ঢাকা , শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫ , ২৮ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
বিশ্বকাপের টিকেট না পাওয়ায় বরখাস্ত হলো ভেনেজুয়েলা ও পেরুর কোচ বিশ্বকাপের টিকিটের জন্য ২৪ ঘণ্টায় জমা পড়লো দেড় মিলিয়ন আবেদন মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন জামাল ভূঁইয়ারা হিজাব পরায় হেনস্থার শিকার হয়েছিলেন উসমান খাজার মা! প্রত্যাশা অনুযায়ী বিক্রি হচ্ছেনা ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের টিকিট অর্ধশত উইকেটের ক্লাবে পা রাখলেন রিশাদ জয় দিয়ে এশিয়া কাপ শুরু করলো টাইগাররা আজ নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে লংকানদের মুখোমুখি হচ্ছে টাইগাররা সচিব পদের ১২ কর্মকর্তাকে দুদকে তলব নির্বাচনের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নিলেন বিএনপিপন্থি তিন শিক্ষক মিশ্র প্রতিক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে শেষ হলো ভোটগ্রহণ ইয়াকুবের পেটে গুলি লেগে বেরিয়ে যায় ভুঁড়ি প্রাণ হারান ইসমামুলও সশস্ত্র বাহিনীর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতার মেয়াদ আরও বাড়লো অন্তর্বর্তী সরকারপ্রধান নিয়ে ঐকমত্য হয়নি প্রেসিডেন্টের আশ্বাস ট্রাম্প-মোদীর সম্পর্কের বরফ গলছে ঢাকায় ১৯ মি.মি বৃষ্টি জলাবদ্ধতায় ভোগান্তি শেখ হাসিনাসহ ২৮৬ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা টেকনাফের জলসীমায় হঠাৎ বেপরোয়া আরাকান আর্মি বেকারত্বের শীর্ষে ঢাকা ২য় স্থানে চট্টগ্রাম পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে ভোট দিতে পারবেন প্রবাসীরা
স্নাতক তরুণরাই বেকারত্বে শীর্ষে

বেকারত্বের শীর্ষে ঢাকা ২য় স্থানে চট্টগ্রাম

  • আপলোড সময় : ১২-০৯-২০২৫ ০৬:৫৮:০৭ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ১২-০৯-২০২৫ ০৬:৫৮:০৭ অপরাহ্ন
বেকারত্বের শীর্ষে ঢাকা ২য় স্থানে চট্টগ্রাম
শ্রমশক্তি জরিপ ২০২৪
চট্টগ্রাম বিভাগে ৫ লাখ ৮৪ হাজার, রাজশাহীতে ৩ লাখ ৫৭ হাজার, খুলনায় ৩ লাখ ৩১ হাজার, সিলেটে ২ লাখ ১৬ হাজার, রংপুরে ২ লাখ ৬ হাজার, বরিশালে ১ লাখ ৩৯ হাজার এবং ময়মনসিংহ বিভাগে ১ লাখ ৪ হাজার বেকার আছে।
 
দেশে বিভাগওয়ারি হিসাবে সবচেয়ে বেশি বেকার রয়েছে ঢাকা বিভাগে। এই বিভাগে ৬ লাখ ৮৭ হাজার বেকার আছে। এরপরের দুটি স্থানে আছে যথাক্রমে চট্টগ্রাম ও রাজশাহী বিভাগ। গতকাল বৃহস্পতিবার শ্রমশক্তি জরিপ ২০২৪-এর চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)।
চট্টগ্রাম বিভাগে ৫ লাখ ৮৪ হাজার, রাজশাহীতে ৩ লাখ ৫৭ হাজার, খুলনায় ৩ লাখ ৩১ হাজার, সিলেটে ২ লাখ ১৬ হাজার, রংপুরে ২ লাখ ৬ হাজার, বরিশালে ১ লাখ ৩৯ হাজার এবং ময়মনসিংহ বিভাগে ১ লাখ ৪ হাজার বেকার আছে। আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) সংজ্ঞা অনুযায়ী, সপ্তাহে এক ঘণ্টা কাজ করে মজুরি পেলে তাঁকে বেকার হিসেবে ধরা হবে না। এক মাস ধরে কাজপ্রত্যাশী এবং সর্বশেষ এক সপ্তাহে কেউ যদি এক ঘণ্টা মজুরির বিনিময়ে কাজ করার সুযোগ না পান, তাঁদের বেকার হিসেবে গণ্য করা হবে। এটি আন্তর্জাতিক মানদণ্ডের সংজ্ঞা। সেই হিসেবে বাংলাদেশের বেকারসংখ্যা ২৬ লাখ ২৪ হাজার। কিন্তু বাংলাদেশের বাস্তবতায় সপ্তাহে এক ঘণ্টা কাজ করে জীবনধারণ অসম্ভব। এদিকে মনমতো কাজ না পাওয়া এমন ব্যক্তি আছেন প্রায় এক কোটি। তাঁদের ছদ্ম বেকার হিসেবে ধরা হয়। উন্নত দেশের প্রেক্ষাপট ভিন্ন। উন্নত দেশের মানুষ সপ্তাহে এক ঘণ্টা কাজ করলে মজুরির পাশাপাশি রাষ্ট্রের পক্ষ থেকেও তাঁদের বেকারভাতা দেওয়া হয়। ফলে জীবনধারণের খরচ জোগাতে তাঁদের খুব বেশি সমস্যা হয় না। শিক্ষিতরাই বেশি বেকার। বিবিএসের জরিপ অনুসারে, দেশে যত বেকার আছে, তাঁদের মধ্যে সাড়ে ১৩ শতাংশ স্নাতক ডিগ্রিধারী। ৭ দশমিক ১৩ শতাংশ বেকার উচ্চমাধ্যমিক পাস করেছেন। এর মানে হলো, প্রতি ৫ জন বেকারের ১ জন ব্যক্তি স্নাতক ডিগ্রিধারী কিংবা উচ্চমাধ্যমিক সনদধারী। যাঁদের আনুষ্ঠানিক শিক্ষা নেই, তাঁরা সবচেয়ে কম বেকার। বেকারের মধ্যে মাত্র সোয়া ১ শতাংশ এমন ব্যক্তি আছেন। এবার দেখা যাক, বেকার যুবকদের মধ্যে কী অবস্থা। ১৫ থেকে ২৯ বছর বয়সী তরুণদের মধ্যে বেকারসংখ্যা প্রায় ২০ লাখ। দেশে যত বেকার আছে, এর মধ্যে ৭৬ শতাংশের বয়স ১৫-২৯ বছর। এ ছাড়া এই বয়সী তরুণদের মধ্যে বেকারত্বের হার সবচেয়ে বেশি ৮ শতাংশের বেশি। বেকার তরুণদের (১৫-২৯ বছর বয়সী) প্রায় ২৯ শতাংশের মতো স্নাতক ডিগ্রিধারী। এর মানে, স্নাতক ডিগ্রিধারীদের তিনজনে একজনের মতো বেকার। বিবিএসের জরিপে চাকরি খোঁজার ১০ ধরনের পদ্ধতির কথা বলা হয়েছে। বিবিএসের জরিপ অনুসারে, চাকরির জন্য আত্মীয় ও বন্ধুদের অনুরোধ করেছেন প্রায় ৩৬ শতাংশ চাকরিপ্রত্যাশী। আর সংবাদপত্রের বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে চাকরি খুঁজেছেন প্রায় ২৬ শতাংশ প্রত্যাশী। আর প্রায় ১২ শতাংশ চাকরিপ্রত্যাশী সরাসরি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে গিয়ে চাকরি চেয়েছেন। মোটাদাগে বেকারত্ব তিন ধরনের। যেমন সামঞ্জস্যহীনতাজনিত বেকারত্ব, বাণিজ্য চক্রজনিত ও কাঠামোগত বেকারত্ব। শ্রমবাজারের চাহিদা ও সরবরাহের মধ্যে ঘাটতি থাকলে সেটিকে সামঞ্জস্যহীন বেকারত্ব বলে। উত্তরবঙ্গ ও হাওর অঞ্চলে এমন বেকারত্ব দেখা যায়। শিল্পকারখানা ও সেবা খাতে যে ধরনের লোক প্রয়োজন, সেই ধরনের লোকের সরবরাহ কম থাকলে তা সামঞ্জস্যহীন বেকারত্ব। অর্থনীতিতে চাঙাভাব কিংবা মন্দাভাবের কারণেও অনেক সময় বেকারত্ব বাড়ে-কমে। যেমন কোভিডের কারণে বেকারের সংখ্যা বেড়েছিল। এটি বাণিজ্য চক্রজনিত বেকারত্ব। আবার প্রযুক্তির পরিবর্তনের কারণেও বেকারত্ব বাড়ে। এ ধরনের বেকারত্বকে কাঠামোগত বেকারত্ব বলে।
 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স