রাজশাহী প্রতিনিধি
রাজশাহীর বাগমারা থেকে হোমিওপ্যাথি ওষুধ বিক্রির আড়ালে শতকরা ৯০ শতাংশ অ্যালকোহলযুক্ত বিপুল পরিমাণ অবৈধ ও প্রাণঘাতী মাদকদ্রব্যসহ একজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-৫। র্যাব এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে বাগমারা থানার দেউলিয়া গ্রামে অভিযান পরিচালনা করে হোমিওপ্যাথি ব্যবসার নামে ছদ্মবেশে চলা এই মাদক বাণিজ্যের গোপন আস্তানা থেকে বিপুল পরিমাণ মাদক উদ্ধার করা হয়। অভিযানে গ্রেপ্তার করা হয় ব্যবসায়ী মো. সুজনকে (১৯)। তিনি বাগমারা থানার মীর্জাপুর গ্রামের খুশবর আলীর ছেলে। র্যাব-৫, সিপিএসসি এর একটি আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, বাগমারার দেউলিয়া গ্রামে একজন ব্যক্তি দীর্ঘদিন ধরে হোমিওপ্যাথি ওষুধের আড়ালে শতকরা ৯০ শতাংশ অ্যালকোহলযুক্ত প্রাণঘাতী মাদকদ্রব্য বিক্রি করে আসছে। এই তথ্যের ভিত্তিতে গোয়েন্দা দলের সদস্যরা সুজনের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ ও অনুসরণ শুরু করে। এরপর গভীর রাতে দেউলিয়া এলাকায় র্যাব-৫-এর অভিযানিক দল একটি অটোভ্যানসহ আসামিকে আটক করে। ভ্যানে থাকা খড়ের আঁটির স্তূপের নিচে লুকানো অবস্থায় তিনটি কার্টনে ৬৪৮ বোতল (৬৪.৮ লিটার) অ্যালকোহল উদ্ধার করা হয়। এসব কার্টন কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে ওষুধের নামে পরিবহন করা হয়েছিল। এ ছাড়াও ঘটনাস্থল থেকে একটি অটোভ্যান, ১২০টি ধানের আঁটি, একটি মোবাইল ফোন এবং দুটি সিমকার্ড জব্দ করা হয়। র্যাব আরও জানায়, উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্যে থাকা অ্যালকোহলের মাত্রা প্রায় ৯০ শতাংশ, যা অতিমাত্রায় প্রাণঘাতী। ইতোমধ্যে এই মাদক সেবনে প্রাণনাশের ঘটনাও ঘটেছে। গ্রেপ্তার আসামি সুজন দীর্ঘদিন ধরে অধিক লাভের আশায় হোমিওপ্যাথির ছদ্মবেশে রাজশাহী জেলা ও মহানগর এলাকায় বিভিন্ন মাদক ব্যবসায়ী ও যুবকদের কাছে এই প্রাণঘাতী মাদক সরবরাহ করে আসছিল। র্যাবের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এ ধরনের অপরাধী চক্রের বিরুদ্ধে ভবিষ্যতেও অভিযান অব্যাহত থাকবে।
নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata
