ঢাকা , শুক্রবার, ০৮ অগাস্ট ২০২৫ , ২৪ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
কুয়াকাটা সৈকতে ভেসে এলো নিমজ্জিত ট্রলারসহ নিখোঁজ জেলের লাশ রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ কর্নেল আজাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তিন ইউনিয়ন যাচ্ছে অন্য আসনে, প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ টিকিট সিন্ডিকেটে জড়িত এজেন্সির লাইসেন্স বাতিল দাবি পাবিপ্রবি ছাত্রলীগের ২৮ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা মোহাম্মদপুরে সেনা অভিযানে ককটেল ও দেশীয় অস্ত্রসহ গ্রেফতার ৪ সাগর পাড়েও জন্ম নেয় ইতিহাস শেরপুরে যাত্রীবাহী বাস পুকুরে শিশু নিহত, আহত ১৫ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইনে আসছে বড় পরিবর্তন উত্তরা-তুরাগে নীরবে চলছে দখলবাজি ও চাঁদাবাজি নওগাঁয় সপ্তাহব্যাপী বৃক্ষ মেলা শুরু আদমদীঘির কয়াকুঞ্চি বিদ্যালয়ে ধর্মীয় শিক্ষকের সাত বছর যাবৎ এমপিও স্থগিত নীলফামারীতে ইয়াবাসহ কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার লালপুরে এক কোটি ৬২ লাখ ৩৩ হাজার টাকা ব্যয়ে গ্রামীণ রাস্তার উদ্বোধন কলাপাড়ায় বিদ্যুৎ সঞ্চালন স্টেশনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ৬৭ হাজার গ্রাহক অন্ধকারে মীরসরাইয়ে চলছে পাহাড় কাটার মহোৎসব কিশোরগঞ্জে ডাকাতির সময় ৫ জনকে গণপিটুনি রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য কলিমুল্লাহ গ্রেফতার সরকারি অর্থের অপব্যবহারের অভিযোগ রুট পারমিট ছাড়াই চলছে বিপুলসংখ্যক গণপরিবহন
বাংলাদেশ গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজ

সরকারি অর্থের অপব্যবহারের অভিযোগ

  • আপলোড সময় : ০৮-০৮-২০২৫ ১২:২৭:৩৬ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ০৮-০৮-২০২৫ ১২:২৭:৩৬ অপরাহ্ন
সরকারি অর্থের অপব্যবহারের অভিযোগ
ঢাকার ১৪৬/৪ গ্রীণ রোডে অবস্থিত বাংলাদেশ গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজ নিয়ে সম্প্রতি সরকারি অর্থের অপব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। প্রতিষ্ঠানটি দীর্ঘদিন ধরে সরকার থেকে মাসিক বেতন ভাতা (এমপিও) সুবিধা পাচ্ছে, যদিও বর্তমানে এটি কেবল অনার্স ও মাস্টার্স পর্যায়ের শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করে সরকারি নীতিমালার অধীনে এমপিওভুক্তির আওতায় পড়ে না। তবু নামমাত্র একটি বিএসসি পাস কোর্সের আড়ালে প্রতিষ্ঠানটি প্রতিবছর প্রায় ৬ থেকে ৭ লক্ষ টাকা পর্যন্ত এমপিও সুবিধা গ্রহণ করছে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিএসসি পাস কোর্সে শিক্ষার্থীর সংখ্যা কার্যত শূন্যের কাছাকাছি। ২০২৫ শিক্ষাবর্ষে প্রথম বর্ষে ২ জন, দ্বিতীয় বর্ষে ২ জন এবং তৃতীয় বর্ষে মাত্র ১ জন ছাত্রী ভর্তি রয়েছে। এদের কেউই নিয়মিত ক্লাস বা পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে না। অথচ সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী, এমপিওভুক্তির জন্য একটি প্রতিষ্ঠানে উচ্চ মাধ্যমিক স্তরসহ পর্যাপ্ত শিক্ষার্থী নিয়ে পাস কোর্স চালু থাকা বাধ্যতামূলক। এই কলেজটি ১৯৯৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে ১৯৯৯ সালে এমপিওভুক্ত হয়। বিশ্লেষকরা বলছেন, একই ধরনের অন্যান্য গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজগুলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে অনার্স ও মাস্টার্স কোর্স চালায়Ñ এমপিও সুবিধা পায় না। সেখানে শুধুমাত্র একটি কলেজের এ সুবিধা পাওয়া প্রশাসনিক বৈষম্য ও স্বজনপ্রীতিরই বহিঃপ্রকাশ।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জীববিজ্ঞান অনুষদের অধীনে পরিচালিত গার্হস্থ্য অর্থনীতি ইউনিটের মাধ্যমে যে শিক্ষার্থীদের ভর্তি করানো হয়, তারা মূলত অনার্স কোর্সে অংশগ্রহণ করে। খাদ্য ও পুষ্টি বিজ্ঞান, শিশু বিকাশ ও সামাজিক সম্পর্ক, বস্ত্র পরিচ্ছদ ও বয়ন শিল্পের মতো কোর্সগুলো সরকারি এমপিও কাঠামোর আওতায় পড়ে না। এ বিষয়ে কলেজ কমিটির চেয়ারম্যানের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। পরে অফিস সূত্রে জানা যায়, তিনি বর্তমানে দেশের বাইরে আছেন। একজন শিক্ষা বিশ্লেষক বলেন, এটি সুস্পষ্টভাবে সরকারি অর্থের অপচয় এবং শিক্ষানীতির প্রতি অবজ্ঞা। অবিলম্বে এই এমপিওভুক্তি পুনর্বিবেচনা করা জরুরি। বিশেষজ্ঞদের মতে, সরকারি অর্থের সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করতে কলেজটির এমপিও বাতিল করা এবং ইতোমধ্যে বরাদ্দকৃত অর্থের নিরীক্ষা করা প্রয়োজন। অন্যথায় শিক্ষাব্যবস্থায় বৈষম্য ও স্বজনপ্রীতির সংস্কৃতি বহাল থাকবে।
 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স