ঢাকা , বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ , ২৫ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় প্রতিবাদ কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে হিটস্ট্রোকে প্রাণ হারালেন দোকান ব্যবসায়ী দক্ষিন অঞ্চলের ২১ জেলার সাথে যোগাযোগ বন্ধ মৃত্যুর ভয়ে গ্রাম ছাড়া এক হিন্দু পরিবার সাবেক স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও যুবলীগ নেতার অপপ্রচার আইনজীবী মহিউদ্দিন মাহির দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি আর্টিস্ট অব দ্য ইয়ার পুরস্কার জিতলেন গাগা আবারও পর্দা শেয়ার করবেন শাহরুখ-আমির বাগী’র বিরুদ্ধে উঠলো চুরির অভিযোগ কাজলের সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হওয়া নিয়ে যা জানা গেল আবারও বিতর্কে জড়ালেন নুসরাত প্রকাশ্যে এলেন চিত্রনায়ক ফেরদৌস ডাকসু নির্বাচন নিয়ে যা বললেন জয় খোদার কাছে শুকরিয়া জানালেন পরীমণি বাগেরহাটে ৪ সংসদীয় আসন বহালের দাবিতে হরতাল যেদিন রাস্তায় নামবো, সেদিন বন্দুকও কিছু করতে পারবে না : কাদের সিদ্দিকী প্রার্থিতা ফিরে পেতে জুলিয়াস সিজারের করা রিট খারিজ ডেসকোতে দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ গত এক মাসে ৭৫০ রোহিঙ্গা দেশে প্রবেশ করেছে ডাকসু নির্বাচনে সেনাবাহিনীর কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই-সেনাসদর ভিপি নুরের শর্ট টাইম মেমোরি লস হয়নি-ঢামেক পরিচালক
বিক্ষোভে উত্তাল নেপাল

ভয়াবহ সহিংসতায় নিহত ২০

  • আপলোড সময় : ০৯-০৯-২০২৫ ১২:৪২:১৫ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ০৯-০৯-২০২৫ ১২:৪২:১৫ পূর্বাহ্ন
ভয়াবহ সহিংসতায় নিহত ২০
২৬টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বন্ধের সিদ্ধান্ত এবং সরকারের দুর্নীতির বিরুদ্ধে ভয়াবহ বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে নেপালে। গতকাল সোমবার সকালের দিকে দেশটির হাজার হাজার ছাত্র-জনতার এই বিক্ষোভে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে প্রাণহানির সংখ্যা বেড়ে ২০ জনে পৌঁছেছে। এছাড়া আহত হয়েছেন আরও শত শত বিক্ষোভকারী।
সম্প্রতি নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা অলি নেতৃত্বাধীন সরকার ফেসবুক, ইউটিউব এবং এক্সসহ ২৬টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্ল্যাটফর্ম নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। এর প্রতিবাদে রাজধানী কাঠমান্ডুতে শুরু হওয়া বিক্ষোভ এখন হিমালয় কন্যা খ্যাত দেশটির অন্যান্য এলাকাতেও ছড়িয়ে পড়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাজধানী কাঠমান্ডুর বিভিন্ন জেলায় কারফিউ জারি ও সেনাবাহিনীর সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে। বিক্ষোভ দমনে দেশটির পুলিশ বিক্ষোভকারীদের লক্ষ্য করে রাবার বুলেট, টিয়ার গ্যাস এবং জলকামান নিক্ষেপ করেছে। বিক্ষোভে অংশ নেওয়া তরুণ এক বিক্ষোভকারী অন্যদের শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ভেতর থেকে কিছু স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী জনতার আন্দোলনে উসকানি দিচ্ছে। তিনি বলেন, ??আজ আমরা ইতোমধ্যে জয়ী হয়েছি। ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নেপালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার এবং দুর্নীতি দমনের দাবিতে আন্দোলনরত বিক্ষোভকারীদের ওপর চড়াও হয়েছে আইনশৃঙ্খলাবাহিনী। বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে নিরাপত্তাবাহিনীর ছোড়া টিয়ার গ্যাস, রাবার বুলেট ও জলকামানে বহু মানুষ হতাহত হয়েছেন। দেশটির সংবাদমাধ্যম কাঠমান্ডু পোস্ট বলেছে, সোমবার সকাল থেকে শুরু হওয়া বিক্ষোভে রাজধানীর বানেশ্বরে ব্যাপক সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। জেন জি প্রজন্মের এই বিক্ষোভে স্থানীয় সময় বিকেল ৪টা পর্যন্ত পুলিশের গুলিতে অন্তত ২০ জন নিহত হয়েছেন। নেপালের ন্যাশনাল ট্রমা সেন্টারের চিকিৎসক ডা. দীপেন্দ্র পাণ্ডে বলেছেন, হাসপাতালটিতে সাতজন বিক্ষোভকারীকে মৃত অবস্থায় আনা হয়েছে। তিনি বলেন, হাসপাতালে আসা আরও ১০ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। আহতদের প্রত্যেকের মাথা ও বুকে গুলির আঘাত রয়েছে। সেখানে আরও ২০ জনেরও বেশি চিকিৎসাধীন আছেন বলে জানিয়েছেন তিনি। এছাড়া বানেশ্বরের এভারেস্ট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় অন্তত পাঁচজন মারা গেছেন বলে সেখানকার কর্মকর্তা অনিল অধিকারী নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, বর্তমানে অন্তত ৫০ জন বিক্ষোভকারী আহত অবস্থায় এই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তাদের মধ্যে চারজনের অবস্থা গুরুতর। কাঠমান্ডুর সিভিল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আহত দুই বিক্ষোভকারী মারা গেছেন বলে জানিয়েছেন হাসপাতালটির নির্বাহী পরিচালক মোহন চন্দ্র রেগমি। এছাড়া কেএমসি হাসপাতাল এবং ত্রিভুবন বিশ্ববিদ্যালয় টিচিং হাসপাতালে একজন করে বিক্ষোভকারী মারা গেছেন। নিহতদের পরিচয় এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
কাঠমান্ডুর প্রধান জেলা কর্মকর্তা ছাবিলাল রিজাল স্থানীয় প্রশাসন আইন-এর ৬ ধারা অনুযায়ী দুপুর ১২টা ৩০ মিনিট থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত কারফিউ ঘোষণা করেন। আদেশ অনুযায়ী, নিউ বানেশ্বর চৌক থেকে পশ্চিমে এভারেস্ট হোটেল ও বিজুলি বাজার আর্চ ব্রিজ পর্যন্ত, আর পূর্বে মিন ভবন ও শান্তিনগর হয়ে টিঙ্কুনে চৌক পর্যন্ত এলাকা কারফিউর আওতায় থাকবে। এছাড়া নিউ বানেশ্বর চৌক থেকে উত্তরে আইপ্লেক্স মল হয়ে রত্ন রাজ্য সেকেন্ডারি স্কুল পর্যন্ত এবং দক্ষিণে শঙ্খমুল হয়ে শঙ্খমুল ব্রিজ পর্যন্ত এলাকাও কারফিউর মধ্যে পড়েছে। এই এলাকায় চলাফেরা, জমায়েত, বিক্ষোভ কিংবা অবরোধ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এদিকে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের পর কারফিউয়ের পরিধি বাড়িয়েছে কাঠমান্ডু জেলা প্রশাসন। প্রথমে বানেশ্বরের কিছু এলাকায় সীমিতভাবে কারফিউ জারি করা হলেও বিক্ষোভকারীরা চলাচল নিয়ন্ত্রিত এলাকায় প্রবেশ করলে এই কারফিউ সম্প্রসারণ করা হয়। এখন প্রেসিডেন্টের বাসভবন শীতল নিবাস এলাকা, মহারাজগঞ্জ, লাইনচৌরে উপ-রাষ্ট্রপতির বাসভবন, সিংহ দরবারের চারদিক, প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন বালুওয়াটার এবং আশপাশের সংবেদনশীল অঞ্চলেও কারফিউয়ের আওতায় এসেছে। প্রশাসন জানিয়েছে, অশান্তি ঠেকানো ও গুরুত্বপূর্ণ সরকারি স্থাপনার নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যেই কারফিউয়ের পরিধি বাড়ানো হয়েছে।
 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স