ঢাকা , শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫ , ২৭ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
পিটার হাসের কোম্পানি থেকে ১ লাখ কোটি টাকার এলএনজি কিনবে সরকার লোকসানে পঙ্গু হয়ে পড়ছে আলু চাষীরা শেরপুরে বিশ্বখ্যাত হারল্যান ব্র্যান্ড শো-রুম উদ্বোধন ফুলবাড়ীতে ইয়ামিন অনুমোদনহীন মরিচ ও হলুদের গুড়ার ছড়াছড়ি চাঁদপুরে সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের চেক পেয়েছেন ১৯ সাংবাদিক শরীয়তপুর জেলা পরিষদের অভ্যন্তরীণ পুকুরে দেশীয় প্রজাতির পোনা মাছ অবমুক্ত পঞ্চগড়ে সারজিস আলমের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন ডাকসুতে ছাত্রদলকে শুভ কামনা জানানো সেই ওসি প্রত্যাহার হাজীগঞ্জে অফিস না করে নিয়মিত বেতন ভাতা নিচ্ছেন খাদ্য পরিদর্শক ৭২-এর সংবিধান ছুড়ে ফেলে দেয়ার কথা সম্পূর্ণ অবাস্তব- ড. রেদোয়ান আহমেদ মাদারীপুরে কৃষি কর্মকর্তা সংকটে মন্থরগতিতে চলছে চাষাবাদ কার্যক্রম চৌগাছা পৌর বিএনপির ৪নং ওয়ার্ড কর্মিসভা কমলনগরে ভুয়া দলিলে জমি দখলে নিলেন ভগ্নিপতি কলাপাড়ায় প্রাথমিকের ভান্ডারের শিক্ষাকার্যক্রম নিয়ে হতাশার যেন শেষ নেই ইয়ামালের সঙ্গে বিচ্ছেদ নিয়ে যা বললেন নিকোল ফুটবল বিশ্বকাপের টিকিটের দাম কমানোর আহ্বান নেপাল থেকে বিশেষ বিমানে দেশে ফিরলেন জামালরা ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ছিটকে গেলেন এনগিদি যে কারণে রেকর্ড দামে ব্রেভিসকে দলে নিলেন গাঙ্গুলি আদালতে পাকিস্তানের সঙ্গে ম্যাচ বাতিলের আবেদন

হাজীগঞ্জে অফিস না করে নিয়মিত বেতন ভাতা নিচ্ছেন খাদ্য পরিদর্শক

  • আপলোড সময় : ১১-০৯-২০২৫ ০৭:৪৪:৫২ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ১১-০৯-২০২৫ ০৭:৪৪:৫২ অপরাহ্ন
হাজীগঞ্জে অফিস না করে নিয়মিত বেতন ভাতা নিচ্ছেন খাদ্য পরিদর্শক
কচুয়া (চাঁদপুর) থেকে মো. সফিকুল ইসলাম মোল্লা
চট্টগ্রামে বসবাস করলেও কর্মস্থল তার চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে। মাসে একদিন এসে হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করেই সারা মাসের হাজিরা নিশ্চিত করেন তিনি। নিয়মিত অফিসে উপস্থিত না থেকেও মাসের পর মাস সরকারি বেতন-ভাতা তোলার গুরুতর অভিযোগ উঠেছে হাজীগঞ্জ উপজেলা খাদ্য পরিদর্শক মুহাম্মদ খোরশেদ আলমের বিরুদ্ধে। অফিস সূত্রে জানা যায়, ২০২৪ সালের ১৯ জুলাই তিনি হাজীগঞ্জ উপজেলা খাদ্য পরিদর্শক পদে যোগদান করেন। যোগদানের পর দুই মেয়াদে চার মাস চট্টগ্রাম বন্দরে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করেন। কিন্তু এরপর থেকে হাজীগঞ্জে তার নিয়মিত উপস্থিতি আর দেখা যায়নি। অভিযোগ রয়েছে, মাসে একবার হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর দিয়ে পুরো মাসের উপস্থিতি নিশ্চিত করেন।
স্থানীয়দের অভিযোগ, উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক ফারজানা মিলির প্রত্যক্ষ সহযোগিতাতেই দীর্ঘদিন ধরে এই অনিয়ম চলছে। হাজিরা খাতায় অনুপস্থিত থেকেও কীভাবে একদিনে সব স্বাক্ষর দেওয়া হয় এবং কেন এতদিন বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়নি এসব প্রশ্ন এলাকায় নানা গুঞ্জন সৃষ্টি করেছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে মুহাম্মদ খোরশেদ আলম নিজেকে অসুস্থ দাবি করে সাংবাদিকদের সঙ্গে দেখা করার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। তবে স্থানীয়দের প্রশ্ন এটি কি সত্যিই অসুস্থতা, নাকি দায়িত্ব অবহেলার আড়ালে সরকারি সুবিধা ভোগের কৌশল?
হাজীগঞ্জ উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক ফারজানা মিলি সাংবাদিকদের এ বিষয়ে সিরিয়াস না হওয়ার পরামর্শ দিয়ে বলেন, খাদ্য পরিদর্শক নিয়মিত অফিসে না এলেও অফিসের কাজ চালু আছে। তাই বিষয়টিকে অতটা সিরিয়াসলি না নিলেও হবে। জীবনে সব কিছু সিরিয়াসলি নিতে হয় না। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইবনে আল জায়েদ হোসেন বলেন, হাজীগঞ্জে একজন খাদ্য পরিদর্শক আছেন এ তথ্যই আমার জানা ছিল না। যোগদানের পর একদিনও তাকে দেখিনি। অফিস না করে নিয়মিত বেতন ভাতা তুলছেন এ বিষয়টি আমাকে কেউ জানায়নি। আমি বিষয়টি জেলা প্রশাসককে জানাবো এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবহিত করব।
স্থানীয় সচেতন মহল মনে করছে, সরকারি কর্মকর্তাদের অনুপস্থিতি প্রশাসনের শৃঙ্খলার জন্য হুমকি। তারা অবিলম্বে উচ্চপর্যায়ে তদন্ত কমিটি গঠন করে দোষীদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছেন।
 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স
প্রতিবেদকের তথ্য

সর্বশেষ সংবাদ