কমলনগর (লক্ষ্মীপুর) থেকে মোহাম্মদ ছাইফ উল্লাহ হেলাল
কমলনগরে ভুয়া দলিল ও খাস খতিয়ান করে নিজের নামে শ্বশুর ও শাশুড়ির প্রায় ২৯ একর জমি দখলে নিয়েছেন জাহাঙ্গীর আলম নামে এক ভূমিদস্যু। এ ঘটনায় বুধবার সকালে শালা মাকছুদুর রহমান কমলনগর প্রেসক্লাবে এসে সংবাদ সম্মেলন করেন। সংবাদ সম্মেলনে মাকছুদুর রহমান বলেন, ভূমিদস্যু জাহাঙ্গীর আলমের সাথে প্রায় ৪২ বছর আগে আমার বড় বোনের বিয়ে হয়। বিয়ের পর আমার বাবা হাজী হাছানুজ্জামান জাহাঙ্গীরকে আমাদের জমিজমা দেখাশুনার দায়িত্ব দেন। ওই থেকে সে আমার বাবার সাথে প্রতারণা করে কিছু জমি নিজের নামে রেকর্ড করে নেয়।
এরপর আমার বড় ভাইয়ের শ্বশুর মোহাম্মদ, চরকাদিরা ইউনিয়নের সফিক উল্লাহ বাংলা নেতা এ আসনের সাবেক সাংসদ মেজর (অব.) আবদুল মান্নানের সাথে আঁতাত করে তখনকার সময়ে চরকাদিরা ইউনিয়নে আমার বাবার সকল জমি রেকর্ড করে নেওয়ার পাঁয়তারা করে জাহাঙ্গীর। কিন্তু আমার বাবা বুঝতে পারলে তখন ব্যর্থ হয় সে। এর পর জাহাঙ্গীর আলম কৌশলে আমার বাবার সাথে সম্পর্ক তৈরি করে জাল দলিলের মাধ্যমে বিভিন্ন সময়ে ২৮ একর ৭৩ শতাংশ জমি দখল করে নেয়।
তিনি বলেন, আমার বাবার মৃত্যুর পর আমরা যখন বাবার জায়গা জমির হিসাব চাইলে সে টালবাহানা শুরু করে এবং আমাদের জমির কোনো দলিলপত্র দেয় না। পরে দলিলসহ সকল কাগজপত্র সংগ্রহ করলে তার এসব অনিয়মের হিসাব দেখতে পাই। তার অপকর্মের বিষয় নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কথা বললে সে আমার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেন। অভিযোগটি নিয়ে থানায় একটি বৈঠক হয়। ওই বৈঠকে বাবার সকল জমি পরিমাপের সিদ্ধান্ত হয়।
পরে পারিবারিক একটি বৈঠকে জমির সকল কাগজপত্র নিয়ে বসলে ওখানেও জাহাঙ্গীর আরো ৯ একর ৫৪ শতাংশ জমি কাগজপত্রের গড়মিল দেখায়। সেই থেকে আমাদের কোন কোন জায়গায় সম্পত্তি আছে আমি জানার চেষ্টা করছি। এতে সে আরো ক্ষিপ্ত হয়ে যায়। যার কারণে এখন আবার আমার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দিয়েছে।
মাকছুদ আরো বলেন, আমার বাবা হাজী হাছানুজ্জামান আমাদের ঘরের কাজের লোককে ২৪ শতাংশ জমি দান করেছে। ওই জমিও জাহাঙ্গীর নিজের নামে রেকর্ড করে নেয়। এ জাহাঙ্গীরের জালিয়াতির হাত থেকে আমার খালা ও মামারাও বাঁচতে পারেনি। মামা আবদুল হাকিমকে ২০০৩ সালে মৃত দেখিয়ে ২ একর ৪০ শতাংশ জমি হাতিয়ে নেয়। কিন্তু আমার মামা মারা যায় ২০২২ সালে। আমি প্রশাসনের কাছে ভূমিদস্যু জাহাঙ্গীর আলমের সকল অপকর্মের বিচার চাই।
নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata
