ঢাকা জেলার আওতাভুক্ত একটি থানায় একজন নারী কনস্টেবলকে ‘বিয়ের প্রলোভনে’ একাধিকবার ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে একই থানায় কর্মরত থাকা আরেক পুলিশ কনস্টেবলের বিরুদ্ধে। বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবর, অভিযুক্ত পুলিশ সদস্য ও ভুক্তভোগী নারী সহকর্মী। তারা দুজনই ঢাকা জেলার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় কর্মরত ছিলেন। ওই থানার দ্বিতীয়তলার নারী ব্যারাকে ঢুকে ভুক্তভোগীকে ধর্ষণ করেন বলে পুরুষ কনস্টেবলের বিরুদ্ধে অভিযোগ। এমনকি ওই ঘটনার ভিডিও ধারণ করে তা ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে ব্ল্যাকমেইল করে গত পাঁচ মাস ধরে থানা ব্যারাকেই ওই নারী কনস্টেবলকে ধর্ষণ করেন অভিযুক্ত পুলিশ সদস্য। ঘটনাটি বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশের পর পুলিশ প্রশাসনের নজরে আসে। তবে এর আগে ঘটনার প্রতিকার চেয়ে গত কয়েকদিন ধরে ঘুরেও থানায় মামলা করতে না পেরে আত্মহত্যার চেষ্টা চালান ভুক্তভোগী। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ভুক্তভোগী নারী কনস্টেবল দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ওসির কাছে গত ১৯ আগস্ট লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগে নারী কনস্টেবল উল্লেখ করেছেন, অভিযুক্ত কনস্টেবল বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে গত পাঁচ মাস ধরে তাকে একাধিকবার ধর্ষণ করেছেন। অভিযোগের বিষয়ে জানতে পেরে ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার মো. আনিসুজ্জামান তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেন। তিনি অভিযুক্ত ও অভিযোগকারী উভয় পুলিশ সদস্যকে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করেন এবং ঘটনার সত্যতা যাচাইয়ে একজন তদন্তকারী কর্মকর্তা নিয়োগ করেন। বর্তমানে এ ঘটনার তদন্ত চলছে বলে জানা গেছে। জেলা পুলিশ সুপার আনিসুজ্জামান জানান, বাংলাদেশ পুলিশ একটি পেশাদার ও সুশৃঙ্খল বাহিনী। কোনো সদস্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠলে তা গুরুত্বসহকারে দেখা হয় এবং তদন্তসাপেক্ষে বিভাগীয় ও আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হয়। সংশ্লিষ্ট ঘটনায় তদন্ত শেষে অভিযোগ প্রমাণিত হলে অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

থানা ব্যারাকে নারী কনস্টেবলকে ৫ মাস ধরে ‘ধর্ষণ’ সহকর্মীর
- আপলোড সময় : ২২-০৮-২০২৫ ০৬:৫৭:৪৯ অপরাহ্ন
- আপডেট সময় : ২২-০৮-২০২৫ ০৬:৫৭:৪৯ অপরাহ্ন


কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ