ঢাকা , শুক্রবার, ১৪ মার্চ ২০২৫ , ২৯ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
সালমান এফ রহমানসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা খরায় পুড়ছে চা-বাগান উৎপাদন নিয়ে শঙ্কা ইফতারিতে দই-চিড়ার জাদু একরাতে দু’জনকে কুপিয়ে হত্যা এলাকায় আতঙ্ক স্বাভাবিক নিত্যপণ্যের বাজার, সংকট সয়াবিনে মামলা থেকে স্বামীর নাম বাদ দেয়ার কথা বলে স্ত্রীকে ধর্ষণ ছেঁউড়িয়ায় শুরু লালন স্মরণোৎসব দোহাজারীতে বাসচাপায় ৩ জন নিহত হেনস্তার পর ছাত্রীকে ফেলে দিলো দুর্বৃত্তরা ৫৬০ মডেল মসজিদ নির্মাণে ব্যাপক অনিয়ম ভ্যাট দেয় না বেশিরভাগ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পরনের কাপড় টিভি ফ্রিজ খাট টাকা সব পুড়ে শেষ বস্তিতে আগুন ঢাকা মেডিকেলের আউটডোরে চিকিৎসা বন্ধ পোশাক রফতানিতে প্রবৃদ্ধির রেকর্ড ঠাকুরগাঁও হাসপাতাল থেকে চুরি হওয়া শিশু গাজীপুরে উদ্ধার মাগুরার সেই শিশুটির শারীরিক অবস্থার অবনতি হাসিনাসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা ডাক্তার দেখাতে না পেরে রোগীদের বিক্ষোভ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে অভিমুখী চিকিৎসকদের পদযাত্রায় বাধা প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় শিক্ষকদের রাস্তা থেকে সরিয়ে দিলো পুলিশ

‘রোহিঙ্গাদের মানবঢাল হিসেবে ব্যবহার না করার আহ্বান’

  • আপলোড সময় : ৩০-০৫-২০২৪ ১২:১৩:২৪ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ৩০-০৫-২০২৪ ১২:১৩:২৪ অপরাহ্ন
‘রোহিঙ্গাদের মানবঢাল হিসেবে ব্যবহার না করার আহ্বান’ ‘রোহিঙ্গাদের মানবঢাল হিসেবে ব্যবহার না করার আহ্বান’
রাখাইন পরিস্থিতি ক্রমেই জটিল হয়ে উঠছেমিয়ানমারের সরকারি বাহিনী ও আরাকান আর্মির মধ্যে যুদ্ধ, রোহিঙ্গাদের মানবঢাল হিসেবে উভয়পক্ষের ব্যবহার এবং খাদ্য সংকটের কারণে পরিস্থিতি দিন দিন আরও খারাপের দিকে যাচ্ছেগোটা পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছে বাংলাদেশখাদ্যের অভাবে সৃষ্ট মানবিক সংকট কাটিয়ে ওঠার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ এবং রোহিঙ্গাদের মানবঢাল হিসেবে ব্যবহার না করার জন্য এরইমধ্যে মিয়ানমারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে বাংলাদেশ বলে জানিয়েছে একাধিক সূত্র
এ বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, খাদ্য সংকট এবং যুদ্ধের কারণে রাখাইনের মানুষ বাস্তুচ্যুত হচ্ছেএদের বেশিরভাগই হচ্ছে রোহিঙ্গাকারণ তারাই ওই অঞ্চলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্তবাংলাদেশের পক্ষ থেকে মিয়ানমার সরকারকে জানানো হয়েছে যে খাদ্য পরিস্থিতির উন্নতি না হলে সেখানকার রোহিঙ্গাদের সীমান্ত অতিক্রম করার পরিস্থিতি হতে পারে, জানান এই কর্মকর্তা
রাখাইনে বর্তমানে রোহিঙ্গা রয়েছে ৬ লাখ ৩০ হাজারের মতোএর মধ্যে বড় অংশটি থাকে বুথিডং অঞ্চলে এবং সেই এলাকা বর্তমানে আরাকান আর্মির দখলেএরপর বেশি সংখ্যায় রোহিঙ্গা আছে সিতওয়ে অঞ্চলে
এ বিষয়ে পররাষ্ট্র দফতরের আরেকজন কর্মকর্তা বলেন, মিয়ানমার সেনাবাহিনী ও আরাকান আর্মি উভয়ই রোহিঙ্গাদের মানবঢাল হিসেবে ব্যবহার করছেচলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে মিয়ানমার সেনাবাহিনীতে রোহিঙ্গাদেরও কন্সক্রিপ্ট সৈন্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করার ঘোষণা দেয়া হয়গত এপ্রিল থেকে এটি কার্যকর শুরু হয়েছেপ্রথম ধাপের প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত রোহিঙ্গাদের মংডুতে সেনাবাহিনীর ক্যাম্পে পাঠানোর কথা, বিভিন্ন সূত্রে এ তথ্য শোনা যাচ্ছে বলে জানান ওই কর্মকর্তাআরেক কর্মকর্তা বলেন, আরাকান আর্মিও রোহিঙ্গাদের দলে অন্তর্ভুক্ত করছে এবং তাদের সম্মুখভাগে রাখছেফলে প্রথম হতাহতের শিকার হন রোহিঙ্গারাগত নভেম্বরে আরাকান আর্মি তাদের হামলার পরিমাণ বাড়িয়ে দেয় এবং এর প্রভাব পড়ে বাংলাদেশেগত জানুয়ারি মাসে সীমান্ত এলাকায় মিয়ানমার বাহিনীর সঙ্গে আরাকান আর্মির একাধিক সংঘর্ষ হয়এর সরাসরি প্রভাবে বাংলাদেশ অংশের সীমান্ত অশান্ত হয়ে ওঠে
এ বিষয়ে আরেকজন কর্মকর্তা বলেন, আমরা গত নভেম্বর থেকে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষকে মানবিক সংকট নিরসনে ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানিয়ে আসছিগত বছর রাখাইনে ফসল ভালো না হওয়ায় সেখানে খাদ্য সংকট তৈরি হয়েছেএই সংকট কাটিয়ে ওঠার জন্য মিয়ানমারের কেন্দ্রীয় সরকার সঠিক কোনও পদক্ষেপ নেয়নিরাখাইনের যেসব জায়গা মিয়ানমার বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, সেখানে নিয়ন্ত্রিতভাবে কিছু খাদ্য সরবরাহ করছে দেশটির সরকারএর অন্যতম কারণ হলো নিয়ন্ত্রণহীন এলাকায় খাদ্য পাঠালে সেটি আরাকান আর্মি তাদের দখলে নিয়ে নিচ্ছে বলে তিনি জানানএই কর্মকর্তা বলেন, ফেব্রুয়ারি মাসে রোহিঙ্গাদের কন্সক্রিপ্ট হিসেবে ব্যবহারের খবর পাওয়ার পর আমরা তাদের মানবঢাল হিসেবে ব্যবহার না করা জন্য একাধিকবার আহ্বান জানিয়েছি
প্রচুর সম্পদ ও ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে মিয়ানমার সবসময় ভূ-রাজনীতির বড় শক্তিগুলোর কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণএকদিকে মিয়ানমার থেকে সম্পদ আহরণের জন্য চীন বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ নিচ্ছেঅপরদিকে যুক্তরাষ্ট্র ও সমমনা দেশগুলো সেটির বিরোধিতার জন্য মিয়ানমারে বিভিন্ন ধরনের কর্মকাণ্ড চালাচ্ছেতবে এক্ষেত্রে চীন তাদের নিয়ন্ত্রিত অস্থিরতা (কন্ট্রোল্ড ইন্সটাবিলিট) নীতির মাধ্যমে ভালো অবস্থানে রয়েছে
এ বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করে বলেন, মিয়ানমার সংলগ্ন বঙ্গোপসাগর থেকে গ্যাস সরবরাহের জন্য চক্তো থেকে কুনমিং পর্যন্ত প্রায় ৮০০ কিলোমিটার পাইপলাইন তৈরি করেছে চীন২০১৬ থেকে এখন পর্যন্ত রাখাইনে অনেক ধরনের অস্থিরতার ঘটনা ঘটেছেকিন্তু ওই পাইপলাইন দিয়ে গ্যাস সরবরাহ কখনোই বন্ধ হয়নিমিয়ানমার সরকার, আরাকান আর্মি বা অন্য বিরোধী দলগুলো একটি বিষয় মেনে চলে এবং সেটি হচ্ছে তারা কোনোভাবেই চীনের কোনও স্বার্থে ব্যাঘাত ঘটায় না বলে জানান তিনি
এই কর্মকর্তা আরও বলেন, এটি থেকে বোঝা যায় মিয়ানমারে যে অস্থিরতা (ইন্সটাবিলিটি) রয়েছে, সেটির ওপর বড় ধরনের নিয়ন্ত্রণ রয়েছে চীনেরএ জন্য বলা হয়ে থাকে, মিয়ানমারে কন্ট্রোল্ড ইন্সটাবিলিটি নীতি বজায় রাখছে চীনযুক্তরাষ্ট্র ও ভারতসহ অন্য সমমনা দেশগুলো চেষ্টা করছে চীনের এই নিয়ন্ত্রণ কমানোর জন্যবৃহৎ শক্তিগুলোর নিজেদের মধ্যে বিবাদের কারণে রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান করা আরও জটিল হয়ে পড়ছে বলে মনে করেন তিনি
 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স