ঢাকা , বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ , ২৬ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
কুষ্টিয়ায় বাসের ধাক্কায় নারী আইনজীবীর মৃত্যু রাজধানীতে অবৈধ ওয়াকিটকি ব্যবসায় জড়িত দু’জন গ্রেফতার চাটমোহরে ওএমএসের আটা না পেয়ে ফিরে যাচ্ছে মানুষ এস আলমের দুই ছেলেসহ ১০ জনের নামে মামলা ফরিদপুর-৪ আসনে ভাঙ্গার দু’ইউনিয়ন নিয়ে হাইকোর্টে রিট বাগেরহাটের ৪ আসন বহালের দাবিতে মিছিল দু’দিন হরতাল পুলিশের মিথ্যা তদন্ত প্রতিবেদনে ব্যবসায়ী মৃত্যুশয্যায় বেবিচকের কর্মকর্তার বিরুদ্ধে প্রধান উপদেষ্টার কাছে অভিযোগ বাজারে জিনিসপত্রের দাম আকাশছোঁয়া মা-নবজাতকের যত্নে পরিবর্তন আনছে স্বাস্থ্যশিক্ষা ১৩ ট্রাভেল এজেন্সির নিবন্ধন বাতিল ডাকসু নির্বাচনের সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে সাংবাদিকের মৃত্যু পাট পণ্যের উপযোগিতাকে প্রাধান্য দিতে হবেÑ বাণিজ্য উপদেষ্টা গুণতে হবে বিপুল টাকা নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা ভিপি প্রার্থী তাহমিনার ঢাবির কিছু শিক্ষক শিবিরের ভাষায় কথা বলছেন-নাছির শান্তিপূর্ণভাবে ডাকসু নির্বাচন সম্পন্ন আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ, দিনভর আলোচনা নানা ঘটনা নেপালে বিক্ষোভ-প্রাণহানির জেরে প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ ছাতকে আওয়ামী লীগ নেতা হাজী বুলবুল গ্রেফতার

বেবিচকের কর্মকর্তার বিরুদ্ধে প্রধান উপদেষ্টার কাছে অভিযোগ

  • আপলোড সময় : ১০-০৯-২০২৫ ১২:৪১:০৫ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ১০-০৯-২০২৫ ১২:৪১:০৫ অপরাহ্ন
বেবিচকের কর্মকর্তার বিরুদ্ধে প্রধান উপদেষ্টার কাছে অভিযোগ
এবার বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা সদস্য (অপারেন্স) আবু সাঈদ মাহাবুব খানের বিরুদ্ধে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। বেবিচকে দীর্ঘ আট বছরের বেশি সময় ধরে ডেপুটেশনে আসা থাকা এই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের কথা বলা হলেও বিমানবন্দরের অভ্যন্তরে থাকা ১৬টি প্রতিষ্ঠানকে ঘুষ না দেওয়ার কারণে লিজ বাতিলের বিষয়টি সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। অভিযোগে তাকে বেবিচক থেকে প্রত্যাহারের দাবি করা হয়েছে। এর আগে সদস্য অর্থের বিরুদ্ধেও অভিযোগ দায়ের করেও তাকেও প্রত্যাহারের দাবি করা হয়। বেবিচকের ঊর্ধ্বতন দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগে বেশ অস্বস্তিকর পরিবেশ বিরাজ করছে। অভিযোগে বলা হয়, আবু সাঈদ মাহাবুব খান বিগত সরকারের আশীর্বাদ পুষ্ট হয়ে সর্বপ্রথম ২০১৭-১৮ সালের দিকে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে নির্বাহী পরিচালক হিসেবে যোগদান করেন। এরপর তিনি পদোন্নতি পেয়ে সদস্য এয়ার ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট (এটিএম) পরবর্তীতে সদস্য প্ল্যানিং এবং অপারেন্সে পদোন্নতি পান। অভিযোগে বলা হয়েছে, এই পদায়নের পরই বাংলাদেশের সমস্ত বিমানবন্দর পরিদর্শনের মাধ্যমে তার নিজের একটি দুর্নীতির সিন্ডিকেট তৈরি করেছেন। তিনি দায়িত্ব নেওয়ার পরপরই বিমানবন্দরের অভ্যন্তরে প্রতিষ্ঠানগুলোর লিজের মেয়াদ বাড়ানোর জন্য কাগজপত্র আহবান করেন। মেয়াদ বাড়ানোর জন্য বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে বিপুল অঙ্কের ঘুষ দাবি করেন। তার এই ঘুষ দিতে না পারার কারণে ১৬টি প্রতিষ্ঠানের লিজ বাতিল করে দেন। অভিযোগে বলা হয়, প্রতিষ্ঠানগুলোর একটি মালিককে ওই ১৬টি প্রতিষ্ঠানের লিজ দেওয়ার জন্য তিনি এ কাজ করেছেন। ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সৈয়দপুর বিমানবন্দরে অবস্থিত প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছ থেকে কয়েক কোটি টাকা পুনরায় লিজের নামে হাতিয়ে নিয়েছেন। অভিযোগে বলা হয়, গত জুন মাসে তিনি ফ্রান্স সফরে যান। মূলত সেখানে এই ঘুষের লেনদেন সম্পন্ন হয়। বর্তমানে ১৬টি প্রতিষ্ঠানের কাউকে এমনকি অন্য কাউকে স্থানগুলো বরাদ্দ দেওয়া হয়নি। যার কারণে সরকার এই খাত থেকে আসা বিপুল অঙ্কের রাজস্বও হারাচ্ছে। অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, তার দপ্তরে আরও অনেক ফাইল বন্দি অবস্থায় রয়েছে। উৎকোচ নিশ্চয়তার পর কিছুকিছু অনুমোদনের জন্য চেয়ারম্যানের দপ্তরে পাঠান। বর্তমান সময় পর্যন্ত নবায়নের জন্য পাঠানো ফাইল উৎকোচ নিশ্চিত না হওয়ার কারণে উনার দপ্তরে ফাইলবন্দি করে রেখেছেন। অভিযোগে তার বিরুদ্ধে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়াসহ বেবিচক থেকে প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়েছে। এর আগে সদস্য (অর্থ) এসএম লাবলুর রহমানের বিরুদ্ধে উন্নয়ন কাজের বিল আটকে রেখে ঘুষ নেওয়া, ঠিকাদারকে বিশেষ সুবিধা দিতে নিজেদের প্রকৌশলীদের নানাভাবে হয়রানি করানো। অতিসম্প্রতি একজন সহকারী প্রকৌশলীকে তার অফিসে ডেকে নিয়ে চাকুরিচ্যুতির হুমকি দেওয়ার ঘটনায় তার বিরুদ্ধেও লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার এমন আচরণে বেবিচকজুড়ে তোলপাড়েরও সৃষ্টি হয়। এদিকে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগে বেশ অস্বস্তিতে পড়েছে বেবিচকের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। নাম প্রকাশ না করা শর্তে কয়েকজন কর্মকর্তা বলেন, বর্তমান সময়ে এই দুই কর্মকর্তাই যেন বেবিচক পরিচালনা করছেন। এ কারণে তারা নানা বিষয়ে অনিয়ম আর দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়ছেন। বিশেষ করে মেম্বার অপারেশনের কারণে থার্ড টার্মিনাল এখনও অপারেশনে যেতে পারেনি। এছাড়াও বিভিন্ন বিমানবন্দরের উন্নয়ন কাজসহ নানা বিষয়ে তার খবরদারী রয়েছে। কক্সবাজার বিমানবন্দর আন্তর্জাতিক ও ফ্লাইট চলাচলের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। অথচ সেটি এখনও পূর্ণাঙ্গ প্রস্তুত-ই করা হয়নি। এই সেক্টরে বর্তমান সরকারকে ব্যর্থ করার জন্য তিনি ষড়যন্ত্র করছেন কি-না সেটি নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে। তারা বলেন, বিগত সরকারের আস্থাভাজন ডেপুটেশনে আসা সকল কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার করা হলেও এখনও তাদের রাখা হয়েছে। অথচ আমরা আন্দোলন করেছিলাম সেই সময় এই কর্মকর্তাদেরও প্রত্যাহার দাবি করেছিলাম। কিন্তু এখন পর্যন্ত তারা তাদের পদে বহাল রয়েছেন। তারা বলছেন, এই দুই কর্মকর্তা এখন যেন মানিকজোড়। চেয়ারম্যানের কাছে প্রতিদিন যে ফাইলগুলো যায় তারাই মতামত দিয়ে চূড়ান্ত করে দেন। এ দুই কর্মকর্তার কারণে অন্যান্য কর্মকর্তারা চেয়ারম্যানের দপ্তরে আসতেও পারেন না, বর্তমান অবস্থা জানাতেও পারেন না। অভিযোগের বিষয়ে জানতে সদস্য অপারেশন্স আবু সাঈদ মাহাবুব খানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি। পরবর্তীতে অভিযোগের বিষয়ে বেবিচকের মুখপাত্র কাওছার মাহমুদ বলেন, মেম্বার অপারেশন্সের বিরুদ্ধে করা অভিযোগগুলো সত্য নয়।

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স