রাজধানীর মুগদা ও মানিক নগরে ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগের দালাল স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মানিক ও যুবলীগ নেতা মনির দুই ভাই আবারও বেপরোয়া। বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে নানা অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন এই দুই ভাই । এছাড়া আওয়ামীলীগকে সংগঠিত করতে গোপনে নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ করার কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের নামে ছাত্র আন্দোলনের মামলাসহ একাধিক মামলা রয়েছে।
এলাকাবাসী জানান, এক সময়ে মুগদা এলাকার রাজমিস্ত্রি কাজ করত মানিক হোসেন। তার বড় ভাই মনির হোসেন উত্তরখান এলাকায় রিকশা চালাত। গত ৯ বছরে ছোট ভাই মানিক স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা এবং বড় ভাই মনির হোসেন যুবলীগ নেতা হওয়ার সুবাদে তারা যেন আলাউদ্দিনের চেরাগ পেয়ে কোটিপতি বনে যায়। বর্তমানে মনির আর মানিকের গ্রামের বাড়ি শেরপুরে নামে বেনামে হয়েছে কয়েক বিঘা জমি। গ্রামের বাড়ি শেরপুরে কোটি টাকার আলিশান ডুপ্লেক্স বাড়ি। ঢাকায় একাধিক ফ্লাট রয়েছে। ৩৪ লক্ষ টাকার লাগজারি প্রাইভেট কার যাহার নাম্বার ঢাকা মেট্রো গ-২৮-০২২১, এছাড়া রয়েছে মোটরসাইকেল আর ওয়ান ফাইভ গাড়ি নাম্বার ঢাকা মেট্রো ল -৪৯ -৪২ ৮০। রয়েছে মোটরসাইকেল ফেজার ঢাকা মেট্রো ল -৩৮-৬৬৩৪, দুই ভাই এসব সম্পদ গড়ে তুলেছে অবৈধ ভাবে চাদাবাজি ও লুটপাট করে।ছোট ভাই মানিক হোসেন ২০১৬ সালে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে জেল খেটেছে যার মামলা নম্বর ১৬৫৬/১৬। এছাড়া মানিক দলীয় প্রভাব খাটিয়ে মুগদা ও সবুজবাগ এলাকায় রাজউকের উদ্যোগ অনুকরণ করে নাম ভাঙ্গিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেছেন। জুলাই আগস্ট আন্দোলনে ছাত্রদের উপর মানিকনগর পুকুরপাড় সন্ত্রাসী হামলা চালায়। এই হামলায় তাদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে।
শেরপুর জেলার শ্রীবদী থানার কোন্ঠিপাড়া গ্রামের আব্দুল সামাদ মিয়ার ছেলে মানিক হোসেন ও মনির হোসেন ছোটবেলায় চুরি করার অপরাধে এলাকাবাসী পিতা সামাদ মিয়া ও দুই ছেলে মানিক হোসেন ও মনির হোসেন কে এলাকা থেকে তাড়িয়ে দেয় । তারা প্রথমে ঢাকার উত্তরার দক্ষিন খান আইনুসবাগ এলাকায় টিনের খুপড়ির ভাড়া বাসায় বসবাস করত। প্রথমে এলাকায় ডাস্টবিনের ময়লার ভ্যান চালাতো মনির হোসেন।
২০১৪ সালে তারা আবার গ্রামে চলে যায়। পুনরায় গ্রাম থেকে এসে বড় ভাই মনির হোসেন উত্তরখান এলাকায় রিক্সা চালায়। ছোট ভাই মানিক মুগদা ব্যাংক কলোনি এসে ঠিকাদারের সাথে রাজমিস্ত্রি কাজ শুরু করে। ২০১৫ সালে স্থানীয় আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের রাজনীতিতে নাম লেখায় মানিক হোসেন। বড় ভাই মনির হোসেন দক্ষিণ খান যুবলীগের রাজনীতিতে যোগ দেন। রাজনীতির প্রভাব খাটিয়ে ঠিকাদার আমিরুল ইসলামের ঠিকাদারী কাজ বন্ধ করে দেয়। ঠিকাদার আমিরুল ইসলামকে এলাকা থেকে বিতাড়িত করে রাজমিস্ত্রি মানিক নিজেই ঠিকাদারি ব্যবসা বুঝে নেন।
গত ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগ সরকারের সময় স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা হওয়ার সুবাদে মানিক কোটিপতি বনে গেছেন। তার বিরুদ্ধে সবুজবাগ থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মানিক এলাকায় চাঁদাবাজি করে কোটি কোটি টাকা কামিয়ে নিয়েছেন। যেন আলাউদ্দিনের চেরাগ মানিক ও মনিরের হাতে। এক সময় টিনের ঘরে থাকা যে ভাড়া দিতে পারতেন না এখন থাকেন লাক্সারিয়াস এপারমেন্টে।
এলাকাবাসীর সূত্রে জানা যায়, মানিক ফ্যাসিস্ট সরকার ক্ষমতায় থাকাকালীন সময়ে মুগদা এলাকায় স্বেচ্ছাসেবক লীগের পদ ব্যবহার করে ৭ নং ওয়ার্ডের সেচ্ছাসেবক লীগ নেতা বাবুর ছত্রছায়া এলাকায় চাঁদাবাজি সহ নানা অপকর্ম করে কামিয়েছেন কোটি কোটি টাকা। মুগদা মদিনা পার্ক ওয়াসা রোডে ক্রাইম করে চলেন এই রাজমিস্ত্রি। এই মানিক বিগত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আশার আগেও একজন রাজমিস্ত্রি ছিলেন। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার সাথে সাথে তার ভোল পাল্টে যায়।বর্তমানে মানিক কারাগারে থাকলেও মনির ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে রাষ্ট্রবিরোধী ফ্যাসিবাদী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে আসছে। এ বিষয়ে যুবলীগ নেতা মনির এর সাথে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

সাবেক স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও যুবলীগ নেতার অপপ্রচার
- আপলোড সময় : ০৯-০৯-২০২৫ ০৮:২৫:৪১ অপরাহ্ন
- আপডেট সময় : ০৯-০৯-২০২৫ ০৮:২৫:৪১ অপরাহ্ন


কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ