ঢাকা , শুক্রবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৫ , ১৬ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
৩ ব্যাংক হিসাব ও কম্পিউটার জব্দ এনসিটি ইজারাদানের বিরুদ্ধে বাড়ছে তীব্রআন্দোলনের শঙ্কা মাউশি ডিজি নিয়োগে সিন্ডিকেটে চূড়ান্ত আ’লীগ জামায়াতপন্থী আট প্রার্থী ইসির প্রতীক তালিকায় ‘শাপলা কলি’, প্রত্যাখ্যান এনসিপির ইসির প্রতীকের তালিকায় যুক্ত ‘শাপলা কলি’ রাজধানীতে সেনা অভিযানে কিশোর গ্যাং পাটালি গ্রুপের ১০ সদস্য আটক নভেম্বরে গণভোট, সংশোধিত আরপিও বহাল চায় জামায়তসহ ৮ দল গণভোট ঘিরে সামাজিকমাধ্যমে ‘হ্যাঁ-না’ ক্যাম্পেইন ত্রয়োদশ নির্বাচনে তরুণদের প্রাধান্য দিচ্ছে জামায়াত সড়কে দুর্ঘটনা নিয়ে উদ্বেগ আছে, সমাধান নেই জনপ্রশাসনে শৃঙ্খলা ফেরানোর উদ্যোগ বিএনপি-জামায়াতের ‘কুতর্কে’ আমরা জড়াব না-নাসীরুদ্দীন নির্বাচনের দিন ছাড়া বিএনপি গণভোটের সিদ্ধান্ত মানবে না : ফখরুল ২০৩৪ সালের মধ্যে ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতি গড়ার লক্ষ্য বিএনপির-তারেক রহমান যে যাই বলুক ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হবে-আসিফ নজরুল একবিংশ শতাব্দীর কঠিন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকার আহ্বান-সেনাপ্রধান ৭ কলেজ ও সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি নিয়ে শিক্ষা সচিবসহ ৫ জনকে আইনি নোটিশ টি-টোয়েন্টি বোলিং চার্টে বাংলাদেশের তিন তারকার দাপট ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ

লক্ষীপুরের কামানখোলা জমিদার বাড়িকালের সাক্ষী হয়ে আজও দাঁড়িয়ে

  • আপলোড সময় : ১৫-০৯-২০২৫ ১১:১৪:১২ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ১৫-০৯-২০২৫ ১১:১৪:১২ অপরাহ্ন
লক্ষীপুরের কামানখোলা জমিদার বাড়িকালের সাক্ষী হয়ে আজও দাঁড়িয়ে
লক্ষ্মীপুর থেকে ভি বি রায় চৌধুরী
লক্ষীপুর সদর উপজেলার কামানখোলা গ্রামে দাঁড়িয়ে আছে এক ঐতিহাসিক নিদর্শন—কামানখোলা জমিদার বাড়ি। প্রায় আড়াইশো বছর আগে স্থাপিত এই বাড়িটি জেলার অন্যতম প্রাচীন স্থাপনা। দীর্ঘদিনের অবহেলা আর সংস্কারের অভাবে আজ এটি ধ্বংসাবশেষ।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, জমিদার দর্পনারায়ন  দাসের বংশধররাই এ জমিদারী প্রথা পরিচালনা করতেন। তাঁদের মধ্যে ক্ষেত্রনাথ দাস, যদুনাথ দাস,  হরেন্দ্র নারায়ণ দাস চৌধুরী ও গোপেন্দ্র নারায়ণ রায় চৌধুরী  বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। তাঁদের উত্তরসূরীদের কেউ কেউ বর্তমানে ভারতের বিভিন্ন স্থানে বসবাস করছেন, আবার কেউ রয়েছেন বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে।
স্থাপত্য বৈশিষ্ট্যে বাড়িটি বিশেষ গুরুত্ব বহন করে। স্থানীয় উপাদান ও পশ্চিমা শৈলীর মিশ্রণে নির্মিত এই স্থাপনাটিতে রয়েছে উন্মুক্ত উঠোন, ঝুলন্ত ছাদ, খিলান, প্রতিসম সম্মুখভাগ ও দৃষ্টিনন্দন স্তম্ভ, বাড়িতে ঢুকতে সিংহ দরজা, ঐতিহাসিক প্রাসাদ । সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এর শোভা হারালেও ইতিহাস-ঐতিহ্যের সাক্ষী হিসেবে এখনো কালের স্বাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে জমিদার  বাড়িটি।
প্রতিদিনই বাংলাদেশের বিভিন্ন  জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে দর্শনার্থীরা এই জমিদার বাড়ি দেখতে আসেন। কিন্তু সংস্কারের অভাব, ভাঙাচোরা অবস্থা ও অবকাঠামোগত দুর্বলতায় পর্যটকরা হতাশ হচ্ছেন। বিশেষ করে প্রায় ৪৮ একর আয়তনের জমিদার বাড়িটির প্রবেশপথে ২০০ মিটারের রাস্তা দীর্ঘদিন ধরে জরাজীর্ণ হয়ে পড়ে আছে। এতে স্থানীয় জনগণ ও দূর-দূরান্ত থেকে আগত দর্শনার্থীরা ভোগান্তিতে পড়ছেন।
স্থানীয় সচেতন মহল ও দর্শনার্থীদের দাবি, প্রশাসন যদি জরাজীর্ণ এই রাস্তাটি কার্পেটিং  করে এবং জমিদার বাড়িটির সংস্কারের উদ্যোগ নেয়, তবে এটি দেশের ঐতিহ্যবাহী স্থাপনা হিসেবে নতুনভাবে পর্যটন সম্ভাবনা সৃষ্টি করবে।
জমিদারদের উত্তরসূরীদের মধ্যে বয়োজ্যেষ্ঠ  বাংলাদেশ প্রেসক্লাব লক্ষীপুর জেলা শাখার সভাপতি  দৈনিক জনতার স্টাফ রিপোর্টার, বিশিষ্ট সাংবাদিক ভাস্কর বসু রায় চৌধুরী বলেন, “এই জমিদার বাড়ি শুধু ইট-পাথরের স্থাপনা নয়; এটি আমাদের ইতিহাস ও সংস্কৃতির অংশ। দ্রুত সংস্কার করা না হলে আমরা একটি ঐতিহাসিক নিদর্শন হারিয়ে ফেলবো।”
ইতিহাস-ঐতিহ্য গবেষকরা মনে করেন, যথাযথ সংস্কার ও সরকারি নজরদারি নিশ্চিত করা গেলে কামানখোলা জমিদার বাড়ি পর্যটকদের জন্য নতুন দিগন্ত উন্মোচন করতে পারে।
 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স
প্রতিবেদকের তথ্য