ঢাকা , শুক্রবার, ২৯ অগাস্ট ২০২৫ , ১৩ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
বিএসএফ মহাপরিচালকের ব্যাখ্যায় দ্বিমত বিজিবির ডিজির ১৪ সদস্যের ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠন মৎস্য ভবনের সামনে সড়ক অবরোধ প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের শিশু ধর্ষণ আশঙ্কাজনক বৃদ্ধিতে গভীর উদ্বেগ সিলেটে পুকুর থেকে সাদাপাথর উদ্ধার ভোলাগঞ্জের পাথর লুট করে ১৫০০-২০০০ ব্যক্তি বাংলাভাষী লোকজনকে ‘বাংলাদেশি’ আখ্যা দিয়ে দেশছাড়া করতে দেব না- মমতা রোডম্যাপকে স্বাগত জানাই-জোনায়েদ সাকি ইসির রোডম্যাপে খুশি বিএনপি-মির্জা ফখরুল ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা মেসির জোড়া গোলে ফাইনালে ইন্টার মায়ামি টাইব্রেকারে গ্রিমসবির কাছে হেরে বিদায় নিলো ম্যানইউ নতুন মাইলফলক স্পর্শ করলেন হামজা ‘মুসলিম হওয়ার কারণে অনেকে আমাকে টার্গেট করেন’ ভারতের ২৬ বিশ্বকাপ জেতার সুযোগ দেখছেন না শ্রীকান্ত নতুন ক্যাটাগোরিতে বেতন কত কমল বাবর-রিজওয়ানের? বড় ব্যবধানে হারলো সাকিবের ত্রিনবাগো নাইট রাইডার্স বাংলাদেশকে হারানো সহজ হবে না: স্কট এডওয়ার্ডস রাকসু নির্বাচনের তফসিল ৩য় বারের মতো পুনর্বিন্যস্ত পিছিয়েছে ভোট জকসু নির্বাচনে বয়সসীমা থাকছে না

ওষুধের দাম হবে বিজ্ঞানসম্মত ও জনগণমুখী-বিশেষ সহকারী

  • আপলোড সময় : ২৭-০৮-২০২৫ ০৫:২৬:১৮ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ২৭-০৮-২০২৫ ০৫:২৬:১৮ অপরাহ্ন
ওষুধের দাম হবে বিজ্ঞানসম্মত ও জনগণমুখী-বিশেষ সহকারী
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (স্বাস্থ্য) অধ্যাপক ডা. সায়েদুর রহমান বলেছেন, ওষুধ বা মেডিকেল কলেজ নিয়ে বিএনপি মহাসচিবের বক্তব্য তার ব্যক্তিগত মতামত, দলীয় বক্তব্য নয়। শিল্পবান্ধব হতে হবে-এটা ঠিক। তবে প্রশ্ন করলে পৃথিবীর সব রাজনৈতিক দলই বলবে-সরকার ওষুধের প্রশ্নে জনগণের পক্ষেই থাকবে। আমরাও অন্তর্বর্তী সরকার হিসেবে স্পষ্টভাবে জনগণের পক্ষেই আছি। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর শাহবাগে আবু সাঈদ কনভেনশন সেন্টারে স্বাস্থ্য খাত নিয়ে আয়োজিত সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। দেড় ঘণ্টাব্যাপী অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য সচিব মো. সাইদুর রহমান এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক মো. আবু জাফরও উপস্থিত থেকে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন। অধ্যাপক ডা. সায়েদুর রহমান বলেন, আমরা হোস্টাইল হতে চাই না। তবে এটুকু বলতে পারি-বিজ্ঞানসম্মত, বিশ্বের অভিজ্ঞদের মতামতের ভিত্তিতে, যুক্তিসঙ্গত ও ন্যায়সঙ্গত মুনাফার সুযোগ রেখে মানুষের জন্য ওষুধের দাম নির্ধারণ করতে চাই। তিনি আরও বলেন, স্বাধীন স্বাস্থ্য ব্যবস্থা গড়ে তুলতে গিয়ে দাতা সংস্থার ওপর চরম নির্ভরতার মাঝেও আমরা ধীরে ধীরে কাটিয়ে উঠছি। একটা ক্ষত বা ফোঁড়া কাটতে গেলে কিছু ভালো মাংস কেটে ফেলতে হয়। সেভাবেই কিছু বিঘ্ন হচ্ছে। আশা করছি আগামী দেড়-দুই মাসের মধ্যে এগুলো কেটে যাবে এবং আমরা স্বাধীনভাবে স্বাস্থ্যসেবা চালাতে পারব। পেশা বা কর্মস্থল পরিবর্তনের প্রসঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী বলেন, কোনো পেশাজীবীকে বাধা দেওয়ার সুযোগ নেই। যে কেউ ভালো সুযোগ পেলে গ্রহণ করবে। স্বাস্থ্যখাত আকর্ষণীয় করে তুলতে পারলেই দক্ষ জনবল ধরে রাখা সম্ভব হবে। আইসিইউ ব্যবস্থার দুরবস্থা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, দীর্ঘদিন পরিকল্পনার অভাবে আইসিইউসংক্রান্ত জনবল তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। এবার আমরা জরুরি সেবার নতুন সাবজেক্ট চালু করেছি, শিগগির ভর্তি কার্যক্রম শুরু হবে। আসলে আইসিইউ মানে শুধু ‘আইসিইউ’ নয়, এটি একটি পূর্ণাঙ্গ ক্রিটিক্যাল কেয়ার সেবা-এ নিয়েও আমাদের কাজ করতে হবে। অ্যাম্বুলেন্স সেবার অনিয়ম প্রসঙ্গে অধ্যাপক ডা. সায়েদুর রহমান বলেন, অ্যাম্বুলেন্সগুলো সিন্ডিকেটের হাতে চলে গেছে। আসলে এগুলোকে অ্যাম্বুলেন্সও বলা যায় না। যেমন- ওষুধের দোকান ফার্মেসির নামে চলছে। সঠিক মানদণ্ড নির্ধারণ করলে বর্তমানে অ্যাম্বুলেন্সের ১০ শতাংশও টিকবে না। চিকিৎসকদের ফি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, চিকিৎসকের পেশাগত ফি বাংলাদেশে নির্ধারিত নয়, অনেক দেশে তা নির্ধারিত। দরিদ্র রোগীরা আসেন বলেই এখানে প্রশ্ন ওঠে। চিকিৎসকদের সঙ্গে আলাপ করে প্রফেশনাল ফি নির্ধারণ করা যেতে পারে। তবে আমাদের দেশে রেফারেল সিস্টেম না থাকায় মানুষ প্রয়োজন না থাকলেও সরাসরি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের কাছে যায় এবং অযথা বেশি খরচ হয়। নিয়োগ ও পদোন্নতি প্রসঙ্গে অধ্যাপক ডা. সায়েদুর রহমান বলেন, আমরা প্রত্যেক বিশেষজ্ঞকে পদোন্নতি দিচ্ছি। কেউ বঞ্চিত হওয়ার সুযোগ নেই। কেউ বাদ পড়লে তা শর্ত পূরণ না করার কারণে। নিয়োগ এমন প্রতিষ্ঠান দিয়ে করা হচ্ছে, যা বিশ্বস্বীকৃত। অতীতে এমন হয়নি, ভবিষ্যতেও কেউ করতে চাইবে না। এসময় স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. সাইদুর রহমান বলেন, শিশু হাসপাতালে অনিয়মের কারণে তাৎক্ষণিকভাবে নিয়োগ বাতিল করা হয়েছে। দুর্নীতি নয়, অনিয়ম প্রমাণিত হয়েছে। স্বচ্ছ নিয়োগ নিশ্চিত করতে আমরা বদ্ধপরিকর। তিনি আরও বলেন, আমরা কাউকে বঞ্চিত করিনি, ভবিষ্যতেও করব না। ১০ হাজার পদোন্নতির কাজ চলছে। কোনো অনিয়মের সুযোগ নেই। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক মো. আবু জাফর বলেন, অতীতে আমরা দাতাদের ওপর নির্ভরশীল ছিলাম। প্রচুর অর্থ এসেছিল এবং অবাধে ব্যয় হয়েছিল। এখন আমরা অর্থ ব্যবহারে কঠোর নজরদারি চালাচ্ছি। জরুরি সেবাগুলো ভিন্নভাবে চালানোর উদ্যোগ নিয়েছি এবং রাজস্ব খাতেই অধিকাংশ কার্যক্রম নিয়ে যাচ্ছি। সভায় সাংবাদিক ছাড়াও স্বাস্থ্যখাতের পদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স