
হাওরের ট্যুরিজমের কারণে মাছের ক্ষতি হচ্ছে- প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা
- আপলোড সময় : ২৯-০৯-২০২৫ ০৬:২৯:৫৪ অপরাহ্ন
- আপডেট সময় : ২৯-০৯-২০২৫ ০৬:২৯:৫৪ অপরাহ্ন


মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, টাঙ্গুয়ার হাওরের ট্যুরিজমের কারণে মাছের ক্ষতি হচ্ছে। তাই যেখানে মাছ থাকবে, সেখানে ট্যুরিজম নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। হাওরের অর্ধেক সময় পানি আর অর্ধেক সময় কৃষির চাষাবাদ হয়। ফলে কৃষি ক্ষেত্রে অনিয়ন্ত্রিত কীটনাশক ব্যবহারের প্রভাব থেকে যায়। গতকাল রোববার দুপুরে ময়মনসিংহে অবস্থিত বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের বার্ষিক গবেষণা অগ্রগতি পর্যালোচনা ও পরিকল্পনা প্রণয়ন শীর্ষক এক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। কর্মশালায় ফরিদা আখতার বলেন, বাংলাদেশের মাছ বৈচিত্রপূর্ণ, মেঘনা ও পদ্মা নদীর পানি দূষণ এবং ডুবোচরের কারণে ইলিশ মাছের উৎপাদন কমেছে। জিআই তালিকায় হালদার রুই, কাতলা যাতে অন্তর্ভুক্ত হয়, সেজন্য আরও গবেষণা করতে হবে। পরিবেশের তালিকায় যেমন বিপন্ন তালিকা রয়েছে তেমনি মাছেরও বিপন্ন তালিকা থাকা দরকার। এজন্য প্রকল্প গ্রহণ করতে হবে। কোনো মুক্ত জলাশয় যাকে-তাকে ইজারা দেয়া যাবে না। তবে যারা মৎস্য ব্যবস্থাপনায় জড়িত তাদেরকে ইজারা দিতে হবে। এক সময় মুক্ত জলাশয়ের মাছ ছিল ৬০ শতাংশ আর বদ্ধজলাশয়ে ৪০ শতাংশ। সেই চিত্র এখন উল্টো হয়েছে। তাছাড়া পরিবেশ ও স্বাদের দিক থেকেও একেক এলাকার মাছ, একেক রকম। এসব মাছের গবেষণায় বিজ্ঞানীদের ভূমিকা রাখতে হবে। মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব আবু জাহের মুহাম্মদ জাবের বলেন, মাছের খাদ্য মূল্য কেন অধিক তা যথাযথভাবে এনবিআর এর কাছে তুলে ধরতে হবে। যাতে সঠিক মূল্য নির্ধারণ করা যায়। সেই সঙ্গে নতুন নতুন জাত উদ্ভাবন এবং নদ-নদীর পানি দূষণরোধে মৎস্য বিজ্ঞানীদের গবেষণায় আরও কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে। কর্মশালায় বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান ফারাহ শাম্মী বলেন, গবেষণার মাধ্যমে মৎস্য খাতে নতুন দিগন্তের সূচনা করতে হবে। তবেই বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের দ্বার উন্মোচিত হবে। এ সময় সভাপতির বক্তব্যে বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. অনুরাধা ভদ্র বলেন, এই কর্মশালায় ৪৯টি গবেষণা পরিকল্পনা উপস্থাপন করা হয়েছে। ভবিষ্যতে মাছের রোগ প্রতিরোধের জন্য ভ্যাকসিন উৎপাদনে মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানীরা কাজ করছে বলেও জানান তিনি। কর্মশালায় আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মৎস্য বিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মো. রফিকুল ইসলাম, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. আবদুর রউফসহ বিএফআরআই-এর বিজ্ঞানীরা, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা ও মৎস্য খামারিরা। এর আগে কর্মশালার শুরুতে বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মোহাম্মদ আশরাফুল আলম গবেষণা পরিকল্পনার বিস্তারিত তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন।
কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ