ঢাকা , বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫ , ১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
নিবন্ধন চাওয়া ১৪৪ দলই প্রাথমিক বাছাইয়ে অনুত্তীর্ণ ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি আরও ৩৭৫ বাক্সবন্দি মেশিন এখন চায়ের টেবিল সংখ্যালঘু ঐক্য মোর্চার সংবাদ সম্মেলন নিয়ে পুলিশের ব্যাখ্যা ঐকমত্যে আসতে পারেনি রাজনৈতিক দলগুলো প্রাণনাশের হুমকি দিল প্রতারক ৪ দফা দাবি জোরপূর্বক প্রত্যাগত ওমান প্রবাসী ফোরামের পুলিশ কল্যাণ তহবিল থেকে দেড় কোটি টাকার অনুদান পাবে ৩৮৯ জন বিমানবন্দর থেকে ৯৬ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠালো মালয়েশিয়া নির্বাচন কমিশনের ৫১ কর্মকর্তাকে বদলি গেটে হাঁটুপানি, ভোগান্তিতে রোগী-স্বজনরা জিয়ার অনুকম্পায় রাজনীতি করে এখন তার পুত্রকে টার্গেট করছেÑ রিজভী চাঁদাবাজির অভিযোগে ওসিসহ ৬ পুলিশ প্রত্যাহার পঞ্চবেকি বয়া নদীর আয়রন ব্রিজ মৃত্যুফাঁদ ময়মনসিংহে মুক্তিপণ দিয়ে মিললো শিশুর লাশ ৪ লাখ টন চাল কিনবে সরকার, বেসরকারিভাবে ৫ লাখ টনের অনুমতি কে কাকে লাল কার্ড দেখাবে, তা ঠিক করবে জনগণ-ডা. জাহিদ বাংলাদেশিদের মিসরের ভিসা দিতে নিষেধাজ্ঞা নেই : দূতাবাস ইইউ’র প্রাক-নির্বাচনী অনুসন্ধানী দল ঢাকা আসছে সেপ্টেম্বরে সংরক্ষিত আসন বিলুপ্তির সুপারিশের প্রতিবাদ মহিলা পরিষদের

পর্যাপ্ত হাসপাতাল থেকেও প্রয়োজনীয় সেবা নেই

  • আপলোড সময় : ০২-০৬-২০২৪ ১২:৫৩:২৪ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ০২-০৬-২০২৪ ১২:৫৩:২৪ অপরাহ্ন
পর্যাপ্ত হাসপাতাল থেকেও প্রয়োজনীয় সেবা নেই

অরুন্ধুতি রায়
অসুস্থতা বা দুর্ঘটনা কোনো নির্দিষ্ট সময় করে আসে না। যেকোনো মুহূর্তে মানুষ অসুস্থ বা দুর্ঘটনায় পড়তে পারে। এমন মর্মান্তিক অবস্থা থেকে বাঁচতে প্রয়োজন চিকিৎসা। আর চিকিৎসার জন্য চায় হাসপাতাল। যখন হাসপাতাল পর্যাপ্ত পরিমাণ থাকার পরেও প্রয়োজনীয় চিকিৎসা পাওয়া যায় না তখন বিষয়টি কেমন দাঁড়ায়? সরকার কোটি কোটি টাকা ব্যয় করেছেন হাসপাতালের পিছনে অথচ সেখানে চিকিৎসা হচ্ছে না! মিরসরাইয়ের মতো চট্টগ্রাম বিভাগের ১১টি জেলার ৯২টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যন্ত্রপাতির স্বল্পতার কারণে প্রয়োজনীয় চিকিৎসাসেবা পাওয়া যায় না। উপজেলা হাসপাতালগুলোয় ২৪৪টি চিকিৎসা যন্ত্রপাতি জেনারেটর অচল পড়ে রয়েছে। ছাড়া ১১টি জেলা হাসপাতালের ৮১টি যন্ত্র অচল অবস্থায় রয়েছে। বিভাগের জেলা উপজেলার ১০৩ হাসপাতালে মোট বিকল যন্ত্রপাতির সংখ্যা ৩২৫। পার্বত্য চট্টগ্রামের উপজেলা হাসপাতালগুলোয় যন্ত্রপাতির জন্য বেশি হাহাকার চলছে। চিকিৎসাসেবা-সংকটের পাশাপাশি বিদ্যুৎ না থাকলে অন্ধকারেও ডুবে থাকতে হয় অনেক হাসপাতালকে। অনেক হাসপাতালে জেনারেটর নেই। আবার জেনারেটর থাকলেও ¦ালানির বরাদ্দ পর্যাপ্ত নয়। তাই প্রান্তিক পর্যায়ে কাক্সিক্ষত সেবা না পেয়ে লোকজন ছুটছেন বিভাগীয় হাসপাতালে। সাধারণত উপজেলা হাসপাতালগুলোয় ইসিজি, এক্সরে, আলট্রাসাউন্ড, অ্যানেসথেসিয়া যন্ত্র, ডায়াথার্মিক যন্ত্র সাধারণ অস্ত্রোপচারের (সিজারিয়ানসহ) ব্যবস্থা থাকে। উপজেলা হাসপাতালগুলোর ২৯টিতে আলট্রাসাউন্ড মেশিন নেই। আবার আলট্রাসাউন্ড থাকলেও তার জন্য উপজেলা পর্যায়ে কোনো সনোলজিস্টের পদ নেই। রাঙামাটির পাঁচটি উপজেলা হাসপাতালে এক্সরে যন্ত্র, ডায়াথার্মিক যন্ত্র, অ্যানেসথেসিয়া যন্ত্র নষ্ট অথবা নেই। নেই ওটি টেবিলও। আবার দুটি হাসপাতালে এসব যন্ত্রের পাশাপাশি আলট্রাসাউন্ড যন্ত্র এবং জেনারেটর সুবিধাও নেই। বান্দরবানের তিনটি উপজেলা হাসপাতালে ডায়াথার্মিক, অ্যানেসথেসিয়া, এক্সরে মেশিন, ওটি টেবিল জেনারেটর নেই। খাগড়াছড়ির সাতটি উপজেলা হাসপাতালে ডায়াথার্মিক, ওটি টেবিল, আলট্রাসাউন্ড নেই। ম্বাস্থ্যমন্ত্রী সামন্ত লাল সেন বলেছেন, প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে কাজ করে যাব। চট্টগ্রামের পাশাপাশি অন্যান্য জেলারও স্বাস্থ্যসেবা যাতে আরও উন্নত হয় প্রচেষ্টা সরকারের রয়েছে। কিন্তু বাস্তবতার চিত্র বিপরীত। যেখানে প্রয়োজনে চিকিৎসা সেবাই পাওয়া যায় না, সেখানে উন্নত চিকিৎসাসেবা তো বিলাসিতা কেবল। উন্নয়নশীলের পথে হাঁটা দেশে এমন চিত্র ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে। ওই সমস্যাগুলো সমাধানে সরকার দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া দরকার। যেসব হাসপাতালে ডাক্তার সংকট সেসব জায়গায় ডাক্তার নিযুক্ত করুন। ছাড়া চিকিৎসা ক্ষেত্রে যেসকল যন্ত্রপাতি প্রয়োজন প্রত্যেকটি হাসপাতালে এর সুব্যবস্থা করুণ। সময়মতো চিকিৎসা নিতে পারলে  জনসাধারণ দুর্ভোগ থেকে মুক্তি পাবে এবং সুস্থতার সম্ভাবনাও বেশি থাকবে।

লেখক : গণমাধ্যম কর্মী
 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স
প্রতিবেদকের তথ্য