
নারায়ণগঞ্জে বৈধ কারখানায় গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন


নারায়ণগঞ্জে তিতাসের কতিপয় কর্মকর্তার অনিয়মের কারণে বৈধ ভাট্টির মালিকরা অসহায় হয়ে পড়েছেন। আর অবৈধ কারখানা সচল থাকার কারণে বিপুল পরিমান রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার। দীর্ঘদিন ধরে এ অবস্থা চলে আসলেও অজ্ঞাত কারণে তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না। এতে খোদ তিতাসের কর্মকর্তা কর্মচারিদের মধ্যে নানা সমালোচনা চলছে। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, নারায়ণগঞ্জের ডিজিএম (ভিজিলেন্স) শাহিদুর রহমান কোন আগাম নোটিশ ছাড়াই বৈধ ভাট্টিগুলোতে অভিযান চালিয়ে তাদের কারখানার কাজ বন্ধ করে দিচ্ছে। আর অবৈধ কারখানা চলছে অবাধে। ভুক্তভোগিরা জানিয়েছেন, মধ্যরাতে হঠাৎ বৈধ কারখানায় অভিযান চালান শাহিদুর। কারখানা থেকে মিটার নিয়ে গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন। পরে তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে ওই কারখানাকে মোটা অংকের টাকায় দেনদরবারের পর মিটার ফিরিয়ে দেয়া হয়। শুধু একটি কারখানাই নয় নারায়ণগঞ্জের বৈধ ১৬ টি কারখানায় চলছে এ অবস্থা। অভিযোগ রয়েছে, শাহিদুর রহমান বিভিন্ন কারখানায় অভিযানের নামে মোটা অংকের টাকার ভাগ নেন নিজ এলাকার বাসিন্দা ডিজিএম মামুনুর রশিদের নাম ভাঙ্গিয়ে। অনৈতিক সুবিধা নিয়ে অবৈধ কারখানা পরিচালনা করে প্রতিমাসে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। এতে সরকার হারাচ্ছে বিপুল অংকের রাজস্ব। অবৈধ কারখানাগুলো হলো- ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ভবেরচর, গজারিয়া, মুন্সিগঞ্জ এলাকায় মানাবে ওয়াটার পার্কের বিপরীতে এবং সাফা অয়েল অ্যান্ড এলপিজি ফিলিং স্টেশনের পাশে ১১টি ভাট্টিসহ একটি অবৈধ চুন কারখানা রয়েছে যার মালিক মো. নুরুল আলম। মেঘনা ব্রিজ পার হয়ে ভাটের চর নতুন রাস্তার সামনে চুন কারখানা, মালিক-মো. লাভলু মিয়া। ভাটের চর সেভেন স্টার হোটেলের আরও একটি অবৈধ চুন কারখানা রয়েছে, যেখানে ৫টি ভাট্টি আছে। উক্ত কারখানার মালিক মো. মনজুর হোসেন। সোনারগাঁও পানাম নগর উঁচু ব্রিজ পার হয়ে চুন কারখানা, মালিক নূরে আলম। যুজিকা ডাইং, দোনাই হাজী রোড, মিজমিজি মালিক মতিয়ার। মদনপুর থেকে বন্দর রোডে, আনোয়ারের স্টিলমিলের ভিতরে অবৈধ ৪ টি ভাট্টি রয়েছে। সোনারগাঁও রয়েল রিসোর্টের পিছনে অবৈধ ৪ টি ভাট্টি রয়েছে। দাউদকান্দি ব্রিজের আগে ডান পাশে বাউশিয়া আম বাগানের ভিতরে। সংশ্লিষ্টরা জানান, একেকটি কারখানায় ১০ দিনে প্রায় ৫০ লাখ টাকার গ্যাস খরচ হয়। শহিদুর রহমান মাঝেমধ্যে গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করলে তাদের কারখানার উৎপাদন বন্ধ ও বিপুল অংকের টাকার লোকসানে পড়েন। এ অবস্থা থেকে উত্তরণ ও শাহিদুর রহমান ও মামুনুর রশিদের এসব কর্মকাণ্ড তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে তিতাসের এমডির বরাবর লিখিত অভিযোগ দেয়া হযেছে। এছাড়া সরকারের অনলাইন অভিযোগ সেলেও করা হযেছে অভিযোগ। তিতাস সূত্র জানিয়েছে, দুর্নীতিবাজ এই দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে তদন্ত শুরু হয়েছে।
নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata
কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ