
যেদিন রাস্তায় নামবো, সেদিন বন্দুকও কিছু করতে পারবে না : কাদের সিদ্দিকী
- আপলোড সময় : ০৯-০৯-২০২৫ ০২:৪৫:০৩ অপরাহ্ন
- আপডেট সময় : ০৯-০৯-২০২৫ ০২:৪৫:০৩ অপরাহ্ন


কৃষক শ্রমিক জনতালীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি কাদের সিদ্দিকী বলেছেন, আমরা খারাপ সময় পার করছি। যে আশা ও ভরসা নিয়ে যৌবনে মুক্তিযুদ্ধ করেছিলাম, সেই আশা এবং ভরসা আজকে ধূলিসাৎ হতে চলেছে। আমি অবাক হয়েছি, মুক্তিযোদ্ধাদের একটি সমাবেশে ১৪৪ ধারা জারি করতে হয়। এটা তো একটা রেকর্ড হয়ে রইলো। মুক্তিযোদ্ধারা একত্রিত হবে। তাদের মিটিংয়ে ১৪৪ ধারা জারি করে বন্ধ করা হয়েছে। এটা খুবই ন্যাক্কারজনক ঘটনা। আমার মরার জন্য কোনও ভয় নেই। আমি চাই দেশের শৃঙ্খলা থাকুক। যেদিন আমরা রাস্তায় নামবো, সেদিন লাঠি না বন্দুকও কিছু করতে পারবে না। গতকাল সোমবার বিকালে পূর্ব ঘোষিত কাদেরিয়া বাহিনীর মুক্তিযোদ্ধাদের জরুরি সমাবেশ শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন। কাদের সিদ্দিকী বলেন, আমার জ্বলন ওইখানেই, যারা ২৪ শে বিজয়ী হয়েছে, তারা যদি এখন এইভাবে ব্যর্থ হয়, ভবিষ্যতে যদি কেউ স্বৈরাচার হয়, তাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবার জন্য সাধারণ মানুষ এগিয়ে আসবে না। সেটা আমার ভয়। সেইজন্য তাদের সফল হওয়া উচিৎ ছিল। আমার বাড়ি ধ্বংস করে দিয়ে যদি দেশে শান্তি হয় আমি তাতেই রাজি। এখন আমার ৮০ বছর বয়স হয়েছে, আমি এখন চলে যেতে পারলে আরও খুশি। সেজন্যই সরকারকে বলছি, যারা আন্দোলন করে শেখ হাসিনার পতন ঘটিয়েছিলেন, শেখ হাসিনার পতন আর মুক্তিযুদ্ধের পতন এক কথা না, শেখ হাসিনার পতন আর বঙ্গবন্ধুর পতন এক কথা না। শেখ হাসিনার পতন আর স্বাধীনতার পতন এক কথা না। এই জিনিসগুলো এখন কেউ কেউ বুঝতে চাচ্ছেন না। তিনি বলেন, আমার বাসায় আক্রমণ করেছে, যদি এটা সম্ভব হয় তাহলে এ দেশের সবার বাসায় আক্রমণ করা সম্ভব। কারও নিরাপত্তা নেই। দেশ যদি পাকিস্তান হয়ে যেতো আমি পাকিস্তান ভেঙেছিলাম, তাহলে আইনানুগভাবে আমার ফাঁসি হয়ে যেতো। এতে আমার কোনও আপত্তি ছিল না, এখনও নাই। সেজন্যই বলছি দেশে আইনশৃঙ্খলা নাই। কাদের সিদ্দিকীর শহরের বাসভবনে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনার প্রতিবাদে বিকালে জরুরি সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিলের ডাক দেয় কাদেরিয়া বাহিনী। কাদেরিয়া বাহিনীর মুক্তিযোদ্ধারা বিকালে শহরে কাদের সিদ্দিকীর বাসভবন থেকে মিছিল নিয়ে বের হওয়ার আগ মুহূর্তে পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত হয়। এ সময় পুলিশ বাহিনীর প্রতি সম্মান দেখিয়ে কাদের সিদ্দিকী ও কাদেরিয়া বাহিনীর মুক্তিযোদ্ধারা বাসভবনের নিচতলায় সমাবেশ করেন। এ সময় কাদের সিদ্দিকী ছাড়াও যুদ্ধকালীন কোম্পানি কমান্ডার কাজী আশরাফ হুমায়ুন বাঙ্গাল, ফজলুল হক বীরপ্রতিক, কৃষকশ্রমিক জনতালীগের সখিপুর উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক সানোয়ার হোসেন সজীব, বাসাইল উপজেলা শাখার সভাপতি রাহাত হাসান টিপু প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। প্রসঙ্গত, জেলার বাসাইল উপজেলায় কাদেরিয়া বাহিনী ও ছাত্র সমাজের ব্যানারে একই স্থানে পাল্টাপাল্টি সমাবেশকে কেন্দ্র করে ১৪৪ ধারা জারি করে উপজেলা প্রশাসন। গত রোববার সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত এ আদেশ বলবৎ ছিল। সমাবেশকে কেন্দ্র করে উপজেলা প্রশাসন, সেনাবাহিনী ও পুলিশ প্রশাসন দিনব্যাপী তৎপর ছিল। আইনের প্রতি শ্রদ্ধা দেখিয়ে কাদেরিয়া বাহিনীর মুক্তিযোদ্ধা ও ছাত্র সমাজের কেউই অনুষ্ঠানস্থল শহীদ মিনার চত্বরে যাননি।
নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata
কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ