কেরানীগঞ্জ-৩ আসনকে ঘিরে রাজনৈতিক অঙ্গন এখন সরব। এই আসনে অন্যতম আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু তরুণ নেতা রেজাউল কবির পল। মাঠপর্যায়ে তার জনপ্রিয়তা, তৃণমূলের সঙ্গে নিবিড় যোগাযোগ এবং ধারাবাহিক রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড তাকে মনোনয়নের যোগ্য করে তুলেছে—এমনটাই বলছেন স্থানীয় নেতাকর্মীরা।
কিন্তু দুঃখজনক বাস্তবতা হলো, যখন কোনো নতুন বা উদীয়মান নেতা মনোনয়ন প্রত্যাশা করেন, তখন জ্যেষ্ঠ বা প্রভাবশালী মহল তাকে ধমক দিয়ে থামাতে চায়। শুধু তাই নয়—গত ২২ আগস্ট, শুক্রবার, রেজাউল কবির পলের সমর্থকদের উপর তারই দলের অপর একটি পক্ষ প্রকাশ্যে হামলা চালায় বলে অভিযোগ উঠেছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, একই দলে থেকে এ ধরনের হামলা কেবল অগণতান্ত্রিকই নয়, দলীয় ঐক্যের জন্যও ভয়াবহ হুমকি।
তৃণমূলের অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “পলকে থামানো মানে তৃণমূলকে থামানো। তাকে ধমকানো বা তার সমর্থকদের ওপর হামলা মানে জনগণের কণ্ঠকে স্তব্ধ করার চেষ্টা।”
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, মনোনয়ন চাওয়া কোনো অপরাধ নয়; বরং এটি জনগণের আস্থার পরীক্ষা। যে নেতা মাঠে জনপ্রিয়, কর্মঠ এবং নিবেদিত, তার মনোনয়ন প্রত্যাশা গণতান্ত্রিক চর্চার অংশ। তাকে ভয় দেখানো, ধমকানো বা হামলার মাধ্যমে দমন করার চেষ্টা হলে দলীয় ঐক্য ভেঙে যাবে এবং জনগণের আস্থা কমে যাবে।
কেরানীগঞ্জ-৩ আসনের জন্য যোগ্য প্রার্থী নির্বাচনের ক্ষেত্রে হামলা, সংঘাত বা ভীতি প্রদর্শনের কোনো জায়গা নেই। তৃণমূল স্পষ্ট বার্তা দিয়েছে—গণতান্ত্রিক প্রতিযোগিতা চাই, জোর-জবরদস্তি নয়।
তাই এখন সময় এসেছে স্পষ্টভাবে বলা—রেজাউল কবির পল বা অন্য যে কোনো নেতা মনোনয়ন চাইতে পারেন, এটি তাদের অধিকার। তাকে থামানো কিংবা তার সমর্থকদের ওপর হামলা চালানো মানে গণতন্ত্রের পথ রুদ্ধ করা, আর তৃণমূলকে অস্বীকার করা।
নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কেরানীগঞ্জ-৩: পলকে থামানো মানে তৃণমূলকে থামানো
- আপলোড সময় : ০৩-০৯-২০২৫ ১২:২৬:৩১ পূর্বাহ্ন
- আপডেট সময় : ০৩-০৯-২০২৫ ১২:২৬:৩১ পূর্বাহ্ন


কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ