মোঃ মিজানুর রহমান, কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি
বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, বর্তমানে অন্তর্বতীকালীন সরকার দেশ পরিচালনা করছে। এই সরকার কিছু সংস্কারের প্রস্তাবনা দিয়েছে। এই প্রস্তাবগুলোর ৯৫ পার্সেন্ট বিএনপি আরও আড়াই বছর আগে দেশের মানুষের সামনে উপস্থাপন করেছে। বাংলাদেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল তাদের মতামত দিয়েছে। বিএনপিও মতামত দিয়েছে। কোন কোন বিষয় হয়তো অন্যান্য কারও সাথে আমাদের মতপার্থক্য আছে। কিন্তু বাংলাদেশের মানুষের রাজনৈতিক অধিকার, ভোটের অধিকার, দেশের মানুষের নিরাপত্তা ও কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে মানুষের বেঁচে থাকার অধিকারের প্রশ্নে বিএনপি’র কারও সাথে কোন আপত্তি নেই। এই কাজগুলোকে যদি সম্পাদন করতে হয় তাহলে আমাদের অবশ্যই জনগণের রায়ে একটি সরকার প্রতিষ্ঠিত হতে হবে। যেই সরকার জনগনের কাছে জবাবদিহি করতে বাধ্য থাকবে।
শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপি’র ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে ভিডিও কনফারেন্স যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তারেক রহমান বলেন, কাজগুলো যদি করতে হয় দেশের ভবিষ্যত সন্তান যারা তাদের শিক্ষার ব্যবস্থা গড়ে তোলার জন্য যা করার প্রয়োজন, নারীদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করার জন্য নারীদের স্বাবলম্বী করার জন্য যা প্রয়োজন, দেশের কিশোর-যুবক যে কোন মানুষ যার এই মুহুর্তে কর্মসংস্থান নেই সেটি দেশে হোক বিদেশে হোক তাকে প্রশিক্ষন দেওয়ার মাধ্যমে একজন শ্রমিক হিসেবে গড়ে তোলে তার কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা। ছোট ছোট উদ্যোক্তা যারা তাদেরকে সহযোগিতার মাধ্যমে তাদের সফল করা। কৃষকের পাশে গিয়ে দাঁড়ানো সঠিক সময় তার সার, বীজ, কীটনাশক সরবরাহ প্রস্তুতি গ্রহণ করা। মানুষের চিকিৎসা যেটি মানুষের জন্মগত অধিকার। গ্রামের মানুষ থেকে শুরু করে শহরের মানুষ প্রত্যেকে যেন সুবিধা পায় ।
কিশোরগঞ্জ জেলা পুরাতন স্টেডিয়ামে আয়োজিত সম্মেলনে জেলা বিএনপি’র সভাপতি শরীফুল আলমের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলামের সঞ্চালনায় সম্মেলনে উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি’র মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বিশেষ অতিথি বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম। প্রধান বক্তা বিএনপি’র জাতীয় নির্বাহী কমিটির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী কান সোহেল। অতিথি সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, কোষাধ্যক্ষ এম রশিদুজ্জামান মিল্লাত, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট শাহ মোঃ ওয়ারেছ আলী মামুন, আবু ওয়াহাব আকন্দ।
সকাল থেকেই জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে মিছিল নিয়ে নেতাকর্মীরা স্টেডিয়ামে সমবেত হন। কয়েক হাজার কর্মীর উপস্থিতিতে উৎসবমুখর পরিবেশে শুরু হয় সম্মেলন। এখন চলছে ২ হজার ৯০ জন কাউন্সিলর ভোটের মধ্য দিয়ে জেলা বিএনপি’র নতুন সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচন কাজ। এই ভোটের মধ্য দিয়েই গঠিত হবে কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপি’র নতুন নেতৃত্ব। সভাপতি পদে ২ জন ও সাধারণ সম্পাদক পদে ৪ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata
