চট্টগ্রাম ব্যুরো
চট্টগ্রামের মীরসরাই উপজেলার জোরারগঞ্জ থানাধীন বিএসআরএম স্টিল রোলিং-২ ও স্টিল মেলটিং-২ কারখানায় সংঘবদ্ধ ডাকাতদলের হামলায় ভাঙচুর, লুটপাট ও কর্মীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। এতে আহত হয়েছেন কয়েকজন অফিস স্টাফ ও নিরাপত্তাকর্মী। গত রোববার জোরারগঞ্জ থানায় দেওয়া অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গত শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টায় প্রথমে হামলার ঘটনা ঘটেছে। পরে গত রোববার ভোরে দ্বিতীয় দফায় হামলা চালায় সন্ত্রাসীরা।মামলার বাদী বিএসআরএমের মীরসরাই জোনের প্রশাসনিক ম্যানেজার আবদুল কাদের মোল্লা জোরারগঞ্জ থানায় দেওয়া লিখিত অভিযোগে জানান, বেলাল, নাজমুল, হক সাবসহ অজ্ঞাত ১৮-২০ জন সশস্ত্র ডাকাত দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সিকিউরিটি অফিস ও পোস্টে প্রবেশ করে। হামলাকারীরা প্রথমেই সিসিটিভি মনিটর ২টি, কম্পিউটার ২টি, টেম্পারড গ্লাসের দরজা ২টি ও ৯টি থাই গ্লাস জানালা ভাঙচুর করে। এরপর ডিউটি অফিসার অ্যাসিস্ট্যান্ট এক্সিকিউটিভ শাহ আলম, সিকিউরিটি গার্ড মোরশেদ, প্লাবন পালিত, রিয়াদ মোরশেদ ও ডাম্প ট্রাক চালক সোহাগকে মারধর করে আহত করে। এ সময় তাদের কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়।অভিযোগে আরও বলা হয়, ডাকাতদল নিরাপত্তাকর্মীদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে কারখানা থেকে বিপুল পরিমাণ লোহা তৈরির স্ক্র্যাপ এবং নির্মাণাধীন নিরাপত্তা বেষ্টনীর ১২-১৫টি টিন খুলে নিয়ে যায়। কেন এ বেষ্টনী নির্মাণ করা হচ্ছে এমন প্রশ্ন তুলে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করে এবং বেষ্টনী নির্মাণ অব্যাহত রাখলে প্রাণনাশের হুমকি দেয়। এমনকি কয়েকজন নিরাপত্তাকর্মীর নাম ধরে খোঁজাখুঁজি করে, সামনে পেলে কুপিয়ে হত্যার হুমকিও দেয়। এ সময় প্রায় ১৫ লাখ টাকা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।এ প্রসঙ্গে বিএসআরএম মীরসরাই জোনের প্রশাসনিক ম্যানেজার দেলোয়ার হোসেন মোল্লা বলেন, এ ধরনের ঘটনা শুধু আমাদের শিল্পকারখানাই নয়, পুরো এলাকার নিরাপত্তার জন্যও হুমকি। বিএসআরএম কারখানায় দীর্ঘদিন ধরে এই চক্রটি স্ক্র্যাপ চুরির সঙ্গে জড়িত। আগে রাতের আঁধারে চুরি করলেও এবার প্রকাশ্যে হামলা চালিয়েছে। ভেতরে প্রবেশ করে ভাঙচুর চালিয়ে অফিস স্টাফদের আহত করেছে। তাদের বিরুদ্ধে পূর্বেও একাধিক মামলা হয়েছে এবং বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। প্রশাসনের কঠোর ব্যবস্থা ছাড়া এ চক্রকে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়।জোরারগঞ্জ থানার ওসি আবদুল হালিম বলেন, বিএসআরএমে দুই দফায় হামলার হয়েছে। এ সময় ভাঙচুর এবং অফিস তছনছ করে চক্রটি। এ ঘটনায় ৩০/৩২ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। আসামিদের ধরার জন্য চেষ্টা চলছে।
নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata
