নগরবাসীর গলার কাঁটা অবৈধ অটোরিকসা
- আপলোড সময় : ১৮-০৯-২০২৫ ০২:২৩:৩০ অপরাহ্ন
 - আপডেট সময় : ১৮-০৯-২০২৫ ০২:২৩:৩০ অপরাহ্ন
 
                                  
                     
                            
                            
                            
                               * উল্টোপথে চলাচল করছে ব্যাটারিচালিত রিকশা,অসহায় ট্রাফিক বিভাগ
* উৎপাদন বন্ধ ও চার্জিং স্টেশনগুলো নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে
* ডাম্পিংয়ে ৩ মাস আটকে রাখার কৌশল ট্রাফিক পুলিশের
ক্রমেই রাজধানীজুড়ে বেপরোয়া হয়ে উঠছে অবৈধ ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। অবৈধ এই তিন চাক্কার যানবাহনের সংখ্যা দিনকে দিন বেড়ে যাওয়ায় নিয়ন্ত্রণে হিমশিম খাচ্ছে দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশ। গোটা নগরজুড়ে অবৈধ ইজিবাইক-মোটা চাকার অটোরিকশাও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাসহ অন্যান্য যানবাহনের দৌরাত্ম্যে ভয়াবহ যানজট পিছু ছাড়ছে না। পাঁচ মিনিটের রাস্তা যেতে সময় লেগে যাচ্ছে এক থেকে দুই ঘন্টা। রীতিমতো তাদের সামাল দিতে হিমসীম খাচ্ছে ট্রাফিক সদস্যরা। অটো চালকদের দাপটে ভেঙে পড়েছে ট্রাফিক ব্যবস্থা। একইসঙ্গে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে ঢাকায় চলাচলরত কোটি মানুষের। এতে ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা ও ইজিবাইক নগরবাসীর গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে জানিয়েছেন সাধারণ মানুষ।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিগত ৭/৮ বছর যাবত শ্রমজীবীদের একটি বড় অংশ এখন ব্যাটারি রিকশা চালাচ্ছেন। এতে কৃষিখাতসহ বিভিন্ন খাতে শ্রমিক সংকট তৈরি হচ্ছে। ফলে উৎপাদন কমছে, দ্রব্যমূল্যের দামও বাড়ছে। আবার দুর্ঘটনার কারণে অনেক কর্মক্ষম তরুণের স্বাস্থ্যগত সমস্যা এবং অঙ্গহানি ঘটছে। ব্যাটারিচালিত রিকশাগুলোর বিষয়ে কখনও কোনো কথা হয়নি। ইজিবাইকের কাঠামোগত কিছু পরিবর্তনের সুপারিশ করেছিল বুয়েট। বিআরটিএর কাছে প্রস্তাবও জমা দিয়েছে বুয়েট। এরপর বিষয়টি আর সামনে এগোয়নি। তবে পরিবহন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ব্যাটারিচালিত রিকশার অবাধ চলাচল শুধু সড়কে অরাজকতা তৈরি করছে না, বরং পুরো শহরের পরিবহন ব্যবস্থায় একধরনের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে। তাদের মতে, এই বাহনগুলো মূলত গলিপথে চলাচলের জন্য উপযোগী। অথচ তারা এখন মহাসড়ক থেকে উড়াল সড়ক সব জায়গায় অবাধে দাপট দেখাচ্ছে। এতে দ্রুতগামী গাড়ি ও গণপরিবহনকে বারবার হঠাৎ করে থামতে হচ্ছে। ফলে দুর্ঘটনা ঘটছে এবং যানচলাচলের স্বাভাবিক ছন্দ ব্যাহত হচ্ছে। তারা বলেন, যাত্রীদের সস্তা ও সহজলভ্য সেবা দেওয়ার কথা বলে ব্যাটারিচালিত রিকশা অল্প সময়ে জনপ্রিয় হয়ে উঠলেও এর কোনো নিয়ন্ত্রণ কাঠামো নেই। ফলে চালকেরা নিয়ম না মেনে যেভাবে-সেভাবে গাড়ি চালাচ্ছেন। ফলে শুধু পথচারী নয়, প্রাইভেটকার থেকে শুরু করে বাসচালকেরাও আতঙ্কে থাকেন। কথা হয় যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) অ্যাক্সিডেন্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউটের সহকারী অধ্যাপক কাজী মো. সাইফুন নেওয়াজ এর সঙ্গে। তিনি বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে শহরের সব জায়গায় ব্যাটারিচালিত রিকশার আধিক্য লক্ষ করা গেছে, যা একাধিক দুর্ঘটনার মূল কারণ হিসেবে কাজ করছে। প্রকৃতপক্ষে এই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা এখন প্রায় অসম্ভব পর্যায়ে পৌঁছেছে। তবে, এটাকে মোকাবিলার জন্য কিছু কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব। সর্বপ্রথম ব্যাটারিচালিত রিকশার নতুন উৎপাদন অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে। এছাড়া, চার্জিং স্টেশনগুলো নিয়ন্ত্রণে আনা এবং নতুন ডিজাইনের রিকশাগুলোতে আরও নিরাপদ প্রযুক্তি ব্যবহার করা জরুরি।
সরেজমিনে রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্ট ঘুরে দেখা গেছে, রাজধানীবাসীর গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে ব্যাটারিচালিত অটোরিকসা। গোটা নগরজুড়ে অবৈধ এবং অনিয়ন্ত্রিত অটোরিকশার কারণে যত্রতত্র সৃিষ্ট হচ্ছে ভয়াবহ যানজট ও জনদুর্ভোগ। তবে এই অবৈধ অটোরিকশাগুলোর বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিতে গেলেই উল্টো কতিপয় অসাধু ব্যক্তি চালকদের দিয়ে আন্দোলন শুরু করে দেয়। ফলে ইচ্ছে থাকলেও প্রশাসন তাদের বিরুদ্ধে তেমন ব্যবস্থা নিতে পারছে না বলে জানা গেছে। যদিও এসব অবৈধ জান চলাচলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অনেকে। গতকাল বুধবার দুই যাত্রী নিয়ে শ্যামলী ক্রস করার সময় মূল সড়কে ঢোকার মুখে একটি ব্যাটারিচালিত রিকশা আটকে দেয় ট্রাফিক পুলিশ। সেটিকে ফেরত পাঠানো হয়। একই অটোরিকশা আবার ঘুরে তেজগাঁও ডিসি অফিসের পেছন দিয়ে মূল সড়কে ওঠে। এরপর উল্টোপথে শিশুমেলার সামনে দিয়ে ঢুকে পড়ে। বাস ও অন্য রিকশার জটলা পেরিয়ে বাধাহীনভাবেই পৌঁছায় গন্তব্যে, আগারগাঁও মেট্রো স্টেশনের নিচে। ব্যাটারিচালিত রিকশার চালক রুহুল আমিন পরিবার নিয়ে থাকেন বছিলায়। প্রতিদিন যাত্রী নিয়ে দূর-দূরান্তের ট্রিপ মারেন। তিনি বলেন, আমি একলা আইন মানলে কী হবে? আইন মানতে হলে সবাইকে মানতে হবে। দূরের ভাড়ায় টাকা বেশি, রিকশাও বেশি। নগরবাসীরা জানান, আগে এই যানগুলো কেবল অভ্যন্তরীণ সড়কেই সীমাবদ্ধ ছিল। কিন্তু এখন আজমপুর থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত মহাসড়কেও এরা নির্বিঘ্নে চলাচল করছে। অনেক সময় বাস বা প্রাইভেট কারের সঙ্গেও এদের গতির প্রতিযোগিতা চলে। এ কারণে প্রতিদিন দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন পথচারী, প্রাইভেটকারের চালক, মোটরসাইকেলের আরোহী ও সাধারণ যাত্রীরা। অনেকেই ক্ষোভ ও হতাশার কথা তুলে ধরেছেন। আজমপুর বাসস্ট্যান্ডে প্রাইভেটকারের চালক মইনুল হাসান বলেন, রিকশা হঠাৎ ব্রেক করে দাঁড়িয়ে গেলে বা উল্টো দিক থেকে এলে আমরা দিশেহারা হয়ে যাই। গাড়ি নিয়ন্ত্রণে রাখা অনেক সময় কঠিন হয়ে পড়ে। কারণ, এরা খুব দ্রুত লেন পরিবর্তন করে। আবার এদের ইন্ডিকেটর লাইটও নেই। হঠাৎ করে সড়কের পাশ থেকে মাঝখানে চলে আসে। প্রায় প্রতিদিনই মনে হয় দুর্ঘটনা ঘটবে। প্রাইভেটকারের চালক বাচ্চু মিয়া বলেন, ব্যাটারিচালিত রিকশার জন্য প্রতিদিন আমাকে অন্তত ২০২৫ মিনিট বেশি সময় রাস্তায় কাটাতে হয়। এই রিকশার কারণে আমাদের জীবনই দুঃসহ হয়ে গেছে। গত সপ্তাহে আমার গাড়ির সামনের অংশে একটি ব্যাটারিচালিত রিকশা এসে ধাক্কা মারে। ক্ষতি বেশি হয়নি, কিন্তু কয়েক হাজার টাকা খরচ গেছে। রাতের বেলা সবচেয়ে বেশি বিপদে পড়ি। কারণ, তখন এরা কোনো লাইটই জ্বালায় না। রাজধানীর খিলক্ষেত এলাকার চিত্র আরও ভয়াবহ। ব্যাটারিচালিত রিকশা যেন প্রতিদিন অফিসগামী যাত্রীদের যানজটের দুর্ভোগে পড়ার মূল কারণ। সরেজমিনে খিলক্ষেত বাজার ও আশপাশের রাস্তায় সারি সারি ব্যাটারিচালিত রিকশা দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। ট্রাফিক সিগন্যাল না মানা এবং উল্টো পথে প্রবেশ করা এদের নিত্যদিনের কাজ। স্থানীয় পথচারী আফরোজা আক্তার ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, রাস্তা পার হতে গেলেই মনে হয় কখন যেন ধাক্কা দেয়। ব্যাটারিচালিত রিকশার শব্দ কম, হঠাৎ সামনে চলে আসে। সিএনজি চালক হুমায়ুন কবির জানান, আগে এই এলাকায় ছোট দূরত্বের যাত্রীরা আমাদেরই নিত। এখন সবাই ব্যাটারিচালিত রিকশায় যায়। কারণ, ভাড়া কম ও সুবিধাজনক। এতে আমাদের আয় অর্ধেকের বেশি কমে গেছে। মিরপুরের চিত্রও একই রকম। মিরপুর ১ থেকে ১০ নম্বর পর্যন্ত সব সড়কেই ব্যাটারিচালিত রিকশার অবাধ চলাচল লক্ষ করা যায়। শুধু গলিপথ নয়, প্রধান সড়কেও তারা অবলীলায় চলাচল করছে। তবে সবচেয়ে ভয়াবহ চিত্র দেখা যায় নিউমার্কেট এলাকায়। এখানে প্রতিদিন হাজারও মানুষ কেনাকাটা করতে আসেন, পাশাপাশি শিক্ষার্থীদেরও ব্যাপক যাতায়াত থাকে। নিউমার্কেটের ব্যবসায়ী নুরুল ইসলাম বলেন, ক্রেতারা এসে গাড়ি পার্কিং করতে পারেন না। রাস্তায় রিকশার চাপ এত বেশি যে মানুষ ঠিকমতো হাঁটতেও পারে না। মহাসড়কে দ্রুতগতির বাস-ট্রাকের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করা বা উড়াল সড়কের ওপরে হঠাৎ দাঁড়িয়ে যাত্রী তোলা— সবই নির্বিঘ্নে করছে চালকেরা। ফলে প্রতিদিন ঘটছে দুর্ঘটনা, আহত হচ্ছেন অসংখ্য মানুষ। তবে ব্যাটারিচালিত রিকশা নিয়ন্ত্রণে আনতে পারছে না পুলিশ। যদিও ট্রাফিক পুলিশ বলছে, ঢাকায় ব্যাটারিচালিত রিকশা অবৈধ বাহন, প্রাতিষ্ঠানিক কোনো অনুমোদন নেই। অথচ ঢাকার যানজট ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার সবচেয়ে বড় বাধা এখন ব্যাটারিচালিত রিকশা। এক কথায়, রাস্তায় এত বেশি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা যে বিরক্ত ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরাও অসহায়। নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন পুলিশ সদস্য জানান, মূল সড়ক কিংবা মহাসড়কে এই যানবাহন চলাচল সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ থাকলেও প্রায়শই তারা দেখছেন, ব্যাটারিচালিত রিকশা ট্রাফিক সিগন্যাল ভেঙে নির্দ্বিধায় গলিপথ থেকে মূল সড়কে উঠে আসছে। এতে গাড়িচালকদের জন্য বিপজ্জনক পরিস্থিতি সৃষ্টি হচ্ছে। একজন ট্রাফিক পুলিশ সার্জেন্টের ভাষ্য, আমরা নিয়মিত অভিযান চালাই। কিন্তু সমস্যা হলো এই রিকশাগুলো হুট করেই আবার চলে আসে। অনেক সময় স্থানীয় প্রভাবশালীদের সুপারিশও থাকে। ফলে কঠোরভাবে ব্যবস্থা নেওয়া কঠিন হয়ে পড়ে। আরেকজন সার্জেন্ট হতাশা প্রকাশ করে বলেন, এখানে মূল সমস্যা হলো নিয়ন্ত্রণ। আমরা চাইলে আজকেই সব রিকশা উঠিয়ে দিতে পারি, কিন্তু আগামীকাল আবার দেখা যাবে আরও বেশি রিকশা সড়কে নেমেছে। দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা ছাড়া কেবল অভিযান চালিয়ে এই সমস্যার সমাধান করা সম্ভব নয়। প্রতিদিন অন্তত ডজনখানেক ব্যাটারিচালিত রিকশা জব্দ করি। কিন্তু মালিকেরা অল্প কিছু টাকা জরিমানা দিয়ে আবারও রাস্তায় নামিয়ে দেয়। ফলে দুর্ঘটনার ঝুঁকি কমছে না, আবার আমাদের প্রচেষ্টাও স্থায়ী হচ্ছে না।
ডিএমপি সদর দফতরের ট্রাফিক বিভাগ থেকে জানানো হয়েছে, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত এক লাখ ৯১ হাজার ২৫২টি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার বিরুদ্ধে আইনানুগ পদক্ষেপ নিয়েছে ট্রাফিক পুলিশ। এর মধ্যে ৪০ হাজার ২৫৭টি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ডাম্পিং করা হয়েছে। ডিএমপির যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক-অ্যাডমিন, প্ল্যানিং অ্যান্ড রিসার্চ) মো. আনিছুর রহমান বলেন, এখন আমাদের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জের নাম ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। অবৈধ অটোরিকশা অনেক বেড়েছে। যদিও আমাদের কাছে কত লাখ ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চলে, সেই পরিসংখ্যান নেই। তিনি বলেন, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা মূল সড়কে আসে, এটা অস্বীকার করার উপায় নেই। তবে, আমরা যদি সচেতনভাবে চেষ্টা না করতাম, উদ্যোগ না নিতাম, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিতাম, তাহলে ঢাকা শহরে যানচলাচল স্থবির হয়ে পড়ত। ঢাকা এখনো সচল, কারণ আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি।
ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ডাম্পিং করা কষ্টসাধ্য ও সময়সাপেক্ষ। অনেক ওজনের হয়। ডাম্পিং গ্রাউন্ড দূরে। সবমিলিয়ে ব্যয়বহুল ও সময়সাপেক্ষ। এছাড়া, আমাদের পর্যাপ্ত স্পেস নাই। সেজন্য আগে আমরা এক মাস ডাম্পিং করা ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা আটকে রাখতাম। এরপর আসলে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দিতাম। এখন সেটা তিন মাস পর্যন্ত আটকে রাখছি। এরপর মুচলেকা নেওয়ার সময় ঢাকার বাইরে চালানোর শর্তে ফেরত দিচ্ছি। কারণ, এটা ডেস্ট্রয় করা যায় না। এখানে অর্থ খরচের বিষয় আছে। পরিবার আছে বলেই আমরা খুব বেশি কঠোর হতে পারি না। তিনি বলেন, আমাদের ট্রাফিক বিভাগে জনবল প্রয়োজনের তুলনায় কম। তবে, ঢাকার অন্তত নয়টি পয়েন্টে আমাদের ২৪ ঘণ্টা সার্ভিস দিতে হয়। আগে রাত ১০/১১টা পর্যন্ত ডিউটি দেওয়া হতো, এখন অন্তত ১২টা পর্যন্ত। অর্থাৎ আমাদের ডিউটির পরিধি ও সময় বেড়েছে। কিছুদিনের মধ্যে অন্তত আরও ৫০টি স্থানে আমাদের ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় ডিউটির পরিধি ২৪ ঘণ্টা করতে হবে।
ডিএমপির ট্রাফিক তেজগাঁও বিভাগের শেরে-বাংলা নগর জোনের সহকারী কমিশনার জাকির হোসেন বলেন, আমাদের স্বাভাবিক ট্রাফিক পুলিশিং কার্যক্রম চরমভাবে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। আগারগাঁও মোড়ে হরহামেশা ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ঢুকে পড়ছে। সিগন্যাল, রুট কিছুই মানে না। মানতেও চায় না। কখনো কখনো উড়োজাহাজ ক্রসিংয়েও ঢুকে পড়ে। আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। তবে ট্রাফিক রমনা জোনের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) কাজী রোমানা নাসরিন বলেন, পুরো ঢাকা শহর অটোরিকশার কারণে অস্থির। কোনো নিয়ম মানার বালাই নাই। আমাদের হাতে তো অটোরিকশা নিয়ন্ত্রণের উপায় নাই। আমরা পারি ধরে ধরে ডাম্পিং করতে। মূল কাজ বাদ দিয়ে এটা নিয়মিত করা কতটা সম্ভব। তিনি বলেন, আমার তো ভিআইপি এলাকা। এখানে সরকারি দফতর, সচিবালয়, মন্ত্রিপাড়া, মন্ত্রণালয়ের ভিআইপিদের চাপ। সেখানে হুটহাট অটোরিকশা ঢুকে পড়ছে। অনেক দুর্ঘটনা ঘটাচ্ছে। অটোরিকশার কারণে সড়কে গতি কমে গেছে। এটার কোনো সুরাহা করতে পারছি না।
                           
                           
নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata
                            
                       
     কমেন্ট বক্স 
                            
 
                          
                       
                        
                                      সর্বশেষ সংবাদ
                                
                                
 
 সফিকুল ইসলাম