ঢাকা , বুধবার, ০৪ জুন ২০২৫ , ২১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
গ্যাস কূপ খনন বাড়াতে কেনা হবে নতুন রিগ ঈদ উপলক্ষে সাপ্তাহিক ছুটি বাতিল করলো রেলওয়ে ঈদে অভ্যন্তরীণ রুটে অতিরিক্ত ফ্লাইট পরিচালনা করছে বিমান চাঁদাবাজি ও এক হাটের পশু অন্য হাটে নিলে কঠোর ব্যবস্থা- র‌্যাব শ্রমিক-পুলিশ সংঘর্ষে আহত ২৫ পুলিশভ্যানে কাভার্ডভ্যানের ধাক্কা ৪ গাড়ি খাদে ঋণের বোঝা কমাতে সঞ্চয়পত্র বিক্রির লক্ষ্য কমাল সরকার ঋণের বোঝা কমাতে সঞ্চয়পত্র বিক্রির লক্ষ্য কমাল সরকার এক টাকা আয় করতে আড়াই টাকা ব্যয় তামান্নার উজ্জ্বল ত্বকের গোপন টিপস এক সিনেমায় দুই ক্লাইম্যাক্স! পাকিস্তানে টিকটকারকে গুলি করে হত্যা এবার এক সিনেমাতেই সাতটি চরিত্রে দেখা যাবে ইধিকাকে সংকটাপন্ন অবস্থায় অভিনেত্রী তানিন সুবহা এবার ঈদে মুক্তি পাচ্ছে নতুন ৭ সিনেমা এবার ঈদে মুক্তি পাচ্ছে নতুন ৭ সিনেমা প্রকাশ পেলো ‘তাণ্ডব’ এর ২য় গান বিশেষ ভাতা পাবেন হাওর-চর দ্বীপ এলাকার শিক্ষকরা ক্রীড়াঙ্গনের বাজেট বাড়ছে ২৪২৩ কোটি টাকার প্রস্তাব বাজেটে প্রতিরক্ষা খাতে বরাদ্দ কমেছে

উন্নয়নে যারা সহযোগিতা করবে তাদের নিয়ে চলবো : প্রধানমন্ত্রী

  • আপলোড সময় : ০২-০৬-২০২৪ ০৯:০৯:১৪ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ০৩-০৬-২০২৪ ০১:১২:০৯ পূর্বাহ্ন
উন্নয়নে যারা সহযোগিতা করবে তাদের নিয়ে চলবো : প্রধানমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গতকাল রোববার গণভবনে 'আমার চোখে বঙ্গবন্ধু' শীর্ষক একমিনিট ব্যাপী ভিডিওচিত্র তৈরী প্রতিযোগিতায় জাতীয় পর্যায়ে নির্বাচিতদের সম্মাননা, ক্রেস্ট ও আর্থিক পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন
যেসব দেশ উন্নয়নে সহযোগিতা করবে বাংলাদেশ তাদের নিয়ে চলবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল রোববার গণভবনে ‘আমার চোখে বঙ্গবন্ধু’ শীর্ষক এক মিনিটের ভিডিও নির্মাণ প্রতিযোগিতায় জাতীয় পর্যায়ে নির্বাচিতদের সম্মাননাপত্র, ক্রেস্ট ও আর্থিক পুরস্কার প্রধান অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, কার দেশের সঙ্গে কার দেশের ঝগড়া, সেটা আমার দেখার দরকার নেই। নিজের দেশের উন্নয়নটা আমার আগে দরকার। আমরা সবসময় শান্তি চাই, যুদ্ধ চাই না। সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব চাই এবং সেই বন্ধুত্ব রেখেই কিন্তু আমি এগিয়ে যাচ্ছি। তিনি বলেন, আমি মনে করি, এ বাংলাদেশকে আর কেউ পেছনে টানতে পারবে না। ১৫ আগস্টের পর আমাদের যেভাবে ভিক্ষুক জাতিতে পরিণত করেছে আর যেন এটা না করতে পারে কেউ সেজন্য আমাদের সবসময় সজাগ থাকতে হবে। দেশটাকে নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। তিনি আরও বলেন, ‘জাতির পিতা স্বাধীনতার জন্য মানুষকে উদ্বুদ্ধ করেছিলেন। পরিবারের সবাই সেটা জানতেন, কিন্তু স্বাধীনতার কথা মুখে বলা বারণ ছিল। জাতির পিতাকে হত্যার পর ৬ বছর নির্বাসনে ছিলাম। সেসময় জয়-পুতুল খুব দেশে আসতে চাইত। কিন্তু আমাদের দেশে আসতে দেয়া হয়নি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, দেশে কিছু লোক এমন আছে যারা বেশ জ্ঞানী-গুণী, কিন্তু তারা শুধু নিজেদের আরাম-আয়েশের দিকে বেশি তাকায়। তৃণমূল পর্যায়ের মানুষ শক্তিশালী হবে, সিদ্ধান্ত নেবে, ক্ষমতাসীন হবে এটা তারা মানতে পারে না। অনেকেই স্যাটেলাইটের সমালোচনা করছেন। তারা আসলে কিছু ভালো না-লাগা গ্রুপ। আবার কিছু তৈরি হয়ে গেলে খুব মজা করে তারা ব্যবহার করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা সবসময় শান্তি চাই, যুদ্ধ চাই না। সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব চাই এবং সেই বন্ধুত্ব রেখেই কিন্তু আমি এগিয়ে যাচ্ছি। সবাইকে সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, আমি মনে করি এ বাংলাদেশকে আর কেউ পেছনে টানতে পারবে না। ১৫ আগস্টের পর আমাদের যেভাবে ভিক্ষুকের জাতিতে পরিণত করেছে, আর যেন এটা না করতে পারে কেউ, সেজন্য আমাদের সবসময় সজাগ থাকতে হবে। দেশটাকে নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। নতুন প্রজন্মকে ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিয়ে ভবিষ্যতের জন্য নিজেদের তৈরি করতে হবে। এখন প্রযুক্তির যুগ, বিজ্ঞানের যুগ, জ্ঞানের যুগ। আমাদের ছেলে-মেয়েদের বলবো, লেখাপড়া ও জ্ঞান অর্জন ছাড়া নিজেকে তৈরি করতে পারবো, কিন্তু দেশকে তৈরি করতে পারবো না। শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের ছোট্ট সোনামণি, আমাদের নতুন প্রজন্ম, তোমরাই একদিন এই দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। কিন্তু সেটা করতে হলে একটা আদর্শ লাগে। ইতিহাস থেকে আমাদের শিক্ষা নিতে হবে।
‘আগামী দিনের পথচলা আমাদের খুঁজে বের করতে হবে’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা যেন আরও সুন্দরভাবে বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি। সেভাবেই নিজেদের প্রস্তুত করতে হবে। শিক্ষা ছাড়া কখনও এটা সম্ভব নয়। শিক্ষা ছাড়া কোনোদিন জাতিকে দারিদ্র্যমুক্ত করা যায় না। শিক্ষাই হচ্ছে সব থেকে বড় অর্জন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, তোমাদের তৈরি হতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাটা যেন নষ্ট না হয়। ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত উন্নত বাংলাদেশ গড়ে উঠবে। তোমাদেরই গড়ে তুলতে হবে।
‘আমরা কারও কাছে হাত পেতে চলবো না’ মন্তব্য করে তিনি বলেন, নিজের মর্যাদা নিয়ে চলবো। আত্মমর্যাদাবোধ নিয়ে চলবো, এটাই আমাদের মাথায় সবসময় রাখতে হবে। একটা কথা মনে রাখবে যে ভিক্ষুক জাতির কোনও ইজ্জত থাকে না। ১৯৭৫ সালের আমরা ভিক্ষুক জাতিতে পরিণত হয়েছিলাম। সঠিক ইতিহাস জানা প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যে ইতিহাস বিকৃত করা হয়েছিল, আজ সেই ইতিহাস বিকৃতি আস্তে আস্তে মুছে গেছে। এখন সঠিক তথ্য চলে এসেছে। এর আগে প্রধানমন্ত্রী প্রতিযোগিতায় জাতীয় পর্যায়ে নির্বাচিতদের হাতে সম্মাননাপত্র, ক্রেস্ট ও আর্থিক পুরস্কার তুলে দেন।

 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স