 
                            
                        রামগতিতে ভুলুয়া নদীর ভাঙন রোধে মানববন্ধন
 
                                  
                     
                             
                            
                            
                               রামগতি (লক্ষ্মীপুর) থেকে রেজাউল হক 
রামগতি উপজেলার চররমিজ ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মীর সমাজের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া ভুলুয়া নদীর তীব্র ভাঙনের কবলে পড়া পরিবারের ঘরবাড়ি, কৃষি জমি ভাঙন রোদে ভুলুয়া নদীর তীরে বাঁধ নির্মাণের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন এলাকাবাসী। গত শনিবার দুপুরে চররমিজ ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মীর সমাজের ভুলুয়া নদীর পাড়ে এই মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়। এসময় বক্তব্য রাখেন- চররমিজ ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার হুমায়ুন কবির, মীর সমাজ জামে মসজিদের সভাপতি মো. আব্দুল্লাহ, স্থানীয় বাসিন্দা জহির উদ্দীন, শিক্ষার্থী নাহিদুল ইসলাম,আজিমা বেগম, কুলছুম ও  রাবেয়া বেগম প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, লক্ষ্মীপুরের রামগতি ও নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার সীমান্তের চররমিজ ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মীর সমাজের উপর দিয়ে বয়ে গেছে ভুলুয়া নদী। নদীটির সুবর্ণচর অংশে চর জেগে উঠায় রামগতির অংশে তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে। এতে মীর সমাজের কয়েক হাজার পরিবার নদী ভাঙনের মুখে পড়ে। ইতোমধ্যে অন্তত শতাধিক ঘরবাড়ি নদী গর্বে বিলীন হয়ে গেছে। এখনো ৪০টির মতো বসতবাড়ি হুমকির মুখে আছে। এছাড়াও কয়েক একর কৃষি জমি ভুলুয়া নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। নদীর পাশেই রয়েছে, উত্তর চর আফজাল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চরআফজল মীর সমাজ নুরানী মাদরাসা, চরআফজল মীর সমাজ জামে মসজিদসহ অন্তত ১০ হাজার মানুষের বসবাস। এসব মানুষগুলো রয়েছে চরম উদ্বিগ্ন উৎকন্ঠায়। বক্তারা আরও বলেন, ভুলুয়া নদীর ওই স্থানে দ্রুত ব্লক বাঁধ নির্মাণ না করলে অল্প সময়ের মধ্যে মীর সমাজটি নদী গর্বে বিলীন হয়ে যাবে। তাই তারা দ্রুত নদীর তীরে বাঁধ নির্মাণ করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
এ ব্যাপারে লক্ষ্মীপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী নাহিদ-উজ-জামান খান বলেন, সরেজমিনে গিয়ে তদন্ত করে ওই স্থানে বাঁধ নির্মাণের উদ্যোগ নিবেন তিনি।
প্রিয়জনদের অশ্রুসিক্ত নয়নে চির বিদায় নিলেন সাংবাদিক শফিকুর রহমান
সরাইল (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) থেকে মো. রাকিবুর রহমান রকিব
সরাইলে প্রিয়জনদের অশ্রুসিক্ত নয়নে চির বিদায় নিলেন সাংবাদিক শফিকুর রহমান। গত ১৪ সেপ্টেম্বর সকাল ১০টায় উপজেলার কুট্টাপাড়া খন্দকারপাড়া কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে জানাজা শেষে  স্থানীয় পারিবারিক কবরস্থানে দাফনের মধ্য দিয়ে তাকে চির বিদায় দেয়া হয়। এর আগে  গত ১২ সেপ্টেম্বর বিকাল ২টা ৪৫ মিনিটে তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ডেঙ্গু জ্বরে  আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। পারিবারিকভাবে তিনি স্ত্রী, ৪ মেয়েসহ অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। ইটালী প্রবাসী তার দুই মেয়ে শেষ বারের মতো তাদের পিতার লাশ দেখতে ইটালি থেকে দেশে আসায় লাশ দাফন বিলম্বিত হয়। পূর্বঘোষিত সময় অনুযায়ী গত ১৪ সেপ্টেম্বর সকাল ৯টায় কুট্টাপাড়া খেলার মাঠে মরহুম সাংবাদিক শফিকুর রহমানের জানাজা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও বৈরী আবহাওয়ার কারণে ১ ঘণ্টা বিলম্বে সকাল ১০টায় স্থানীয় জামে মসজিদে জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়।  
উপজেলার সদর ইউনিয়নের কুট্টাপাড়া গ্রামের মরহুম হাজী ওয়াজদু মিয়ার দ্বিতীয় পুত্র সাংবাদিক শফিকুর রহমান সরাইল উপজেলা কৃষক লীগের সভাপতি, সরাইল উপজেলা প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক ও পরে দীর্ঘদিনের সভাপতি দায়িত্বে ছিলেন, দৈনিক যায়যায়দিন ও স্যাটেলাইট টেলিভিশন মোহনা টিভির সরাইল প্রতিনিধি ছিলেন। এছাড়া তিনি সরাইল পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা পরিষদের একাধিকবার নির্বাচিত সাবেক সদস্য ছিলেন। সরাইল সদর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান  মো. হুমায়ুন কবিরের ছোট ভাই মরহুম সাংবাদিক শফিকুর রহমানের মৃত্যুতে সাংবাদিক মহলসহ বিভিন্ন মহলের পক্ষ থেকে গভীর শোক প্রকাশ করা হয়েছে এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারবর্গের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করা হয়েছে।
                           
                           
নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata
                            
                       
     কমেন্ট বক্স 
                            
 
                          
                       
                        
                                      সর্বশেষ সংবাদ
                                
                                 
  
                                                     
                                                 
                                                     
                                                 
                                                     
                                                 
                                                     
                                                 
                                                     
                                                 
                                                     
                                                 
                                                     
                                                 
                                                     
                                                 
                                                     
                                                 
                                                     
                                                 
                                                     
                                                 
                                                     
                                                 
                                                     
                                                 
                                                     
                                                 
                                                     
                                                 
                                                     
                                                 
                                                     
                                                 
                                                     
                                                 
                                                     
                                                 
                                                     
                                                 
                                                     
                                                