সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জান-মালের ওপর হামলার দায়ে দুর্বৃত্তদের সরকার যথোপযুক্ত শাস্তি দেবে বলে প্রত্যাশা করছেন বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ এবং মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটির নেতারা। তারা বলেছেন, হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজায় কোনও মন্দির-মণ্ডপে হামলার ঘটনা তারা দেখতে চান না।
গতকাল শুক্রবার রাজধানীর আজিমপুরে ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে সংবাদ সম্মেলনে তারা এসব দাবি জানান। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটির সভাপতি জয়ন্ত কুমার দেব।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের দুই উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী এবং কাজল দেবনাথ। আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি বাসুদেব ধর, মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটির সাধারণ সম্পাদক তাপস কুমার পালসহ পূজা উদযাপন পরিষদের জ্যেষ্ঠ নেতারা।
জয়ন্ত কুমার দেব জানান, দুর্গাপূজার প্রস্তুতির মধ্যেই কয়েকটি জেলায় দুর্গাপ্রতিমা ও মন্দিরে হামলার ঘটনা ঘটেছে। জেলাগুলো হচ্ছে কুষ্টিয়া, চট্টগ্রাম, কুড়িগ্রাম, সাতক্ষীরা, ঝিনাইদহের শৈলকূপা, শৈলকূপা, গাইবান্ধা, পঞ্চগড়, জামালপুর, নাটোর, গাজীপুর, মানিকগঞ্জ ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, পূজার মধ্যে আমরা এসব হামলা দেখতে চাই না। শুধু আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পদক্ষেপ নয়, রাষ্ট্রের আলোকিত চেতনা ও সামাজিক প্রতিরোধের মাধ্যমে এই সহিংসতার অবসান ঘটাতে হবে। একই সঙ্গে বলতে চাই, পূজার পাঁচ দিনের নিরাপত্তা নিয়ে ভাবলে হবে না, বৈষম্যবিরোধী বাংলাদেশ গড়তে চাইলে ৩৬৫ দিনের নিরাপত্তা নিয়ে ভাবতে হবে। অসাম্প্রদায়িক চেতনার বিকাশ ঘটাতে হবে। দুর্বৃত্তদের বিচারের সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, আমরা দেখতে চাই।
মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটির সভাপতি বলেন, ২৭ সেপ্টেম্বর দুর্গাপূজার বোধন। শৈলকূপা মহাষষ্ঠী। সোমবার মহাসপ্তমী, মঙ্গলবার মহাঅষ্টমী ও ১ অক্টোবর মহানবমী, বৃহস্পতিবার বিজয়া দশমী, বিসর্জন। সেদিন বিকাল ৩টায় ঢাকাসহ সারা দেশে বিজয়ার শোভাযাত্রা শুরু হবে।
জয়ন্ত কুমার দেব বলেন, ঢাকা মহানগরে এবার নেত্রকোণা পূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। গত বছর ঢাকা মহানগরে ২৫২টি পূজার আয়োজন হয়েছিল। সে হিসেবে মহানগরে ৭টি পূজা বেড়েছে। সারা দেশে ৩৩ হাজার ৩৫৫টি পূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। গত বছর ৩১ হাজার ৪৬১টি পূজার আয়োজন করা হয়েছিল। এবারের দুর্গাপূজায় প্রতিটি মণ্ডপে দুই দফা দাবি তুলে ধরা হবে বলে জানান জয়ন্ত কুমার দেব। এ দাবিগুলো হলো সারা দেশে ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘু নেতৃত্ব ও নিরপরাধ মানুষের বিরুদ্ধে অসত্য ও ঢালাও ভিত্তিহীন হয়রানিমূলক মামলা পূজার আগে প্রত্যাহার করতে হবে। সরকারি-আধা সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জোরপূর্বক পদচ্যুতি বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

পূজা উদযাপন পরিষদের সংবাদ সম্মেলন
পূজা উদযাপন পরিষদের সংবাদ সম্মেলন
- আপলোড সময় : ২৭-০৯-২০২৫ ০২:২৪:১২ অপরাহ্ন
- আপডেট সময় : ২৭-০৯-২০২৫ ০২:২৪:১২ অপরাহ্ন


কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ