বোচাগঞ্জ (দিনাজপুর) থেকে মো. আশিকুর ইসলাম
দিনাজপুরের বোচাগঞ্জ উপজেলা পরিষদে ঢুকলেই চোখে পড়ে এক মনোমুগ্ধকর দৃশ্য। উপজেলা পরিষদের মাঝামাঝি বিশাল পুকুরকে ঘিরে তৈরি করা হয়েছে দৃষ্টিনন্দন এক ওয়াকওয়ে। আধুনিক নকশায় নির্মিত এই পথচলা জায়গা যেন শান্ত পানির সঙ্গে মিলেমিশে এক অপূর্ব পরিবেশ তৈরি করেছে। শীতল বাতাসে ভেসে আসা পানির গন্ধ, চারপাশের সবুজ গাছপালা আর আলোকসজ্জার ঝলকানি—সব মিলিয়ে ওয়াকওয়েটি এখন স্থানীয়দের অন্যতম বিনোদনকেন্দ্র। সন্ধ্যা নামলেই ওয়াকওয়ে হয়ে ওঠে প্রাণবন্ত। কেউ দিনের ক্লান্তি ঝেড়ে শরীরচর্চায় ব্যস্ত হন, কেউ পরিবার নিয়ে বসেন পুকুরপাড়ে। শিশুরা খেলা আর দৌড়ঝাঁপে মাতিয়ে রাখে চারপাশ, প্রবীণরা খুঁজে পান স্বস্তির নিরিবিলি আবহ।
স্থানীয় এরশাদ বলেন, আগে হাঁটার মতো ভালো জায়গা ছিল না। এখন প্রতিদিন সকালে আসি।
এতে শরীর যেমন ভালো থাকে, মনও ভালো হয়ে যায়। গৃহিণী বিউটি বলেন, স্বামীর অফিস শেষে এখন প্রায়ই আমরা এখানে আসি। বাচ্চারা খেলাধুলায় মেতে ওঠে, আর আমরা নিরিবিলি পরিবেশে বসে সময় কাটাই। এক সময় এই পুকুরপাড় কেবল অফিসগামী মানুষের পথ ছিল। কিন্তু ওয়াকওয়ে নির্মাণের পর জায়গাটি যেন নতুন প্রাণ ফিরে পেয়েছে। এখন এটি শুধু পথ নয়—মানুষের আড্ডা, মিলনমেলা আর অবসর কাটানোর অন্যতম স্থান। বিকেলের সোনালি আলো যখন পুকুরের পানিতে ঝিলমিল করে ওঠে, দৃশ্যটা হয়ে ওঠে একেবারে অপূর্ব। দূরদূরান্ত থেকেও অনেকে সেই সৌন্দর্য উপভোগ করতে আসেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মারুফ হাসান বলেন, বোচাগঞ্জ উপজেলা পরিষদকে নান্দনিকভাবে সাজাতে বিভিন্ন উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এরই অংশ হিসেবে পুকুরকে ঘিরে এই আলোকসজ্জিত ওয়াকওয়ে তৈরি করা হয়েছে। এটি এখন সব বয়সী মানুষের প্রিয় জায়গা। শিশু-কিশোরদের মানসিক বিকাশের জন্য একটি মিনি শিশু পার্কও নির্মাণাধীন রয়েছে। শিক্ষা ও সুস্থ বিনোদনই পারে আমাদের সমাজকে মাদক ও জুয়ার ভয়াল থাবা থেকে রক্ষা করতে।
নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata
