ঢাকা , মঙ্গলবার, ০৪ নভেম্বর ২০২৫ , ২০ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
নতুন নীতিমালা বাস্তবায়নে ইন্টারনেটের দাম ২০% বাড়বে : আইএসপিএবি আলোচনার কেন্দ্রে পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী মাঠ কর্মকর্তাদের প্রাক প্রস্তুতি সভার নির্দেশ ইসির পোশাক শ্রমিকের মৃত্যুর পর ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ রাজধানীর হোটেল থেকে উদ্ধার হলো সিলেটের নিখোঁজ ৪ শিশু দেশের বাইরে গেছেন বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন দাবি না মানলে প্রধান উপদেষ্টাকে স্বেচ্ছায় পদত্যাগের আহ্বান আন্দোলনকারীদের রাজধানীতে ঝটিকা মিছিল, আ’লীগের ৬ নেতা-কর্মী গ্রেফতার গাইবান্ধায় বৃদ্ধাকে ধর্ষণ অভিযুক্ত ধর্ষক ঢাকা থেকে গ্রেফতার আখের অভাবে চালু হচ্ছে না পঞ্চগড় চিনিকল ৪ ভাগে বিভক্ত বিএনপি নির্ভার জামায়াত মুন্সীগঞ্জে বিএনপির দুপক্ষের বিরোধে গুলি করে যুবককে হত্যা শ্রীপুরে ট্রেনের নিচে পড়ে একজনের মৃত্যু জামায়াত তুরাগ মধ্য থানার উদ্যোগে নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত মোহাম্মদপুরে সেনা অভিযানে ককটেল-পেট্রোল বোমা উদ্ধার, গ্রেফতার ১ পুলিশের নাকের গডায় হত্যা মামলার আসামীরা টাঙ্গাইলে সিএনজি অটোরিকশায় ট্রাকচাপা, নিহত ২ সালমান এফ রহমানসহ ৩৪ জনের বিরুদ্ধে দুদকের পাঁচ মামলা প্রশাসনে পদের চেয়ে অনেক বেশি পদোন্নতিপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সংখ্যা টঙ্গী-উত্তরখানে অবৈধ গ্যাসে চলছে কারখানা

কুমিল্লা গোমতী নদীর সকল অবৈধ স্থাপনা ৬ মাসের মধ্যে উচ্ছেদের নির্দেশ হাইকোর্টের

  • আপলোড সময় : ০৫-০৮-২০২৫ ১২:০১:১০ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ০৫-০৮-২০২৫ ১২:০১:১০ পূর্বাহ্ন
কুমিল্লা গোমতী নদীর সকল অবৈধ স্থাপনা ৬ মাসের মধ্যে উচ্ছেদের নির্দেশ হাইকোর্টের
কুমিল্লা থেকে মো. রজ্জব আলী
কুমিল্লা গোমতী নদীর দুই তীরে গড়ে ওঠা প্রায় ৫০৮টি অবৈধ দখল-স্থাপনা আগামী ৬ মাসের মধ্যে উচ্ছেদ করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। কুমিল্লার জেলা প্রশাসকের প্রতি এ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে কেউ যাতে গোমতী নদী দখল বা মাটি ভরাট না করতে পারেন, সে জন্য কুমিল্লার পুলিশ সুপার ও সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে মনিটরিং (তদারকি) করতে বলা হয়েছে। ১৪ বছর আগে জনস্বার্থে করা এক রিটের চূড়ান্ত শুনানি নিয়ে বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মো. বশির উল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ গত ৩ আগস্ট এ রায় দেন।
কুমিল্লার গোমতী নদী দখল ও স্থাপনার বিষয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়। এই প্রেক্ষাপটে অবৈধ দখল বা স্থাপনা উচ্ছেদের নির্দেশনা চেয়ে মানবাধিকার ও পরিবেশবাদী সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) পক্ষে ২০১১ সালে রিটটি করা হয়। রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ২০১১ সালের ২ মার্চ হাইকোর্ট রুল দেন। একই সঙ্গে জরিপ করে গোমতী নদীর সীমানা নির্ধারণ করে অবৈধ স্থাপনা ও দখলদারদের তালিকা আদালতে দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়। পরবর্তী সময় জরিপ করে ৬২৩টি অবৈধ স্থাপনা চিহ্নিত করে এবং এর মধ্যে ২৬৫টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের বিষয়ে হলফনামা আকারে আদালতকে জানানো হয়। আগের ধারাবাহিকতায় শুনানি নিয়ে কয়েকটি নির্দেশনা দিয়ে এ সংক্রান্ত রুল নিষ্পত্তি করে আজ রায় দেয়া হলো। আদালত আদেশে বলেছেন, গোমতী নদীর স্বাভাবিক প্রবাহ রক্ষায় যে কোনো ধরনের দখলদারিত্ব কঠোরভাবে দমন করতে হবে। আদালত আরও বলেন, এই নদীর তীরে গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনা পরিবেশ, জীববৈচিত্র্য এবং জনস্বার্থের জন্য মারাত্মক হুমকি তৈরি করছে।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। তাকে সহায়তা করেন আইনজীবী সঞ্জয় মণ্ডল ও নাছরিন সুলতানা। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. মহসিন কবির। হাইকোর্ট রায়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডকে ৩ মাসের মধ্যে নদী ডেজিংয়ের প্রস্তাবের বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানান জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। রায়ের পর তিনি বলেন, অবৈধ দখল-স্থাপনা উচ্ছেদের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ বিষয়ে আগামী ৩ মাসের মধ্যে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নিষ্পত্তি করতে বলা হয়েছে। এর আগে জেলা প্রশাসক অর্থ বরাদ্দের জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে চিঠি লিখেছিলেন। এলআর (ল্যান্ড রেভিনিউ ট্যাক্স) ফান্ড দিয়ে কাজ শুরু করতে বলেছেন আদালত।
 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স
প্রতিবেদকের তথ্য