময়ে যে কোনো স্থানে প্রবেশ, তল্লাশি বা যে কোনো কিছু আটক বা যে কোনো কিছুর নমুনা, তথ্য ও দলিলাদি সংগ্রহ বা যে কোনো স্থান পরিদর্শন করতে পারবেন। যে কোনো আদালতে বিচারাধীন মামলায় বন অধিদফতরের পক্ষে উপস্থিত হয়ে মামলা পরিচালনা করতে পারবেন।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ বন অধিদফতরের প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমীর হোসাইন চৌধুরী বলেন, বন ও বৃক্ষ সংরক্ষণ আইন বলতে আসলে কিছু ছিল না। এ দুটি বিষয়কে এক করে আমরা অধ্যাদেশের খসড়া করেছি। এটি একেবারে নতুন একটি আইন। ?এটি হলে অন্য কোনো আইন বাতিল হবে না। প্রধান বন সংরক্ষক বলেন, বন আইনে বন অধিদফতরের দায়িত্ব-কর্তব্য সম্পর্কে বলা নেই। সেটা আমরা এখানে অন্তর্ভুক্ত করার চেষ্টা করেছি। এক্ষেত্রে সরকারেরও কী ভূমিকা সেটি খসড়ায় উল্লেখ করা হয়েছে। সারাদেশের বনভূমির ১০ দশমিক ৮৭ শতাংশ বন অধিদফতর নিয়ন্ত্রণ করে জানিয়ে প্রধান এই বন সংরক্ষক বলেন, ‘??বনভূমির জরিপ ও রেকর্ড কীভাবে হবে সেটি জরিপ আইনেও সেভাবে বলা নেই। শুধু তাদের ম্যানুয়ালে একটু বলা আছে, এগুলো কীভাবে জরিপ হবে। আমাদের গাজীপুর, ভালুকা, কক্সবাজারের বনভূমি জরিপের সময় বা অন্যান্য সময়ে বেহাত হয়ে যাচ্ছে। তাই বন সংরক্ষণ অধ্যাদেশের মধ্যে আমরা এ বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত করার চেষ্টা করছি। বন অধিদফতর বনের জরিপটা কীভাবে করবে, সেখানে ভুল-ত্রুটি হলে তা সহজে কীভাবে সংশোধন করা যাবে সেটি খসড়া অধ্যাদেশে উল্লেখ করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
নতুন বন অধ্যাদেশে একটি সুযোগ রাখা হচ্ছে জানিয়ে আমীর হোসাইন বলেন, যেমন ধরা যাক গাজীপুরে শিল্পকারখানায় কেউ হয়তো বেসরকারি জায়গা কিনেছে, এর মধ্যে হয়তো সর্বোচ্চ এক একর বনভূমি পড়ে গেছে, সেই বনভূমি হয়তো বিচ্ছিন্ন। ওই এক একর বনভূমির জন্য হয়তো সে তার শিল্পটা করতে পারছে না, এটা তার জন্য একটা বাধা। তাই আমরা একটা সুযোগ রেখেছি এক একর পর্যন্ত যদি কোনো বনভূমি শিল্পপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে পড়ে তাহলে তিনি অন্য জায়গায় বন অধিদফতরের সঙ্গে ওই জমি বদল করতে পারবেন। একই মৌজায় অন্য জায়গায় তিনি এক একরের জায়গায় দুই একর জমি কিনে দেবেন, ওই জায়গায় আমরা আবার বন সৃজন করবো। এ সুযোগ বন সংরক্ষণ অধ্যাদেশে রাখা হচ্ছে। বৃক্ষ সংরক্ষণের বিষয়টিও এই অধ্যাদেশে যুক্ত করা হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, গ্রামে অনেক বড় বড় গাছ অকাতরে কেটে ফেলা হয়। কোন গাছ কাটা যাবে, কোন গাছ কাটা যাবে না-সে বিষয়ে তিনটি তফসিল হবে। প্রথম তফসিলে ওই গাছগুলোর নাম থাকবে যেগুলো কোনোভাবেই কাটা যাবে না। এ ধরনের গাছ কাটার জন্য কোনো ধরনের অনুমতি দেওয়া হবে না। যে গাছগুলো একেবারে দুর্লভ হয়ে গেছে এবং প্রাণীবৈচিত্র্যের জন্য যে গাছগুলো খুবই প্রয়োজনীয়, এ তফসিলে সেই গাছগুলো থাকবে।
প্রধান বন সংরক্ষক বলেন, দ্বিতীয় তফসিলে থাকবে সেই গাছগুলো যেগুলো অনুমতি নিয়ে কাটা যাবে। জেলা প্রশাসন নাকি বন অধিদফতর কর্তৃপক্ষ অনুমতি দেবে, সেটি সরকার ঠিক করবে। আরেকটি তফসিল (তফসিল-৩) হবে, এর অধীনের গাছগুলো কাটতে অনুমতির প্রয়োজন হবে না। সচরাচর মানুষ বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে যেসব গাছ লাগায় সেগুলোর নাম এ তফসিলে থাকবে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে তিনটি তফসিল প্রস্তুত করার আশা প্রকাশ করে প্রধান বন সংরক্ষক বলেন, তফসিলের বিধান নমনীয় থাকবে। প্রয়োজনে তফসিল পরিমার্জন ও পরিবর্তন করা যাবে। তিনি আরও বলেন, বিভিন্ন পক্ষের মতামত নিয়ে খসড়াটি চূড়ান্ত করে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। মন্ত্রণালয় পর্যায়ের কিছু প্রক্রিয়া আছে, সেগুলো সম্পন্ন করে শেষে অধ্যাদেশটি উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে অনুমোদনের জন্য পাঠানো হবে। খসড়া অধ্যাদেশে বলা হয়েছে, বন বিভাগের নামে গেজেট করা এবং আগের যে কোনো রেকর্ডে বা জরিপে বন বিভাগের নামে রেকর্ড হয়েছে এমন ভূমি বন বিভাগের নামে রেকর্ড নিশ্চিত করতে হবে। বৃক্ষাচ্ছাদন থাকুক বা না থাকুক, বনভূমি হিসেবে রেকর্ড করা বা বন হিসেবে গেজেটে অন্তর্ভুক্ত ভূমি প্রচলিত আইন অনুযায়ী সরকারের পক্ষে বন বিভাগের নামে রেকর্ড করতে হবে। ‘প্রটেকটেড ফরেস্ট’র ক্ষেত্রে জেলা প্রশাসকের নামে রেকর্ডভুক্ত হলে বন বিভাগের ব্যবস্থাপনার বিষয়টি রেকর্ডে উল্লেখ থাকতে হবে। অর্পিত বনের ক্ষেত্রে অর্জিত এবং অর্পিত বনভূমি অন্য কোনো সংস্থা বা ব্যক্তির নামে রেকর্ডভুক্ত হলে বন বিভাগের ব্যবস্থাপনার বিষয়টি রেকর্ডে উল্লেখ নিশ্চিত করতে হবে বলে এতে উল্লেখ করা হয়েছে।
 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স