ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ২৮ অগাস্ট ২০২৫ , ১৩ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
রাকসু নির্বাচনের তফসিল ৩য় বারের মতো পুনর্বিন্যস্ত পিছিয়েছে ভোট জকসু নির্বাচনে বয়সসীমা থাকছে না দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা চন্দ্রনাথ পাহাড় ঘিরে উসকানির চিহ্ন দেখামাত্র ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র চলছে-মির্জা ফখরুল শিক্ষার্থীদের ওপর লাঠিচার্জ কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়-বুয়েট ভিসি প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের দাবির যৌক্তিকতা যাচাইয়ে কমিটি ডেঙ্গু চিকুনগুনিয়া এবং ইনফ্লুয়েঞ্জায় কাবু মানুষ হিজাব বিতর্কে শিক্ষক বরখাস্ত উত্তাল ভিকারুননিসা আজ জাতীয় নির্বাচনের রোডম্যাপ মোট ভোটার ১২ কোটি ৬১ লাখ ডাকসু নির্বাচনে প্রচারণায় উৎসবমুখর ঢাবি ক্যাম্পাস প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের উপর সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ গাজীপুরে বিএনপি নেতার বাড়িতে ডাকাতি জেনেভা ক্যাম্পে সেনা অভিযানে গ্রেফতার ১১ গোবিন্দগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২ ভূমিদস্যু ও জালিয়াতি সম্রাট আসলামের অবৈধ কর্মকাণ্ডে গোপন তদন্ত শুরু ভারতে কারাভোগ শেষে দেশে ফিরলেন ১৭ বাংলাদেশি প্রধান আসামির মৃত্যুদণ্ড সহযোগীর পাঁচ বছর কারাদণ্ড জটিল রোগে ৩ লাখ টাকা পাবেন সরকারি কর্মচারীরা আবু সাঈদ হত্যা মামলায় ট্রাইব্যুনালের বিচার শুরু

রাজনৈতিক পটপরিবর্তনে ঘটছে নতুন অপরাধ

  • আপলোড সময় : ২৫-০৮-২০২৫ ০২:৪৭:০৮ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ২৫-০৮-২০২৫ ০২:৪৭:০৮ অপরাহ্ন
রাজনৈতিক পটপরিবর্তনে ঘটছে নতুন অপরাধ
দেশে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর ক্রমবর্ধমান হারে বাড়তে থাকে চাঁদাবাজি ও দখলদারিত্বের মতো অপরাধ। আর ওসব অপরাধে নতুন অপরাধীদের আবির্ভাব ঘটেছে। দ্রুত ওই অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে না পারলে দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যের নিরাপদ পরিবেশ আরো অনিশ্চিত হয়ে পড়ার শঙ্কা রয়েছে। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে পুলিশের পক্ষ থেকে দেশব্যাপী চাঁদাবাজি ও অবৈধ দখলদারিত্বে যুক্ত অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার ঘোষণা দেয়া হয়। এমনকি এ ধরনের অপরাধকে প্রাধান্য দিয়ে সেনাবাহিনী, পুলিশ ও র?্যাবের সমন্বয়ে দেশব্যাপী বিশেষ অভিযানও শুরু হয়। দেশের আটটি বিভাগ ও আটটি রেঞ্জে পুলিশ অভিযান শুরু করেছে। আর অভিযানে গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে অনেকেরই রাজনৈতিক পরিচয় রয়েছে। আবার কেউ কেউ নতুন করে এসব অপরাধে যুক্ত হয়েছে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের সবার তথ্য সংবলিত একটি ডাটাবেজ তৈরি করছে। ব্যবসায়ী এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়। সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, চাঁদাবাজি ও দখলদারিত্বমূলক অপরাধে ঢাকা ও চট্টগ্রামের পরই উঠেছে খুলনা বিভাগের নাম। সুন্দরবন, মোংলা বন্দরসহ প্রাকৃতিক সম্পদবেষ্টিত খুলনা বিভাগে চাঁদাবাজি ও দখলদারিত্বে মতো অপরাধে গ্রেফতারদের মধ্যে ৫৭ শতাংশই নতুন মুখ। অর্থাৎ তাদের নামে চাঁদাবাজির মতো অপরাধে যুক্ত থাকার রেকর্ড ইতিপূর্বে ছিলো না। রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর তারা নতুন করে এসব অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে। সূত্র জানায়, বিগত ১৫ জুলাই থেকে ১৭ আগস্ট পর্যন্ত সারা দেশে পরিচালিত অভিযানে মোট ৬৫০ জনকে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হয়েছে। তার মধ্যে ৩৭১ জনই নতুন মুখ। তাদের বিরুদ্ধে আগে কখনো চাঁদাবাজি ও অবৈধ দখলদারিত্বের কোনো অভিযোগ ছিল না। বাকি ২৭৪ জন আগে থেকেই চাঁদাবাজ ও অবৈধ দখলদার হিসেবে চিহ্নিত। তাদের বিরুদ্ধে মামলাও রয়েছে। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে ঢাকা বিভাগে চাঁদাবাজ ও অবৈধ দখলদার সবচেয়ে বেশি। ঢাকা মেট্রোপলিটন ও ঢাকা রেঞ্জ মিলিয়ে ২৩৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার মধ্যে আগে থেকে চিহ্নিত ৭৯ জন। তাদের বিনেিদ্ধ পুরনো মামলা রয়েছে। তার বাইরে ১৫০ জনকে চাঁদাবাজির নতুন মামলা দেয়া হয়েছে। ঢাকার পর চট্টগ্রাম বিভাগে সবচেয়ে বেশি শিল্পপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। ওই বিভাগটি চাঁদাবাজি ও অবৈধ দখলদারত্বের অপরাধ বিবেচনায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। সেখানে সর্বমোট ৮৩ জনকে চিহ্নিত করে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার মধ্যে ৪৬ জন আগে থেকে চিহ্নিত। তাদের নামে চাঁদাবাজির মামলাও ছিল। নতুন করে ওই অপরাধে যুক্ত হয়েছেন ৪৬ জন। তাদের বিরুদ্ধে মামলা দেয়া হয়েছে। ক্রমবর্ধমান চাঁদাবাজি ও দখলদারিত্বের অপরাধ দেশের বিনিয়োগ পরিবেশকে ঝুঁকিপূর্ণ করে তুলছে। কারণ ওসব অপরাধের বিস্তার ব্যবসায়িক আস্থা মারাত্মক ক্ষুণ্ন করছে, বিনিয়োগ পরিবেশকে ঝুঁকিপূর্ণ করছে। বর্তমানে ব্যবসায়ীরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন, যা কর্মসংস্থান ও রফতানি প্রবৃদ্ধির জন্য হুমকি। পরিস্থিতি উন্নয়নে সরকারকে অবিলম্বে শক্ত পদক্ষেপ নিয়ে ব্যবসায়িক আস্থা পুনঃস্থাপন করতে হবে। সূত্র আরো জানায়, খুলনা দেশের প্রাচীনতম নদীবন্দরগুলোর মধ্যে অন্যতম। পাশাপাশি বিভাগটিতে বিভিন্ন স্থলবন্দর, শিল্প-কারখানাও রয়েছে। খুলনায় দেশের দ্বিতীয় সমুদ্রবন্দর মোংলা সমুদ্রবন্দর অবস্থিত। সামগ্রিকভাবে খুলনা বিভাগকে মৎস্য সম্পদ, বনজ সম্পদ অন্য সব বিভাগ থেকে আলাদা পরিচিতি দিয়েছে। পাশাপাশি ওই বিভাগ থেকেই ফুল ও সবজির বড় জোগানও সরবরাহ হয়। কিন্তু চাঁদাবাজ ও অবৈধ দখলদারের বিস্তারে ওই বিভাগের ব্যবসা-বাণিজ্য ব্যাহত হচ্ছে। এদিকে অপরাধ বিশেষজ্ঞরা চাঁদাবাজি ও অবৈধ দখলদারিত্ব রোধে আইনের কঠোর প্রয়োগ নিশ্চিত করার ওপর জোর দিয়েছে জানান, যে কোনো দেশেই রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর কঠোরভাবে আইনের প্রয়োগ ও জবাবদিহি নিশ্চিত করা জরুরি। কারণ আইন প্রয়োগে ঘাটতি থাকলে জবাবদিহি ও দায়িত্বশীলতা তৈরি হয় না। ফলে পুলিশ আইন প্রয়োগ করতে গিয়ে সংকটের মধ্যে পড়তে হয়। গতবছর দেশে রাজনৈতি পটপরিবর্তনের পর আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি উত্তরণে যে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে, তা মাঠের অপরাধ বাস্তবতা মোকাবেলা করার ক্ষেত্রে যথাযথ নয়। ওই ধরনের অপরাধ দমনে আইনের কঠোর প্রয়োগ নিশ্চিত করা জরুরি। অন্যদিকে এ বিষয়ে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম জানান, সারা দেশেই চাঁদাবাজি ও দখলদারিত্ব রোধ করতে পুলিশ কঠোর অবস্থানে রয়েছে। কিন্তু প্রভাবশালীরা এখনো নানাভাবে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করছে। যখনই পুলিশ কোনো অপরাধের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে যায়, তখনই তারা থানা ঘেরাওসহ নানা ধরনের কার্যক্রম শুরু করে। অথচ এসব ক্ষেত্রে সহযোগিতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স