ঢাকা , শনিবার, ১৬ অগাস্ট ২০২৫ , ১ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
১৫৯ কোটি টাকার কর ফাঁকির প্রাথমিক প্রমাণ নারী নির্যাতনের অভিযোগে সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন- আইএসপিআর সংস্কারের নামে কালক্ষেপণ ভয়ংকর বিপদ ডেকে আনবে : রিজভী তিস্তার পানি কমলেও চরম দুর্ভোগে মানুষ শিক্ষাবোর্ড চেয়ারম্যানের সঙ্গে দুর্ব্যবহার বিএনপি নেতাকে শোকজ লোকালয়ে বন্য হাতির দল, আতঙ্কে স্থানীয়রা কলেজে বই পোড়ানোর ঘটনায় জড়িতদের দুঃখ প্রকাশ, দাবি অধ্যক্ষের মোটরসাইকেল থেকে পড়ে মা ও সন্তানের মৃত্যু দেশের চা বাগানগুলোতে বাড়ছে শ্রমিক অসন্তোষ নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতেই বিলম্বিত করার মতো কোনো শক্তি নেই- প্রেস সচিব সুষ্ঠু নির্বাচন হলে কেউ ধানের শীষকে রুখতে পারবে না-ফারুক ‘আমরা মরে গেলাম ঋণের বোঝা আর খাওয়ার অভাবে’ গৃহবধূ থেকে সফল রাজনীতিক চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় পাইপলাইনে জ্বালানি তেল সরবারহের উদ্বোধন আজ ‘আমি গৃহবন্দি’, জেডআই খান পান্নার ফেসবুক পোস্ট আজ শুভ জন্মাষ্টমী হঠাৎ আলোচনায় ‘তৃতীয় জোট’ মাইলস্টোন ট্রাজেডি: ২৪ দিন পর আরও এক শিক্ষিকার মৃত্যু চীনা বিনিয়োগে বড় বাধা কোয়াড যুক্তরাষ্ট্রে বাজার বাড়াতে প্রস্তুত হচ্ছে বাংলাদেশ

লোকালয়ে বন্য হাতির দল, আতঙ্কে স্থানীয়রা

  • আপলোড সময় : ১৬-০৮-২০২৫ ১২:৪০:১৭ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ১৬-০৮-২০২৫ ১২:৪০:১৭ অপরাহ্ন
লোকালয়ে বন্য হাতির দল, আতঙ্কে স্থানীয়রা
জামালপুর প্রতিনিধি
গারো পাহাড়ে বন্য হাতি ও মানুষের দ্বন্দ্ব নতুন নয়। বন ধ্বংস, অবকাঠামো উন্নয়ন ও জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে হাতির আবাসস্থল সংকুচিত হচ্ছে। খাদ্যের অভাবে তারা লোকালয়ে ঢুকে পড়ছে। ফলে ২৫ বছর ধরে চলা এই সংঘাত দিন দিন তীব্র হচ্ছে। জামালপুরের বকশীগঞ্জে গত দুই সপ্তাহ ধরে অবস্থান করছে অর্ধশতাধিক বন্য হাতির দুটি দল। সদ্য রোপণ করা ধানক্ষেত, সবজি ও ফসল নষ্ট করছে তারা। ফলে স্থানীয়দের রাত কাটছে আতঙ্কে ও নির্ঘুম। ধানুয়া কামালপুরের সাতানি পাড়া, সোমনাত পাড়া, দিঘলা কোনাসহ কয়েকটি পাহাড়ি গ্রামে প্রতিদিন বিকেল থেকে ভোর পর্যন্ত খাবারের খোঁজে হাতির দল সমতলে নেমে আসে। স্থানীয়রা ঝুঁকি নিয়ে আগুন জ্বালিয়ে ও সাইরেন বাজিয়ে তাড়ানোর চেষ্টা করলেও খুব একটা ফল হচ্ছে না। স্থানীয় বাসিন্দা মাসুদ মিয়া বলেন, বিকেল হলেই হাতি পাহাড় থেকে নামে। প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে এমন অবস্থা। ধান লাগানোর পরই হাতিরা এসে খেয়ে ফেলে, তারপর বাড়ির ভেতর ঢুকে পড়ে। সাতানিপাড়ার ইয়াকুব আলী জানান, বন বিভাগের সহায়তায় ১০ জনের একটি ‘এলিফ্যান্ট রেসপন্স টিম’ গঠন করা হয়েছে। তিনি বলেন, রাত-দিন আমরা হাতির গতিবিধি নজরে রাখি। তবু ফসল রক্ষা করা যাচ্ছে না, আর আশপাশের দশ গ্রামের মানুষ আতঙ্কে আছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা বলছেন, স্থায়ী সমাধান না হলে বড় ধরনের সংঘাত ঘটতে পারে। ধানুয়া-কামালপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান গোলাপ জামাল বলেন, ২৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে এই সমস্যা চলছে। আমরা চাই সরকার দ্রুত স্থায়ী ব্যবস্থা নিক। জামালপুর বন বিভাগের ডুমুরতলা বিট কর্মকর্তা রকিবুল হাসান জানান, চারটি এলিফ্যান্ট রেসপন্স টিমের তৎপরতায় ঘরবাড়ির বড় ক্ষতি হয়নি, তবে পাহাড়ঘেঁষা ফসলি জমি নষ্ট হয়েছে। গ্রামবাসীকে হাতির ক্ষতি না করতে সতর্ক করা হয়েছে এবং ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণের জন্য আবেদন করতে বলা হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাসুদ রানা বলেন, ক্ষতির সঠিক পরিমাণ এখনও নিরূপণ করা যায়নি। ক্ষতিগ্রস্তদের আবেদন নেওয়া হচ্ছে এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণীবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ও হাতি গবেষক মো. আব্দুল আজিজ বলেন, আশির দশক থেকেই ভারতের মেঘালয় থেকে হাতি বাংলাদেশে আসছে। দুই দেশেই খাবারের সংকট থাকায় হাতিরা লোকালয়ে ঢুকছে। সরকারি জমি হাতিদের জন্য উন্মুক্ত করা ও বনায়ন বাড়ানোই দীর্ঘমেয়াদি সমাধান।
 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স
প্রতিবেদকের তথ্য