
মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার প্রসঙ্গে আসিফ নজরুল
চেষ্টা করছি, দিন শেষে কী হবে জানি না
- আপলোড সময় : ২১-০৮-২০২৫ ১০:২৫:০৪ পূর্বাহ্ন
- আপডেট সময় : ২১-০৮-২০২৫ ১০:২৫:০৪ পূর্বাহ্ন


প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, আগের সরকারের সঙ্গে আমাদের চুক্তি হয়ে আছে। আমাদের লিস্ট থেকে মালয়েশিয়া সিদ্ধান্ত নেবে। এটা চুক্তিতে আছে, চুক্তি কি আমি জোর করে বদলাতে পারি। আমি অনেকভাবে বোঝানোর চেষ্টা করছি, ভালো কিছু আশা করি। কিন্তু আমি জানি না দিন শেষে কী হবে! গতকাল বুধবার প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের এক বছরের অগ্রগতির বিষয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। আসিফ নজরুল বলেন, আমরা মালয়েশিয়ার সঙ্গে যত আলোচনা হয়েছে, আমরা বলেছি—সব রিক্রুটিং এজেন্সিকে সুযোগ দিতে। এবার গিয়েও বলেছি, সবাইকে সুযোগ দিতে। মনোপলি হলে শ্রমিকরা প্রতারিত হয়, খরচ বেড়ে যায়, মনোপলি হলে অনেক ধরনের দুর্নীতি হয়। ফিলিপাইন, পাকিস্তান, নেপালের রিক্রুটিং এজেন্সি কয়েকশ’, আমাদের কয়েক হাজার। এ প্রসঙ্গ যখন তোলা হয় তখন আমি ওই দেশগুলোর সমান দিতে বলি। পাকিস্তানকে ৪০০ দিলে আমাদেরও ৪০০ দেওয়ার কথা বলেছি। এই বছর শুনেছি যে মালয়েশিয়া ৩০ হাজার শ্রমিক নেবে, আমরা বলেছি বোয়েসেলকে দিতে। আমরা আমাদের মতো সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। তবে আপনাদের মনে রাখতে হবে, মালয়েশিয়া একটি সার্বভৌম দেশ। আমরা তো তাদের জোর করতে পারি না।
মালয়েশিয়ায় আলোচিত-সমালোচিত প্রতিষ্ঠান বেস্টিনেটের স্বত্বাধিকারী আমিন নূর প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আসিফ নজরুল বলেন, উনি মালয়েশিয়ার নাগরিক। মালয়েশিয়ার সরকারের সঙ্গে উনি অনেক বছর ধরে কাজ করেন। উনি যেহেতু সরকারের সঙ্গে অনেক বছর ধরে কাজ করেন, সরকারের ব্যবস্থাপনা এফডব্লিউসিএমএস তো ওনার অধীনে। আমাদের চেয়ে আগে খবর ওনার জানার কথা। উনি তো সরকারের অংশ হিসেবে কাজ করছেন। আমরা যে খবর নিই, সেটা হচ্ছে ক্রেডিবল সোর্সের দিকে খেয়াল রাখি। আমাদের মালয়েশিয়ায় একটা দূতাবাস আছে, তারা খুবই তৎপর। আমরা খুবই সতর্ক আছি, যাতে কোনও সিন্ডিকেট বা দুর্নীতি চক্রের মধ্যে আমাদের শ্রমিক ভাইবোনেরা না পড়েন।
আসিফ নজরুল বলেন, ওনার সঙ্গে আলোচনা করা বা উনি তো আলোচনার বিষয় না। মালয়েশিয়ার সঙ্গে যখন কথা হয়েছে, আপনাদের দায়িত্ব নিয়ে বলছি, প্রথমবার আলোচনায় বলেছি—আমাদের সব এজেন্সিকে কাজ দেওয়ার জন্য। তারা বলেছে, আমাদের তো কয়েক হাজার এজেন্সি, তাদের কয়েকশ’। আমি বলেছি, তাহলে সবার ক্ষেত্রে একরকম করতে। সব দেশকে ৩০০ কিংবা ৫০০ এজেন্সি অনুমোদন দিতে। তারপর বলেছি, যদি ৩০ হাজার কর্মী নেয় তাহলে যেহেতু অল্প কর্মী, বোয়েসেলকে দিতে। এখন আমি তো সরকারের সঙ্গে আলোচনা করেছি, আমি তো কোনও ব্যক্তির সঙ্গে আলোচনা করিনি। আর ব্যক্তির বিষয়ে কোনও কথা বলাও ঠিক হবে না।
তিনি বলেন, সৌদি আরবের সঙ্গে কর্মী নিয়ে চুক্তি হচ্ছে। খসড়া তৈরি হয়েছে ইতোমধ্যে। খসড়া সৌদি আরবের সঙ্গে ফাইনাল করা হয়েছে। এখন শুধু চুক্তিতে স্বাক্ষর বাকি। আমার কাছে সৌদি আরও জানতে চেয়েছে—সেপ্টেম্বরে আমি ফ্রি আছি নাকি, স্বাক্ষর করার জন্য সৌদি আরব যেতে পারবো কিনা। মালয়েশিয়া যেতে না পারা কর্মীদের বিষয়ে উপদেষ্টা বলেন, ৭ হাজার ৯০০ কর্মীকে পাঠানোর ব্যবস্থা হয়েছে। মালয়েশিয়া বোয়েসেলের মাধ্যমে নিতে রাজি হয়েছে। আমাদের কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata
কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ